হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
এই দিনটি আমার জন্য খুবই স্পেশাল একটি দিন।কারণ এই দিনটির মাধ্যমে জীবনের আরো একধাপে পদার্পণের সুযোগ পেলাম।আমার জন্মদিনে, আমার অর্জিত সকল শিক্ষা, অতীতের সকল সফলতা ও ব্যর্থতা ভরা স্মৃতির মুহূর্তগুলো এবং ভবিষ্যতে বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখার সকল ইচ্ছাগুলোর প্রতি আমি নতুনভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ হচ্ছি। সকলের কাছে আশির্বাদ ও দোয়া চাই।কোনো পিছুটান নয়, বরং সামনের পথে এগিয়ে যাবো।ব্যক্তি জীবনে জন্মদিন, প্রত্যেকের হৃদয়ের মাঝে উদযাপন করার একটি মুহূর্ত তৈরি করে দেয়। নতুনভাবে বেঁচে থাকার অফুরন্ত সম্ভাবনাগুলোকে স্বপ্নের মাঝে বলছি এবং আনন্দের সাথে দিনটি উপভোগ করেছি।
সেরকম ঘটা করে কখনো জন্মদিন পালন করা হয়নি।আমাদের বসবাস ছিলো একদম প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে। সেখানে ওই সময় জন্মদিন পালন করার প্রথা খুব একটা প্রচলন ছিলো না। সবচেয়ে বড় কথা হলো সে রকম কোনো সুযোগ সুবিধা ছিলো না যে ইচ্ছে করলেই সব কিছু পালন করা যায়।আমাদের জন্মদিনের দিন দেখতাম মা পায়েস রান্না করতো লুচি সাথে আরো অন্যান্য ভালো-মন্দ রান্না হতো। সন্ধ্যাবেলায় প্রদীপ জ্বালিয়ে ধান-দূর্বা মাথায় দিয়ে আশীর্বাদ করে দিতো, তারপর প্রদীপের আলো মাথায় ছুঁয়ে দিতো।তারপর পায়েস খাইয়ে দিতো সবশেষে গালে একটা চুমু দিয়ে হাতে দশটা টাকা ধরিয়ে দিতো। সেটার যে কি আনন্দ তা আসলে এখন বলে ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।তবে এতোটুকু বলতে পারি এখনকার এই জাঁকজমকপূর্ণ জন্মদিনের চেয়ে ওই আনন্দগুলো ছিলো অনেক গুণ বেশি। যারা এরকম জন্মদিন পালন করেছেন তারাই শুধু বুঝবেন এই অনুভূতি গুলো কতোটা আনন্দের বিষয়।
গতবছর হুট করে আমার দুই মেয়ে মিলে সিদ্ধান্ত নেয় আমার জন্মদিন পালন করবে।আর আমার বাসায় যে কোনো কিছু করা মানেই শ্যামসুন্দর তাতে সহযোগিতা করা।ওর সহযোগিতায় বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ে মিলে আমার জন্মদিন পালন করেছিলো বাসায়।এবারও অনেকদিন থেকে ওরা মনে মনে পরিকল্পনা করছিলো যে আমার জন্মদিন পালন করবে, কিন্তু আমি না করেছিলাম। তার কারণ হলো আমার হাজবেন্ড এখানে থাকে না এগুলো আনন্দ অনুষ্ঠান করতে গেলে তার কথা খুবই মনে পড়ে এবং খুবই খারাপ লাগে।কিন্তু মেয়েরা মানতে নারাজ এগুলো নিয়ে আমার সাথে আর কোনো কথা বলছিলো না। ওরা দুজন মিলে চুপি চুপি শ্যামসুন্দরের সাথে পরিকল্পনা করছিলো কিভাবে কি করবে!
শ্যামসুন্দর আমাকে শুধু বললো কাকিমা, আপনার এবং ঋতু আন্টির দাওয়াত আগামীকাল সন্ধ্যায় এখানে একটা নতুন ক্যাফে হয়েছে ওইটাতে আপনাদেরকে খাওয়াবো।আমার মেয়ে বায়না করেছিলো যে সবাই মিলে কালো পোশাক পড়তে হবে। যাই হোক আমরা সবাই যার যার মতো কালো পোশাক পড়লাম এবং সন্ধ্যা বেলায় ক্যাফেতে চলে গেলাম।গিয়ে দেখি আগে থেকেই শ্যামসুন্দর ওখানে বসে আছে।আমরা ভিতরে প্রবেশ করলাম ভিতরে গিয়েই তো আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো! ওমা কি কান্ড দেখি শ্যামসুন্দর কেক ফুল এগুলো নিয়ে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।দেখে যেমন ভালো লাগলো ঠিক ততোটাই লজ্জাও লাগছিলো।
কি আর করা কেক যখন এনেই ফেলছে কাটতে তো হবেই।তারপর সবাই মিলে কেক কাটলাম কেক খাওয়া হলো।তারপর শ্যামসুন্দর খাবারের অর্ডার করলো।এবারের মেনুতে ছিলো এগ ফ্রাইড রাইস,মাঞ্চুরিয়ান চিকেন,চাইনিজ ভেজিটেবল,সালাদ,কোল্ডড্রিংস।ঋতু ভাবির মেয়ে জাহিরা বেবি এগুলো খেতে পারবে না ওর জন্য আলাদা ভাবে চিকেন পপকর্ন অর্ডার করলো।তারপর সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করে।সবাই মিলে কিছু ফটোশুট করে আমরা রাত সাড়ে নয়টার দিকে ওখান থেকে বেরিয়ে আসলাম।
আমি আশা করিনি এরকম একটা দিন উপভোগ করতে পারবো।ওইটুকু সময় খুবই ভালো কেটেছিলো এবং নিজেকে নিয়ে খুবই গর্ববোধ হচ্ছিলো।আমার বাবা মা যেটা করার কথা তারা এখন পৃথিবীতে নেই সেই কাজগুলোই আমার ছোট ছোট বাচ্চারা প্রতিনিয়ত করার চেষ্টা করে,এটা আমার জন্য খুবই গর্বের বিষয়।ওরা আমার বিষয়ে অনেক ভাবে এবং ওদের চিন্তাধারা গুলোকে কাজে লাগিয়ে আমাকে সবসময় খুশি রাখার চেষ্টা করে।এটা একজন মা হিসেবে নিজেকে গর্ব করার মতোই বিষয় বলে মনে হয়।জানিনা বড় হলে ওরা কতো বড় মানুষ হতে পারবে কিন্তু অনেক ভালো মানুষ হিসেবে বড় হচ্ছে এটাই আমার পরম পাওয়া।
শ্যামসুন্দর ছিলো বলেই হয়তোবা এতো সুন্দর দিনটি উপভোগ করতে পেরেছি। সেই সাথে ঋতু ভাবিকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।মেয়েরা সহ সবাইকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই এতো সুন্দর একটি দিন আমাকে উপহার দেয়ার জন্য।
🙏ধন্যবাদ সবাইকে🙏
প্রথমে আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল। আসলে প্রিয় মানুষগুলোর জন্য জন্মদিনটা অনেক বেশি স্পেশাল হয়। আর আপনার জীবনেও আপনার প্রিয় মানুষটির জন্য আজকের দিনটা আপনার জন্য অনেক বেশি স্পেশাল হয়েছে। আসলে আপনি আপনার জন্মদিনে অনেক বেশি মজা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্মদিনের আনন্দের মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন দাদা প্রিয় মানুষের কাছ থেকে সারপ্রাইজ পাওয়া টা সত্যিই ভালো লাগা কাজ করে এবং দিনটি অনেক স্পেশাল মনে হয়।আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই দাদা সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনাকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মেয়ের বায়না পূরণ করতে সবাই কালো ড্রেস পড়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। তবে কালো ড্রেসে সবাইকে কিন্তু বেশ সুন্দর লাগছে। দারুন একটি পোস্ট দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জ্বি আপু কালো ড্রেসে সবাইকে বেশ ভালোই লাগছিলো।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শুভ জন্মদিন আপু। আপনার আগামী দিন গুলো আরো বেশী আনন্দে ভরে উঠুক এই কামনা করি আজকের দিনে। আপনার মেয়ারা ও শ্যামসুন্দর দাদা সত্যি আনন্দে ভরিয়ে দিয়েছে আপনাকে আজকে, সারপ্রাইজ জন্মদিনের পার্টি আয়োজন করে। তাদের সবার জন্য শুভ কামনা। পোস্টটি শেয়ার করে জন্মদিনে শুভেচ্ছে জানানোর সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শ্যামসুন্দর সবকিছুইতেই অনেক হেল্প করে আর ও আছে বলেই কিন্তু আমরা সুন্দর দিনগুলো সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে পারি।আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রথমে জানায় দিদি জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আসলেই গ্রাম অঞ্চলে সেরকম ঘটা করে কখুনো জন্মদিন পালনের হিরিক আমিও দেখিনি।তো আপনার দুই মেয়ে এবং শ্যামসুন্দর ভাইয়া মিলে দারুন একটা কাজ করেছে।আগামি দিন সুন্দর হোক সেই কামনা করি দিদি
আবারো জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক তাই ভাই আগে জন্মদিন নিয়ে মানুষের এত্তো উত্তেজনা কাজ করতো না আর গ্রামে তো কথায় নেই।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আহারে!! মামাতো বোন জন্মদিনটা মিস করে গেলাম। আগে জানলে আমিও আপনার জন্মদিনে গিয়ে উপস্থিত হতাম। আর জন্মদিনের গিফট হিসেবে দশ টাকা হাতে ধরিয়ে দিতাম হাহাহা। যাইহোক দিদি, জন্মদিনে সবাই কালো পোশাক পড়েছেন, দেখে খুবই ভালো লাগছে। এছাড়াও কেক ও ফ্রাইড রাইস খেয়ে নিশ্চয়ই খুব তৃপ্তি পেয়েছেন। সবমিলিয়ে আপনার জন্মদিনের সময়টা খুব সুন্দর কেটেছে তা পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে। অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি দিদি জন্মদিনের জন্য। আপনার পুরো পরিবারের জন্য শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি দশ টাকা যদি ভালোবেসে হাতে ধরিয়ে দিতেন এটা লক্ষ টাকার চেয়েও অনেক বেশিকিছু মনে হবে।ভুল বলেন কেনো আমি ফুপাতো বোন আপনি মামাতো ভাই😁😁😁অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শুভ জন্মদিন আপু। আপনাকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। শ্যামসুন্দর ভাই দেখছি আপনাকে দারুণ একটা সারপ্রাইজ দিয়েছে। সত্যি এমন হলে খুব একটা খারাপ হয় না। সবাই মিলে বেশ দারুণ সেলিব্রেট করেছেন জন্মদিন টা। দেখেও বেশ ভালো লাগল আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit