আলোহা বাংলাদেশ এ মেয়েকে ভর্তির অভিজ্ঞতা।

in hive-129948 •  last year 

হ্যালো বন্ধুরা,

মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।

আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশর গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।আজ তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজ আমি লাইফ স্টাইল পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।তবে চলুন কথা আর না বাড়িয়ে আজকের লাইফ স্টাইল পোস্টটি শেয়ার করি।

"আলোহা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য"

আলোহা মানসিক পাটিগণিত ১৯৯৩ সালে মালয়েশিয়া থেকে যাত্রা শুরু করেন।আলোহা মানসিক পাটিগণিতের প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতি জনাব লোহ মুন সুং, সারা বিশ্বে ছোট বাচ্চাদের উন্নতির জন্য তার সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।বর্তমানে,আলোহা ৪০টিরও বেশি দেশে বিদ্যমান, এবং ৪+ মিলিয়নেরও বেশি শিক্ষার্থী এই কোর্সে নথিভুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশে আলোহা ২০০৬সালে যাত্রা শুরু করে। সারা দেশে ৬০০+ ইংরেজি এবং বাংলা মাধ্যম স্কুল থেকে ৮০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী এই পাঠক্রম বহির্ভূত প্রোগ্রামে নথিভুক্ত হয়েছে।এখানে শিশুরা মানসিকভাবে জটিল পাটিগণিত গণনা সমাধান করতে শেখে। ফলস্বরূপ, তাদের মস্তিষ্কের কোষগুলি উদ্দীপিত হয় এবং সংযোগ করে। একই সময়ে, তারা তাদের পুরো মস্তিষ্কের ফ্যাকাল্টি বিকাশ করে।

PhotoCollageMaker_20231201_000311608.jpg

গাইবান্ধার গেবিন্দগঞ্জে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে জটিল পাটিগণিত গণনা শেখানোর পাশাপাশি মস্তিষ্কের ফ্যাকাল্টির বিকাশ সহায়ক অ্যালোহা শাখার শুভ উদ্বোধন করা হবে। এই খবরটি শুনে খুবই খুশি হলাম।তার কারণ হলো আমি সবসময় চাই বাচ্চাদের লেখাপড়ার পাশাপাশি বাড়তি কিছু শেখানোর,যাতে করে ওরা অনেক বেশি কিছু শিখতে পারে জানতে পারে।ইচ্ছে ছিলো দুই মেয়েকেই ভর্তি করাবো।কিন্তু দুঃখের বিষয় তেরো বছরের উপরে আর বাচ্চাদেরকে ভর্তি করে নেয়া হয় না, তাই বড় মেয়েকে ভর্তি করানোর কোনো সুযোগ নেই।

PhotoCollageMaker_20231130_235722365.jpg

মেয়েকে ভর্তি করানোর উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লাম।তারপর গোবিন্দগঞ্জ শাখার প্রতিষ্ঠাতা তুষার ভাইয়ার সাথে কথা বললাম এবং বিস্তারিত সবকিছু জেনে নিলাম।আলোহা তে সিনিয়র গ্রুপে ২৪ মাসের কোর্স।এই ২৪ মাসের মধ্যে যদি কারো কোনো কারনে জায়গা পরিবর্তন করতে হয়,সেক্ষেত্রে সেই এলাকায় যে শাখা আছে সেখানে ক্লাস করতে পারবে।তার জন্য বাড়তি কোনো ফি দিতে হবে না,এই ভর্তি ফি দিয়েই বাংলাদেশের যেকোনো শাখায় ক্লাস করতে পারবে। শুধুমাত্র মাসিক বেতন দিলেই হবে।প্রতি সপ্তাহে একটি করে ২ ঘন্টার ক্লাস হবে,যদি কোনো কারনে কেউ ক্লাস মিস করে সেক্ষেত্রে সপ্তাহের যেকোনো দিন মেকাপ ক্লাস করতে হবে।মাসিক বেতন ১০০০ টাকা।

IMG_20231130_235626.jpg

সবকিছু জানার পর ২৬৭৫ টাকা দিয়ে মেয়েকে ভর্তি করালাম।ভর্তি করানোর সাথে সাথে আলোহা থেকে মেয়েকে একটি স্কুল ব্যাগ লেভেল ওয়ান এর কিছু বই কিছু খাতা একটা অ্যাবাকাস পেন্সিল আরো কিছু সামগ্রী দেওয়া হলো।ভর্তি শেষে ক্লাস রুম ঘুরে দেখলাম সবকিছুই বেশ ভালো লেগেছে।তারপর ওখান থেকে আমাদের কে একটি কার্ড দেওয়া হলো তার মধ্যে আলোহার উদ্বোধন অনুষ্ঠানের তারিখ এবং কে কে উপস্থিত থাকবেন সেই বিষয় গুলো লেখা ছিলো।নির্ধারিত দিনে আমরা নির্ধারণ করা কমিউনিটি সেন্টারে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদান করি।অনুষ্ঠানে আলোহা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা,ঢাকা থেকে প্রতিনিধি,রংপুর থেকে প্রতিনিধি,বগুড়া থেকে প্রতিনিধি এবং অনেক ক্ষুদে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক আসেন।সেই সাথে এখানকার টিচার জনপ্রতিনিধি শিক্ষার্থী অভিভাবক রা উপস্থিত ছিলেন।

PhotoCollageMaker_20231201_000045063.jpg

PhotoCollageMaker_20231130_232729835.jpg

শুরুতে কোরান তেলাওয়াত,গীতা পাঠ দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।আমার ছোট মেয়ে গীতা পাঠ করে।তারপর একে একে অনুষ্ঠানের মূল পর্বে চলে যায়।মূল্যবান বক্তব্য,আলোহা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য,
তারপর বগুড়া থেকে আগত খুদে শিক্ষার্থীদের অ্যাবাকাসের মাধ্যমে গণিত সমাধানের কিছু কলাকৌশল আরো বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে পুরো অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছিলো।তারপর খাওয়া দাওয়া পুরস্কার প্রদান এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

IMG_20231130_232423.jpg

IMG_20231130_232459.jpg

আড়াই মাস যাবত মেয়ে ক্লাস করছে তাতে করে ও বিভিন্ন অংকের সমাধান অনায়াসে হাতের সাহায্যে এবং অ্যাবাকাসের মাধ্যমে করতে পারছে।এই কয়দিনে মেয়ের মোটামুটি বেশ ভালো গণিতের উপর দক্ষতা অর্জন করেছে যা দেখে শিক্ষক এবং আমরা সবাই খুশি।আগামীকাল রংপুর থেকে একজন প্রতিনিধি আসবেন এবং আমার মেয়ের কিছু পরীক্ষা নিবেন আশা করছি ও ভালোই করবে।আপনারা সবাই আমার মেয়ের জন্য আশীর্বাদ ও দোয়া করবেন। পরবর্তীতে আমি মেয়ের গণিত সমাধানের ভিডিও আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।

ধন্যবাদ।

RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt2ZiuB4UwXiaLrysjtrVMUbAZMrqbsT8opre1BTbbmPnF1NuhTfmhXvmcf2NQCbDFv833qFTc4KQk2SYu8z.png

আমাদের উইটনেস কে সাপোর্ট করুন।

99pyU5Ga1kwqSXWA2evTexn6YzPHotJF8R85JZsErvtTWY6ryCgnizd4SmozHPACxnHF8Lc4cYHYazhMMYtnXHUFLoeHg6pvGz8XiqU4kJ9G4Wwh7s6WvRRrwCpUijw4cW.jpeg

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

Break3.jpg
Banner User.png
Break3.jpg

আমি অতসী চাকী (বৃষ্টি) । নতুন নতুন রেসিপি বানিয়ে সবাইকে খাওয়াতে আমার ভাল লাগে। আর ভাল লাগে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে। আমি "ভাল কাজের, ভাল ফল কথাটাতে" মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এবং মেনে চলার চেষ্টা করি।

Break3.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বাহ্! আপনার ছোট মেয়েকে আলোহা বাংলাদেশ এ ভর্তি করিয়েছেন,এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। আপনার মেয়ে ধীরে ধীরে গণিতের উপর অনেক বেশি দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হবে,এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। সর্বোপরি আপনার মেয়ে বড় হয়ে মানুষের মতো মানুষ হবে এবং প্রচুর মেধাবী হবে সেই কামনা করছি। যাইহোক এতো সুন্দর অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

প্রথমে অর্থীর জন্য শুভকামনা রইলো।আলোহা বাংলাদেশে সম্পর্কে খুব চমৎকার খুটিনাটি বর্ণনা দিয়েছেন আপনি।আড়াই মাসে অনেক আয়ত্তে এনেছে অংকে জেনে খুব ভালো লাগলো।সব ভালো যার শেষ ভালো তার এটাই আসল কথা। শুরুতে ভালো হচ্ছে অবশ্যই শেষটাও ভালো দেখতে পারবো আমরা।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।