অসময়ের তাল

in hive-129948 •  10 months ago 

হ্যালো বন্ধুরা

সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।

ভাদ্র মাস মানেই পাকা তালের মৌসুম। তাল বাংলাদেশের মানুষের কাছে খুব পরিচিত একটি ফলের নাম। ভাদ্র মাস এলেই বাংলার ঘরে ঘরে তালের পিঠা বানানোর উৎসব শুরু হয়। সাধারণত গ্রামের দিকে তালের পিঠা বানানোর প্রচলন বেশি দেখা যায়৷ এই সময় পাকা তালের রস দিয়ে বিভিন্ন রকম পিঠা পায়েস তৈরি হয়।ভাদ্র মাসে সচারাচর পাওয়া যায় কিন্তু এখন তো হাজার টাকা খরচ করলেও তালের দেখা পাওয়া যাবে না।কয়েকদিন হলো ভাগ্নির বাসায় ঘুরতে এসেছি।আমি আসার আগে থেকেই আমার ভাগ্নি প্ল্যান করে রেখেছে যে কি কি খাবার খাওয়াবে।তালের রস ডিপ ফ্রিজে রাখা ছিলো তাই সেই তালের রস দিয়ে তালক্ষীর ও তালের বড়া তৈরি করা হলো।

অসময়ে তালের ক্ষীর ও তালের বড়া খেতে খুবই সুস্বাদু লেগেছে।বাচ্চারা তো অসময়ে তালের ক্ষীর বড়া পেয়ে খুবই খুশি।অসময়ের তালের ক্ষীর ও বড়ার রেসিপি টি শেয়ার করছি।চলুন তাহলে রেসিপি টি জেনে নেওয়া যাক।

PhotoCollageMaker_20231121_214046391.jpg

তালক্ষীর

উপকরণ
তালের রস
গরুর দুধ
চিনি

PhotoCollageMaker_20231121_213457661.jpg

প্রথমে চুলায় একটি পাত্র বসিয়ে দিয়েছি।তারপর তালের রস গুলো দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।তারপর পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ অল্প আঁচে নেড়েচেড়ে জ্বাল দিয়ে নিয়ে পরিমাণ মতো দুধ দিয়েছি।

PhotoCollageMaker_20231121_213828468.jpg

গরুর দুধ দেওয়ার পর বার বার নেড়েচেড়ে অনেক সময় ধরে জ্বাল দিয়েছি তারপর দুধ শুকিয়ে ঘন হয়ে আসলে চুলার আঁচ বন্ধ করে দিয়েছি।
PhotoCollageMaker_20231121_213924512.jpg

খুবই অল্প উপকরণ দিয়ে খুবই অল্প সময়ে তৈরি হয়ে গেলো মজাদার তালক্ষীর রেসিপি টি।

তালের বড়া

IMG_20231121_225755.jpg

উপকরণ
তালের রস
চালের গুঁড়া
ময়দা
চিনি

PhotoCollageMaker_20231121_213546794.jpg

প্রথমে তালের রস এর মধ্যে চালের গুঁড়া ও পরিমাণ মতো ময়দা ও স্বাদমতো চিনি দিয়ে ভালো করে মেখে নিয়েছি।

PhotoCollageMaker_20231121_213628724.jpg

এবার চুলায় কড়াই বসিয়ে দিয়েছি।তারপর পরিমাণ মতো তেল দিয়ে একটু গরম হয়ে আসলে মাখানো তালের রস মাখানো গুলো হাতে নিয়ে ছোট ছোট বড়ার আকারে তেলের মধ্যে ছেড়ে দিয়েছি।

PhotoCollageMaker_20231121_222916759.jpg

কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর বড়া গুলো উল্টিয়ে দিয়েছি।তারপর দুপাশে ভালো করে ভেজে বড়া গুলো তুলে নিয়েছি।

PhotoCollageMaker_20231121_222950117.jpg

পরিবেশের জন্য একটা পাত্রে তুলে নিয়েছি।আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো মজাদার তালের বড়া রেসিপি টি।

IMG_20231121_225755.jpg

এই ছিলো আমার আজকের অসময়ে তালের রেসিপি।আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।

3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD.gif

RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt2ZiuB4UwXiaLrysjtrVMUbAZMrqbsT8opre1BTbbmPnF1NuhTfmhXvmcf2NQCbDFv833qFTc4KQk2SYu8z.png

Break3.jpg
Banner User.png
Break3.jpg

আমি অতসী চাকী (বৃষ্টি) । নতুন নতুন রেসিপি বানিয়ে সবাইকে খাওয়াতে আমার ভাল লাগে। আর ভাল লাগে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে। আমি "ভাল কাজের, ভাল ফল কথাটাতে" মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এবং মেনে চলার চেষ্টা করি।

Break3.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সত্যি বলতে সময়ের জিনিস সময়ে খাওয়ার থেকেও অসময়ে খেতে কেমন যেন মনে হয় বেশি সুস্বাদু লাগছে। আপনি আপনার ভাগ্নের বাসায় গিয়ে ডিপ ফ্রিজে রাখা তালের রস দিয়ে তালের পিঠা ও ক্ষীর বানিয়ে খেয়েছেন যেন ভালো লাগলো। আর সেই সঙ্গে রেসিপিও করে আমাদের মাঝে শেয়ার করলে এটা দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো। তবে হ্যাঁ শেষে একটা কথা বলতেই হচ্ছে আমার আম্মুও তাহলে রস ডিপ ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল । আর এইতো কয়েকদিন আগে যখন আপুরা আমাদের বাসায় বেড়াতে এসেছিল তখন সে তালের রস দিয়ে আমাদের বাড়িতেও তাদের পিঠা বানানো হয়েছিল। সত্যি সত্যি বলতে আমার কাছেও এই অসময়ে তালের পিঠা খেতে বেশ ভালো লেগেছিল। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই অসময়ে তালের পিঠা বানানোর রেসিপি টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

জ্বি ভাইয়া যখন সচারাচর হাতের নাগালে যেকোনো জিনিস পাওয়া যায় তার গুরুত্ব কম থাকে এজন্য বেশি ভালো লাগে না।আপনার আপুকেও তালের পিঠা বানিয়ে খাইয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।

তালের এই পিঠা খেতে খুবই সুস্বাদু। আমার মা সবসময় তাল আর কাঁঠালের সিজন আসলে বক্স ভরে রস ড্রিপ ফ্রিজে রেখে দেয়। সিজন শেষে এই পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি পিঠার রেসিপির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ সব মায়েরাই এই কাজ করে যাতে অসময়ে খাওয়া যায়।তালের পিঠা খেতে আমারও খুব ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপু।

আপু ভাগ্নির বাসায় বেড়াতে গেলেন।আর ভাগ্নি ডিপ ফ্রিজে তালের রস রেখে দিয়েছিল তাই দিয়ে সে তালের পিঠা ও তালের ক্ষীর করেছিল।সেই রেসিপি আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন।আসলে দুটো রেসিপিই খুব মজার।এ ধরনের খাবারগুলো অফ সিজনে আরও বেশি ভালো লাগে। আমিও ডিপে রেখে দেই।পরে কিছু করে খেতে ভীষণ মজার হয়। আপনার রেসিপির সাথে সাথে অনুভূতি গুলো পড়ে ও খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

জ্বি আপু খাবার গুলোর চেয়ে অনুভূতি বেশি ভালো লাগার ছিলো।ধন্যবাদ আপু।

তাল আমার খুব প্রিয়। তালের গন্ধ আমার খুব ভালো লাগে।আমিও তালের বড়া করেছিলাম কালীপূজায়।ঠিক বলেছেন হাজার টাকা দিলেও এখন তাল পাওয়া যায় না।তাই তাল প্রেমিরা সারা বছরের জন্য তাল সংরক্ষণ করে থাকে ডিপ ফ্রিজে।আমিও ফ্রীজে রেখেছি আপনারা আসলে খাওয়া হবে।তালের ক্ষীর গুলো খুব লোভনীয় লাগছে।ধাপে ধাপে সুন্দর করে ফুঁটিয়ে তুলেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর লোভনীয় পোস্ট করার জন্য।

হ্যাঁ খুব যত্ন করে রেখে দাও যাতে বাড়িতে গিয়ে খেতে পারি।🤤তালের গন্ধ আমারও খুব ভালো লাগে।আমি কাঁঠালের রস রেখেছি কিন্তু তাল রস করার ভয়ে রাখিনি😥ধন্যবাদ তোমাকে।

তালের পিঠা আমার খুব প্রিয় আমি তালের পিঠা খেতে অনেক পছন্দ করি। তবে এটি ঠিক গ্রামাঞ্চলে শীতকালে বিভিন্ন ধরনের তালের পিঠা বানিয়ে খায়। তালের রস এবং গরুর দুধ দিয়ে খুব সুন্দর করে তালের বড়া বানিয়েছেন। দেখে বোঝা যাচ্ছে তালের পড়াগুলো খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এবং তালের বড়া বানানো প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে তালের বড়া বানিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

তালের বড়া বা পিঠা খেতে আমারও খুব ভালো লাগে ভাইয়া।সত্যিই তালের বড়া গুলো খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিলো।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।