ভোগান্তির স্বীকার..😔

in hive-129948 •  3 months ago  (edited)

হ্যালো

মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।

আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজকের ব্লগ টি শেয়ার করছি আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।জীবন চলার পথে আমারা নানা সময়ে বিভিন্ন রকমের ভোগান্তির স্বীকার হয়ে থাকি।আজ সেরকমই কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।

বাচ্চাদের নিয়ে সবসময়ই আমি অনেক বড় স্বপ্ন দেখি।আমি জীবনে যা হতে পারিনি ওরা যেনো তা হতে পারে এবং সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে কখনো যেনো কারো মুখাপেক্ষী হয়ে ওদের বাঁচতে না হয়।অনেকেই আমার এই স্বপ্ন গুলোকে উচ্চাকাঙ্ক্ষা বলে মনে করে।হ্যাঁ আমি উচ্চাকাঙ্ক্ষী তবে সেটা ধন সম্পদের জন্য নয় আমি আমার সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষা করি আর আমি মনে করি এতে কোনো দোষ নেই। কারণ পৃথিবীতে সব বাবা মায়েরাই তাই তার সন্তান দুধে ভাতে থাকুক এই চাওয়াতে কোনো অন্যায় নেই।

IMG_20240916_225233.jpg

IMG_20240916_225221.jpg

সন্তানের মঙ্গল চিন্তা করেই নামকরা কলেজে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।আর ভগবানের অশেষ কৃপায় শেষমেশ আমার ইচ্ছেটাও পূরণ হয়।কিন্তু ভর্তি করানোর দিন এসে প্রথমেই একটা বড়সড় ধাক্কা খাই।তা হলো আমি শুনেছিলাম যে ভর্তি করাতে মোট ১৩-১৪ হাজার টাকার মতো লাগবে,আমি সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে ভর্তি করাতে গেছিলাম তারপর ওখানে গিয়ে দেখি ভর্তি ফি ড্রেস ব্যাগ খাতা একমাসের বেতন, তারপর সারাবছরের পরীক্ষার ফি সবমিলিয়ে মোটা ২৫ হাজার ৭৫০ টাকা লাগবে তারপর জুতা আলাদা কিনতে হবে এগুলো দেখেই তো একটু হতাশ হয়ে গেলাম।কিন্তু কিছু করার নেই ভর্তি করাতেই হবে এখন টাকার চিন্তা করলে চলবে না।যাইহোক ভর্তি করানোর পর আবার ফার্স্ট ইয়ারে বই কিনতে হবে সেখানে ৪৫০০ টাকার বেশি চলে গেলো সবমিলিয়ে ৩০ হাজার পার হয়ে গেছে।

ভর্তির সময় নিয়মানুযায়ী সব কাগজপত্র জমা দিয়েছি বাকি ছিলো শুধু বর্ষার বাবার বেতনের সনস আর বর্ষার মেডিক্যাল ফিটনেস সনদ।আমি বিষয় টিকে খুব একটা গুরুত্ব দেইনি তাই চুপচাপ বসেই ছিলাম।কিন্তু গতকাল হঠাৎ করেই কলেজ থেকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় যে এই দু'টো কাগজ জমা না দিলে তাদের ভর্তি বাতিল করা হবে এবং সেটা একদিনের মধ্যেই দিতে হবে।মেয়ে বাসায় এসে বললো আমি ভাবলাম আজ ছুটির দিন সারাদিন বাসায় থাকবে তাহলে আজকেই হাসপাতেলে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করিয়ে ডাক্তারের স্বাক্ষর করে নিয়ে আসবো এই ভেবে গতকাল যাওয়া হয়নি।

IMG_20240916_224302.jpg

IMG_20240916_224326.jpg

আজ বিকেলে কিন মা-মেয়ে মিলে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়লাম।প্রথমে বগুড়া মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে গিয়ে দেখি ওখানে কোন ডাক্তার নেই।ইমারজেন্সিতে একজন সব সময় কর্তব্যরত ডাক্তার থাকেন তিনিও নেই,কোথায় গেছেন কেউ বলতে পারেন না বিষয়টি খুবই দুঃখজনক লাগলো।সরকারি হাসপাতালে এজন্য মানুষ যেতে চায় না কারণ সেখানে রোগীদের কষ্টের কোনো দাম নেই সবাই নিজের ইচ্ছামত চলাফেরা করে।যাইহোক ওখান থেকে হতাশ হয়ে চলে আসলাম ইবনে সিনায়।এখানে এসে রিসিপশনে কথা বললাম মেডিকেল ফিটনেস এর জন্য কি কি ধরনের টেস্ট করাতে হয় সেগুলো শুনে বিল পরিশোধ করে উপরে চলে গেলাম টেস্ট করানোর জন্য।সেখানে প্রচুর ভিড় ছিলো কাগজ জমা দিয়ে আমরা বাহিরে বসে থাকলাম সিরিয়াল অনুযায়ী মেয়েকে ডাকা হলো,ও ভিতরে প্রবেশ করলো সাথে সাথে আমিও গেলাম।পরীক্ষার জন্য ব্লাড নেওয়া হলো।রিপোর্ট রাত সাড়ে নয়টায় দেওয়া হবে অনেক বেশি রাত হওয়ার কারণে আমরা রিপোর্ট করতে দিয়ে ওখান থেকে চলে আসলাম।এখন আগামীকাল সকালে রিপোর্ট নিয়ে তারপর আবারও সরকারি হাসপাতালে যেতে হবে ওখানে একজন মেডিকেল অফিসারের কাছ থেকে স্বাক্ষর করে নিয়ে তারপর সেই কাগজপত্র গুলো কলেজে জমা দিতে হবে।যদি সঠিক সময় জমা দিতে না পারি তাহলে আবার নতুন করে ভর্তি ফি দিয়ে ভর্তি করাতে হবে।

IMG_20240916_224336.jpg

IMG_20240916_224345.jpg

IMG_20240916_224355.jpg

মেয়ের ক্লাসের একজন ছাত্রী শারীরিকভাবে অসুস্থ সে প্রায় সময়ই অসুস্থ থাকে তাকে নাকি টিসি দিয়ে দেওয়া হবে।এই বিষয়টি আমার কাছে একদম ভালো লাগেনি,কেউ যদি অসুস্থ হয় তার জন্য সে একটা ভালো কলেজে পড়াশোনা করতে পারবে না এটা কেমন ধরনের কথা!!অসুস্থ জন্য কি তার পড়াশোনা বন্ধ হবে?আসলে যে কোনো জিনিসের ভালো যেমন দিক আছে তেমন খারাপটাও আছে আমরা হয়তো সেগুলো চোখে দেখি না,তাই ভালোটার পিছনে ছুটি।কিন্তু যখন আমরা ভিতরে যাই তখন তার খারাপ দিক গুলো দেখতে পাই আর তখন কিছুই করার থাকে না।

IMG_20230307_020842.png

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

Break3.jpg
Banner User.png
Break3.jpg

আমি অতসী চাকী (বৃষ্টি) । নতুন নতুন রেসিপি বানিয়ে সবাইকে খাওয়াতে আমার ভাল লাগে। আর ভাল লাগে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে। আমি "ভাল কাজের, ভাল ফল কথাটাতে" মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এবং মেনে চলার চেষ্টা করি।

Break3.jpg

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovfEfMUsxphK2C94MUmPesRzxucV6L5C5WztC1e4L1hqcx2mH3BcV9oEFqiwTsErcMQNvVa4puc9hxr4N1FcnerVs.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আসলে এই বিষয়গুলো আমার মোটেও ভালো লাগেনা। এটা তো ভর্তির সময় যা যা প্রয়োজন তার আগে যদি স্কুল কর্তৃপক্ষ সেগুলো বাচ্চার গার্জিয়ানদের বলে দেন তাহলে তারা সময় নিয়ে সেগুলো সংগ্রহ করতে পারেন। এছাড়াও অসুস্থ বলে যে স্কুলে তারা তাদের টিসি দেবে এই সিদ্ধান্তগুলো শুনে সত্যি অবাক হয়ে গেলাম। আসলে এটি কি পড়াশোনার করার জায়গা না শুধুমাত্র অন্যান্য দিক দেখানোর জায়গা। যাই হোক আপনার মেয়ে যাতে জীবনে বড় হয় সেই আশীর্বাদ রইল।

হ্যাঁ দাদা আগে থেকে জানা থাকলে আমাদের জন্য সুবিধা হয়।ভর্তির দিন কি পরিমাণ ভোগান্তি হয়ে তা বলার মতো নয়।অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।আশীর্বাদ করবেন।🙏

এসব স্কুলের নিয়মকানুন বেশ কঠোর। মানুষ অসুস্থ হতেই পারে তাই বলে টিসি দিয়ে দিবে এটা কেমন কথা। আর ভর্তি হতে দেখছি অনেক গুলো টাকা লাগল। সবচাইতে বড় কথা পুরোপুরি ধারণা না থাকার জন্য বেশ ভোগান্তিতে পড়েছেন আপনি যেটা একেবারেই অনাকাঙ্খিত।

হ্যাঁ ভাইয়া এই কথাটা আমিও মানতে পারছি না।অসুস্থ হতেই পারে সেটা তার বাবা-মা দেখবে কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষের তাতে কি আসে যায়!ধন্যবাদ ভাইয়া।

সব মায়েরাই তার সন্তানকে নিয়ে উচ্চাশা করতে পারে তাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য।সত্যিই এটা খুবই খারাপ বিষয় যে অসুস্থ ব্যক্তিতে ভর্তি করা হয় না।তাদের বড় কোনো স্বপ্ন থাকতে পারে কিন্তু মানুষ তাদের দুর্বলতাকে আগে তুলে ধরে এগোতে দেয় না।এইজন্য সবসময় প্রথমে জেনেশুনে পা বাড়াতে হয়,যাইহোক এখন কিছু করার নেই জেনে খারাপ লাগলো।যদিও কলেজের বিষয়গুলি শুনে আমার সুবিধার মনে হয় নি, তারপরও শুভকামনা রইলো বোনের জন্য।

ঠিক বলেছো মামনি অসুস্থ মানুষ কে সবসময়ই তার এই দূর্বলতা সামনের দিকে এগোতে দেয় না এটা আমি খুব ভালো করেই বুঝি।ধন্যবাদ মামনি।