"হ্যালো বন্ধুরা"
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।
আমি @bristychaki "আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার। আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আশাকরি আজকের ব্লগ টি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
পৃথিবীর সকল মানুষের মধ্যে অধিকাংশ মানুষেরই কোনোনা কোনো স্বপ্ন থাকে। স্বপ্ন সবাই দেখে আর এক সময় স্বপ্ন দেখতে দেখতে স্বপ্ন পূরণ হয় বা সফলতা অর্জন করে।।শুধু স্বপ্ন দেখলেই হবে না স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য কঠোর পরিশ্রম এবং মনের মধ্যে ধৈর্য রাখতে হবে তাহলেই কোনো না কোনো দিন সফলতা ঠিকই পাওয়া যাবে।অনেকেই স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন কিন্তু সেই স্বপ্ন কে বাস্তবায়নের জন্য কোনো পরিশ্রম করেন না।কিন্তু পরিশ্রম ছাড়া কখনোই স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব না।স্বপ্ন পূরণ করার জন্য পরিশ্রম এবং ধৈর্য্য থাকা খুবই জরুরি।কথায় আছে যে ধৈর্যের ফল মিষ্টি হয় আর এই ধৈর্যই এবং পরিশ্রম একজন মানুষের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।
একজন বাবার স্বপ্নের কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি...।
আমাদের এলাকার সুমন ভাইয়া তিনি ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট খেলা খুবই পছন্দ করতেন।উনি ছিলেন অলরাউন্ডার, স্কুল টুর্নামেন্ট থেকে শুরু করে পেমেন্ট খেলেছেন বিভিন্ন জেলায় লিগ খেলেছেন কিন্তু তাঁর পরিবার ক্রিকেট খেলাকে একদম পছন্দ করতেন না।কারণ তখন হয়তো তাঁর পরিবার ক্রিকেট খেলার গুরুত্ব বুঝতে পারেনি।হয়তো ভেবেছিলো আমাদের সন্তান পড়ালেখা করে বড় কোনো অফিসার হবে ডাক্তার হবে, ইঞ্জিনিয়ার হবে..।আসলে এই স্বপ্ন গুলোই প্রতিটি বাবা-মা দেখে থাকেন,আর তেমনিই হয়তো সুমন ভাইয়ার বাবা-মাও দেখেছিলেন।তাই ছেলের ক্রিকেট খেলাটাকে ভালোভাবে মেনে নিতে পারেননি।কিন্তু সুমন ভাইয়ার ক্রিকেট খেলা একটা নেশার মতো ছিলো আর এই নেশা কাটিয়ে উঠা তার পক্ষে কখনোই সম্ভব ছিলো না,তাই শত বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে পরিবারের বিরুদ্ধে বাসা থেকে পালিয়ে খেলতে যেতে হতো তাঁকে।আর খেলা শেষে বাড়িতে ফিরে তাকে কম গালমন্দ খেতে হয়নি কিন্তু তবুও তাকে কোনোভাবে দমিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি।
সুমন ভাইয়া ভলকানিক স্পোর্টিং ক্লাব গোবিন্দগঞ্জ গাইবান্ধা। অলরাউন্ডার ডান হাতি খেলোয়াড় ছিলেন।
পারিবারিক সাপোর্ট না থাকার কারণে ২০০৫ সালে বাধ্য হয়েই তাঁকে ক্রিকেট খেলা ছেড়ে দিতে হয়।তারপর শুরু হয় তাঁর সংগ্রামী জীবন। পড়াশোনা শেষ করে link3 Technology Limited এ পাঁচ বছর চাকরি করেন।তারপর Adn Telecom Limited এ Engineer Incharge of Rajshahi Division দীর্ঘদিন চাকরি করেন তারপর ২০২০ সালে নিজ এলাকায় ফিরে আসেন।তারপর বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করেন কিন্তু তিনি তার নিজের যোগ্যতা অনুয়ায়ী সন্মান ও ভালোবাসা পায়নি,সবাই শুধু তাকে ব্যবহার করেছেন।এরমাঝে তিনি তার বাবাকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন।একটা সময় গিয়ে সংসার থেকে একেবারে বিছিন্ন হয়ে যায়,মাথার উপরে বাবা নামক ছাদ না থাকলে যা হয় আরকি। যখন একটা সংসারের মাথা থাকে না তখন সেই সংসারের নিয়মশৃঙ্খলা বলে আর কিছু থাকে না।তখন সবাই যে যার মতো স্বার্থ হাসিল করতে ব্যস্ত থাকে,কার কি হলো তা দেখার প্রয়োজন বোধ করে না কেউ।সুমন ভাইয়া সন্মান ও ভালোবাসা নিয়ে বাঁচতে চেয়ছিলো কিন্তু সে কখনোই তার প্রাপ্য ভালোবাসা পায়নি আর তাই বাধ্য হয়েই একটা সময় গিয়ে নিজে থেকে একা হয়ে যান।
এখন তিনি তার একমাত্র সন্তান তারিফ মৃধা কে নিয়েই স্বপ্ন দেখেন এবং সেই স্বপ্ন পূরণ করার লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন.....তাঁর স্বপ্ন গুলো আগমী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো সবাই সাথে থাকবেন এই প্রত্যাশা করে এখানেই শেষ করছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit