মতিচুরের লাড্ডু ☺️

in hive-129948 •  3 months ago 

হ্যালো বন্ধুরা

সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।

আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি,আশাকরি আজকের রেসিপি টি আপনাদের ভালো লাগবে।

মতিচুরের লাড্ডু

সব ধরনের খাবারের মধ্যে যখন একটি নির্দিষ্ট খাবার জনপ্রিয়তা লাভ করে তখন তার মধ্যে অবশ্যই কোনো নিরপেক্ষ গুন থাকে। সেই দিক বিবেচনা করলে মতিচুর লাড্ডু একদম সঠিক পন্থায় তার জনপ্রিয়তা লাভ করেছে...।

চলুন তাহলে রেসিপি টি জেনে নেওয়া যাক।

IMG_20241101_230016.jpg

IMG_20241101_230040.jpg

উপকরণ

১.বেসন
২.চিনি
৩.ঘি
৪.তেল
৫.ফুড কালার

InCollage_20241101_233346329.jpg

ধাপ-১

বেসন গুলো একটা বড় বাটিতে ঢেলে নিয়েছি।তারপর পরিমাণ মতো জল দিয়ে একটা ঘন ব্যাটার তৈরি করে নিয়েছি।
InCollage_20241101_233407140.jpg

ধাপ-

কড়াইয়ে বেশ কিছুটা তেল দিয়ে গরম করতে দিয়েছি।তারপর বেসনের ব্যাটার গুলো বড়ার আকারে ছোট ছোট করে তেলের মধ্যে দিয়ে দিয়েছি।তারপর সেগুলো ভালো করে ভেজে নিয়েছি।
InCollage_20241101_233925026.jpg

ধাপ-৩

বেসনের বড়া গুলো একটা পাত্রে তুলে ঠান্ডা করতে দিয়েছি।বড়াগুলো একটু ঠান্ডা হয়ে আসলে ব্লেন্ডারের জারে দিয়ে হালকা গুঁড়ো করে নিয়েছি।
InCollage_20241101_234458290.jpg

ধাপ-৪

কড়াইয়ে পরিমাণ মতো চিনি ও সামান্য পরিমাণে জল দিয়ে সিরা তৈরি করে নিয়েছি।এবার বেসনের বড়ার গুঁড়ো গুলো দিয়ে দিয়েছি।
InCollage_20241101_234522090.jpg

ধাপ-৫

ভালো করে চিনি সিরার সাথে বেসনের বড়ার গুঁড়ো গুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।তারপর সামান্য পরিমাণে অরেঞ্জ ফুড কালার মিশিয়ে নিয়েছি।যাতে করে লাড্ডুর কালার গুলো দেখতে আরো বেশি আকর্ষণীয় হয়।

IMG_20241102_174600.jpg

ধাপ-৬

এবার পরিমাণ মতো ঘি দিয়ে অল্প আঁচে বেশ কিছুক্ষণ ধরে নেড়েচেড়ে যখন লাড্ডুর পাক হয়ে আসবে তখন চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।

InCollage_20241102_174749111.jpg

ধাপ-৭

চুলা থেকে নামিয়ে গরম গরম অবস্থায় হাতে ঘি মাখিয়ে নিয়ে সামান্য পরিমাণ লাড্ডুর উপকরণ নিয়ে দুই হাতের সাহায্যে লাড্ডুগুলো একে একে বানিয়ে নিলাম।আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো মজাদার মতিচুরের লাড্ডু রেসিপিটি।
InCollage_20241102_174816797.jpg

IMG_20241101_230016.jpg

IMG_20241101_230040.jpg

সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করে আজ এখানেই শেষ করছি।

3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD.gif

99pyU5Ga1kwqSXWA2evTexn6YzPHotJF8R85JZsErvtTWY6ryCgnizd4SmozHPACxnHF8Lc4cYHYazhMMYtnXHUFLoeHg6pvGz8XiqU4kJ9G4Wwh7s6WvRRrwCpUijw4cW.jpeg

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

Break3.jpg
Banner User.png
Break3.jpg

আমি অতসী চাকী (বৃষ্টি) । নতুন নতুন রেসিপি বানিয়ে সবাইকে খাওয়াতে আমার ভাল লাগে। আর ভাল লাগে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে। আমি "ভাল কাজের, ভাল ফল কথাটাতে" মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এবং মেনে চলার চেষ্টা করি।

Break3.jpg

6bhseHAdLtYRoe4mZ6fU3gFc8eKGc3JgYMfqGaKxkR3mYxjKJArHq7pMcxbrR68rpWSk5szypPkRxehi1ennJCAQns4ZHJhX3jZu9bF4dM...QupMZMXmBS4xXZG99M87px48bfqKir7P6LAFLX7xazKN9GzHCW8CsKaSYT34EZ1QWUFNrxTRnr5Kt6t6MpkUnx83wmMV94xMPanMdFywnT1Trh7TnqzMYjNjth.gif

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovY5HDchDfgzdxMYwcfV1uSEjGaQQ45bs37JsJsoobLUH98aUgBctcoZGBvwindwA9oHHF9oQbaWEVem6BREmrpri.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দিদি অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপিটা দেখেই খুব বানাতে ইচ্ছা করছে।আর রেসিপি টা দেখেই মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।অনেক ধন্যবাদ দিদি লোভনীয় একটি রেসিপি ধাপে ধাপে খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

জ্বি আপু লাড্ডু গুলো খেতে সত্যিই অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো।একদিন বানিয়ে খেয়ে দেখবেন আশাকরি অনেক ভালো লাগবে।আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

অনেক যাবত ভাবছি মতিচুর লাড্ডু বানাবো। কিন্তু সময় হয়ে উঠছে না। আপনার রেসিপিটি দেখে আবার বানাতে ইচ্ছে করছে। বেশ সহজ উপায়ে কোন ধরনের বুন্দিয়া না বানিয়েই লাড্ডুগুলো বানিয়ে নিলেন। বেশ সুন্দর হয়েছে আপনার তৈরি লাড্ডুগুলো। বেশ লোভনীয় লাগছে। বুঝাই যাচ্ছে বেশ মজা হয়েছিল লাড্ডুগুলো।

বুন্দিয়া বানানো খুবই ঝামেলা তাই এটা সহজ পদ্ধতি।ঝামেলা বিহীন ভাবে খুব কম সময়েই একই স্বাদের মতিচুরের লাড্ডু তৈরি করা যায়।সত্যিই অনেক মজার ছিলো আপু।ধন্যবাদ।

আপনি অনেক সুন্দর রেসিপি তৈরি করতে পারেন। আর এ জাতীয় লাড্ডু আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লাগে। খুব সুন্দর হয়েছে আপনার এই লাড্ডু তৈরি করা। আশা করি অনেক সুস্বাদু ছিল।

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। হ্যাঁ আপু অনেক সুস্বাদু ছিলো লাড্ডু গুলো।

আরিব্বাস কি সুন্দর মতিচুরের লাড্ডু বানিয়ে ফেলেছ। এইতো দোকানে দিলে হু হু করে সেল হবে। এখন দেওয়ালির সময় এই লাড্ডুর খুব চাহিদা। দারুণ বানিয়েছ জিনিসটা। রেসিপিটাও খুব সুন্দর করে লিখলে। লাড্ডু সাধারণত আমরা কিনেই খাই। এমন ঘরে বানানো লাড্ডু হলে তো কথাই নেই। কাছে থাকলে গিয়ে খেয়ে আসতাম দুটো। 🤣🤣

দাদা আমি ভাবছি একটা দোকান দেওয়া যায় কি-না! 😆যেকোনো পূজার সময় লাড্ডু টা খুব বেশি চলে।আমি দূর্গা পূজার সময় বানিয়েছিলাম।দাদা তুমি বাংলাদেশে আসলে অবশ্যই আমার বাসায় নিয়ে আসবো আর ভালো ভালো রান্না করে খাওয়াবো।🥰 ধন্যবাদ দাদা।

বাংলাদেশ গেলে বোনের বাড়ি তো যেতেই হবে এবার৷ গিয়ে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করে তবেই আসব একেবারে। 😊😊

মতিচুরের লাড্ডু ভীষণ সুস্বাদু লাড্ডু। আপনার মতিচুরপর লাড্ডু রেসিপিটি দেখে তো লোভ লেগে গেলো।ধাপে ধাপে চমৎকার করে মতিচুরের লাড্ডু তৈরি পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

এই লাড্ডু আমারও খুবই পছন্দের লাড্ডু। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য তোমাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

লাড্ডু বাসায় কখনো তৈরি করা হয়নি। আপনার রেসিপিটা দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। মতিচুরের লাড্ডু বেশ জনপ্রিয়। আপনি পুরো রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু ছিল। মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

জ্বি আপু খেতে খুবই সুস্বাদু ছিলো।দোকানের চেয়ে কোনো অংশে কম হয়নি। সবমিলিয়ে বেশ ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপু।

ওয়াও আপু আপনি লোভনীয় একটি লাড্ডুর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করেছেন।এককথায় বলতে গেলে জিভে জল আনার মত রেসিপি।ছবি দেখে বুঝতে পারলাম খেতে খুব ভালো হয়েছিল রেসিপিটি।আপনি ধাপগুলো খুব সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

একদম আপু খেতে অসাধারণ হয়েছিলো যা একেবারে দোকানে কেনা লাড্ডুর মতো।সুন্দর মন্তব্য টি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু।

আপু আপনি খুবই মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। মতিচুরের লাড্ডু খেয়েছি কিন্তু কখনও নিজে তৈরি করা হয়নি। আপনার রেসিপি দেখেই জিভে জল চলে আসলো। একদিন অবশ্যই বাসায় তৈরি করার চেষ্টা করবো। আপনার উপস্থাপনা লোভনীয় হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

লোভনীয় রেসিপি৷ মতিচুর লাড্ডু আমাদের বাংলায় এভাবেই বানানো হয়৷ তবে ভারতের অন্যান্য রাজ্যে বিশেষ করে পশ্চিমের দিকে ছোট ছোট মিনি বোঁদের মতো বানিয়ে তার লাড্ডু বানায়৷

আপনার রেসিপিটি বাঙালিয়ানায় ভরপুর।

আপনার তৈরি করা মতিচুরের লাড্ডু দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে।মন চাচ্ছে একটি লাড্ডু তুলে খেয়ে নেই।মিষ্টি খাবার আমার আবার অনেক পছন্দের।আপনার রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো।আমিও বাড়িতে একদিন তৈরি করবো ভাবছি।ধন্যবাদ এই সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

মতিচুরের লাড্ডু আমার ছোট ছেলের খুবই পছন্দ। সকালবেলা এরকম একটি লাড্ডু লাগেই। কিন্তু বানানোর পদ্ধতি জানা ছিল না। আপনার আজকের লাড্ডু বানানোর পদ্ধতি দেখে শিখে নিলাম। একেবারে পারফেক্ট হয়েছে আপনার লাড্ডু। দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে।

মতিচুরের লাড্ডুর নাম অনেক শুনেছি তবে কখনো খাওয়া হয়নি, বানানো তো দূরের কথা। তবে আপনার কাছে রেসিপিটা দেখে বেশি ভালো লাগলো আপু। আমি একদিন চেষ্টা করব এভাবে তৈরি করার জন্য। দেখেই লোভনীয় মনে হচ্ছে।