হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি,সুস্থ আছি।
বিদায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ছাত্রীদের বিদায় জানানো হয়,যাতে তাঁরা পরবর্তী জীবনে পদার্পণ করতে যাচ্ছে সে জীবন যেন সুন্দর হয় সেই কামনা করে শিক্ষকমণ্ডলীরা একটি সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তাদের বিদায় জানানোর চেষ্টা করেন। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করে, এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার জন্য চলে যায়, এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে সোনালী স্মৃতি ও শিক্ষার্থীদের যে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ যেনো ভালো হয় বিদায় অনুষ্ঠানে এইরকমই প্রতিশ্রুতি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে হয়ে থাকে।দীর্ঘ সময় একসঙ্গে হাসির ঠাট্টা দুঃখ কষ্ট মান–অভিমান যেই ব্যাপারগুলো ঘটেছে তার জন্য সকলের কাছে বন্ধুসুলভ দৃষ্টিতে ক্ষমা চেয়ে নিতে পারবেন সকল ছাত্রীরা এই বিদায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। যেতে দিতে নাহি মন চায় তবু যেতে দিতে হয় বাংলা এই প্রবাদ বাক্যটিতে স্পষ্টভাবে বুঝিয়েছে বিদায় শব্দটি কত কষ্টের ও বেদনাময়।
বিগত বছর গুলোর তুলনায় এবারের বিদায় অনুষ্ঠান বেশ বড়সড় আয়োজনের মাধ্যমে হয়েছে সেই মুহূর্ত গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
আমরা সকাল ১১ টার দিকে রেডি হয়ে স্কুলে যাই।গিয়ে দেখি পুরো স্কুল অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে,স্কুলের প্রধান গেইট দিয়ে ঢুকে মাঠে প্রবেশ দ্বারে বেলুন দিয়ে সুন্দর একটি গেইট করে,এবং একটি রাস্তা তৈরি করে যেটা দিয়ে সকল অতিথি ও শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারে।
অনুষ্ঠানের অতিথি দের জন্য একটি মঞ্চ তৈরি করে সেখানে সারিবদ্ধ ভাবে চেয়ার সাজানো আছে এবং সামনে দিয়ে একটি রঙ্গিন কাপড়ে মোড়ানো টেবিল রাখা আছে।
মাঠের মধ্যে রঙ্গিন কাপড় দিয়ে পুরো মাঠ ঢেকে দেওয়া হয়েছে,যাতে করে রোদ না লাগে আর দেখতে সুন্দর লাগে।সারিবদ্ধ ভাবে চেয়ার সাজানো আছে অভিভাবক ও ছাত্রীদের বসার জন্য।আমরা বসার স্থানে গেলাম গিয়ে প্রথম সারিতে চেয়ার নিয়ে বসে পড়লাম।আস্তে আস্তে পুরো মাঠ ভরে গেলো এবং সবাই যার যার মতো করে বসে পড়লো।
এবার অতিথি হিসেবে সংসদ সদস্য,মেয়র,উপজেলা চেয়ারম্যান,স্কুল কমিটির সভাপতি,থানার ওসি এবং আরও অনেক গণ্যমাণ্য ব্যক্তিরা আসলেন।তাঁদের ফুল ছিটিয়ে ছাত্রীরা অভ্যর্থনা জানায়।অতিথিরা যার যার আসন গ্রহণ করেন এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যায়।প্রথমে কোরান তেলওয়াত,তারপর গীতাপাঠ দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়।প্রথমে স্কুলের সভাপতি তার মূল্যবান বক্তব্য দেন।তারপর মেয়র, চেয়ারম্যান,স্কুলের প্রধান শিক্ষক সবাই মূল্যবান বক্তব্য দেন ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে।সব শেষে মাননীয় সংসদ সদস্য তার মূল্যবান বক্তব্য শুরু করেন,প্রথমে নিজের দল,তারপর স্কুল সম্পর্কে,তারপর তার ব্যক্তিজীবন নিয়ে অনেক মূল্যবান বক্তব্য দেন,সবশেষে ছাত্রীদের দোয়া করেন।
এবার বিদায়ী ছাত্রীদের হাতে রাখি পড়িয়ে দেয় এবং কপালে জয়টিকা পড়িয়ে দিয়ে হাতে একটি করে রজনীগন্ধা ও একটি কলম উপহার দেয়।তারপর সবাইকে একটি করে জলে বোতল ও একটি কাচ্চি বিরিয়ানির প্যাকেট দেওয়া হয়।
খাওয়াদাওয়া পর দুপুর দুইটা থেকে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নাচ,গান,নাটক,করে যা সবাই খুবই সুন্দর ভাবে উপভোগ করে।তারপর বিদায়ী ছাত্রীরা একটি বিদায়ী গান গেয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।সবমিলিয়ে সারাদিন আমরা অনেক সুন্দর একটি অনুষ্ঠান উপভোগ করি তার জন্য বিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। সেই সাথে সকল বিদায়ী ছাত্রীদের জন্য মন থেকে অনেক অনেক আশীর্বাদ করি যাতে তারা খুব ভালো ভাবে পরীক্ষা দিয়ে সাফল্যের সহিত উর্ত্তীন্ন হতে পারে এই প্রার্থনা করি ঈশ্বরের কাছে।
আজ এখানেই শেষ করছি,সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশ করি।ধন্যবাদ সবাইকে।
আপনার বিদায় বলার এই পোস্ট দেখে আমার স্কুলের কথা মনে পড়ে গেল। ঠিক এইভাবে আমিও স্কুল থেকে বিদায় নিয়েছিলাম। খুব মনে পড়ে গেল সেই দিনের কথা। দেখে মনে হচ্ছে বিদায় অনুষ্ঠান বেশ বড়সড়ো ভাবেই করেছে। বেলুন দিয়ে সাজানোর কারণে বেশি সুন্দর হয়েছে। খাওয়া-দাওয়া সব মিলিয়ে বেশ ভালোই উদযাপন করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিদায় মানে বিদায় সেটা যে কোন বিদায় হোক মনের মধ্যে অনেক কষ্টের একটি ঘন্টা বেজে ওঠে। তবে আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলি দেখে বুঝা যাচ্ছে বিদায় অনুষ্ঠানটি বেশ সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে। অনেক সুন্দর করে সারিবদ্ধভাবে চেয়ার দিয়ে বসার ব্যবস্থা করেছেন। অনেক মজাদার খাবারও পরিবেশন করা হয়েছে সব মিলিয়ে চমৎকার একটি সময় কাটিয়েছেন। তবে বিদায় শব্দটা আমার কাছে খুব খারাপ লাগে স্কুল জীবনে এত বছর পার করার পর স্কুল থেকে বিদায় নেওয়া মানে অনেক কষ্টের।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যিই দিদি বিদায় শব্দটি অনেক কষ্টের আর বেদনাদায়ক। স্কুলটি খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে আর অনেক বড়ো করে অনুষ্ঠান হয়েছে তা আপনার পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে। অতিথি হিসাবে তো অনেক গুণী মানুষ এসছিলেন দেখছি।কোরান তেলওয়াত আর গীতাপাঠ দুটোই হয়েছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। কাচ্চি বিরিয়ানির প্যাকেট নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু ছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit