গুলাব জামুন

in hive-129948 •  2 days ago  (edited)

হ্যালো

মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।

আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজ একটি রেসিপি ব্লগ শেয়ার করছি আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।

ভাত কিংবা রুটি খাওয়ার পর শেষ পাতে মনটা একটু মিষ্টি মিষ্টি করে। যাঁরা খুবই স্বাস্থ্য সচেতন, তাঁরা হয়তো রোজ মিষ্টি খান না। কিন্তু মাঝেসাঝে নিয়মেরও তো ব্যতিক্রম করতে ইচ্ছে করে! আর বাড়িতেই যদি খুব কম সময়ে দোকানের মতো মিষ্টি বানানো যায়, তা হলে আর রসনাকে থামায় কে! ঘরে থাকা জিনিস দিয়েই বানিয়ে ফেলুন মন ভোলানো গুলাব জামুন।চলুন তাহলে রেসিপি টি জেনে নেওয়া যাক।

IMG_20240918_105547.jpg

IMG_20240918_105613.jpg

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPbr3NLMLZnhrdRqPwLyGfo67pSFwzw2EEaCftUfSziyJ2xFDia62QkbkJFNz7...xX4hK8ieFFZh8sFdRCNoFpBkuAvG3N8eHd8PXq7t9a7mTbUzUC5gL813RXd81WPUvj47XJZygHxLYQ8C8LKFh8Gug6o3jLjoMerfxUdATkNUBsBUGED6uL86xv.png

উপকরণপরিমাণ
গুঁড়া দুধ১০০ গ্রাম
ডিম১টা
সুজি২ চা চামচ
বেকিং সোডা১ চা চামচ
এলাচিগুঁড়াসামান্য
ঘি১ টেবিল চামচ
চিনিছোট ১ কাপ
সয়াবিন তেলপরিমাণ মতো

InCollage_20240918_111009527.jpg

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPopZf4WzLkLt2GM6eX9AHLDkSq2jR6LAJKegZpLRTntzQJw24KesnUfWmiusx...hPHYN46GXsQv3YEp1AiuaFhfZeN3NHKWdnrggvu6y3TeYFmmwouceCJ3h2gQeHaWGztv9Ppb6ugQeC92xtAcNMzvtQdvLkmz665ZBGqmuTXi3GViaGNHqp21DQ.png

ধাপ-১

প্রথমে গুঁড়া দুধ সুজি বেকিং সোডা এবং এলাচিগুঁড়া একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।তারপর ঘি দিয়ে ভালো করে ময়াম দিয়ে নিয়েছি কি করে মিষ্টি গুলো অনেক সফট হয়।
InCollage_20240918_111109337.jpg

ধাপ-২

এবার একটা ডিম বাটিতে ভেঙ্গে নিয়েছি।তারপর অল্প অল্প করে গুঁড়া দুধের মিশ্রণের মধ্যে দিয়ে হাত দিয়ে ভালো করে মেখে নিয়ে একটা সফট ডো তৈরি করে নিয়েছি।
InCollage_20240918_111146167.jpg

ধাপ-৩

এবার ডো টা কিছুক্ষণের জন্য ঢেকে রেস্টে রেখেছি।তারপর দুই হাতে ঘি মেখে নিয়ে ছোট ছোট করে মিষ্টির আকারে তৈরি করে নিয়েছি।

InCollage_20240918_111228784.jpg

ধাপ-৪

কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে হালকা গরম করে নিয়েছি।তারপর একা একা মিষ্টিগুলো তেলের মধ্যে ছেড়ে দিয়েছি।অল্প আঁচে নেড়েচেড়ে মিষ্টি গুলো লাল লাল করে ভেজে তুলে নিয়েছি।
InCollage_20240918_111336190.jpg

ধাপ-৫

এবার কড়াইয়ে এক কাপ চিনি ও এক কাপ জল দিয়ে সিরা তৈরি করে নিয়েছি।
InCollage_20240918_111528100.jpg

ধাপ-৬

এবার সিরা গুলো একটা বাটিতে ঢেলে নিয়েছি।সিরা গুলো হালকা গরম থাকা অবস্থায় ভেজে রাখা মিষ্টি গুলো সিরার মধ্যে ছেড়ে দিয়েছি।তারপর দুই তিন ঘন্টার জন্য রেখে দিয়েছি যাতে মিষ্টির মধ্যে ভালোভাবে সিরা ঢুকতে পারে এবং মিষ্টি গুলো নরম হয়।দুই তিন ঘন্টা পর মিষ্ গুলো সিরা থেকে তুলে একটা বাটিতে তুলে নিয়েছি।
InCollage_20240918_111622071.jpg

শেষ ধাপ

অতিরিক্ত সিরা বাদ দিয়ে মিষ্টি গুলো তুলে পরিবেশনের জন্য বাটিতে তুলে একটা মিষ্টি কেটে দেখে নিলাম মিষ্টি গুলো উপর একটু শক্ত আর ভিতর থেকে একেবারে নরম তুলতুলে ফ্লাফি হয়েছে ঠিক মিষ্টির দোকানের মতো একদম পারফেক্ট গুলাব জামুন হয়েছে।

IMG_20240918_105613.jpg

IMG_20240918_105602.jpg

দোকানে এক কেজি মিষ্টির বর্তমান মূল্য তিনশো থেকে সাড়ে তিনশো দরে বিক্রি করা হচ্ছে আর সেখানে মাত্র একশো টাকা খরচ করে যদি প্রায় এক কেজির মতো মিষ্টি তৈরি করা যায় তাহলে দোকান থেকে বেশি দাম দিয়ে কিনে খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।আজকের রেসিপি টি আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে!কার কেমন লাগলো অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।

IMG_20230307_020842.png

99pyU5Ga1kwqSXWA2evTexn6YzPHotJF8R85JZsErvtTWY6ryCgnizd4SmozHPACxnHF8Lc4cYHYazhMMYtnXHUFLoeHg6pvGz8XiqU4kJ9G4Wwh7s6WvRRrwCpUijw4cW.jpeg

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

Break3.jpg
Banner User.png
Break3.jpg

আমি অতসী চাকী (বৃষ্টি) । নতুন নতুন রেসিপি বানিয়ে সবাইকে খাওয়াতে আমার ভাল লাগে। আর ভাল লাগে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে। আমি "ভাল কাজের, ভাল ফল কথাটাতে" মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এবং মেনে চলার চেষ্টা করি।

Break3.jpg

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovfEfMUsxphK2C94MUmPesRzxucV6L5C5WztC1e4L1hqcx2mH3BcV9oEFqiwTsErcMQNvVa4puc9hxr4N1FcnerVs.gif

$PUSS

D5zH9SyxCKd9GJ4T6rkBdeqZw1coQAaQyCUzUF4FozBvW787kzcgWYkwvNtA2hFHjZmHJF7T9cU9fuNnktTXyjPQrbBYfZq5mcrxbtVXjuouLjrPEViYtkZQyE2bNmeVzsXTft.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আপনি এ মিষ্টি তৈরি করতে পারেন দেখে কিন্তু সত্যি আমি অবাক হলাম আপু। বাজারে গেলে পারে এই মিষ্টিগুলো বেশ চোখে বাধে। আর আমি এই জাতীয় মিষ্টি গুলো বেশি পছন্দ করে থাকি। কিন্তু আমাদের মধ্যে একজন এটা তৈরি করতে পারে সত্যি বেশ ভালোলাগার বিষয়। খুব সুন্দর ভাবে আপনি কার্যক্রম শুরু করেছেন এবং কাজের প্রক্রিয়া তুলে ধরেছেন। ভালো লাগলো নতুন একটা অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ধারণা পেয়ে।

সত্যিই আপু বাজারে গেলে এইধরণের মিষ্টি গুলো চোখে ধরে বেশি।আমি আগে অনেক ধরণের মিষ্টি তৈরি করতাম আপু এখন অলসতার কারণে করা হয় না।তবে এখন থেকে মাঝে মাঝে মিষ্টির রেসিপি দেওয়ার চেষ্টা করবো।ধন্যবাদ আপু।

মিষ্টিগুলো দেখেইতো খেতে ইচ্ছে করছে আপু। সত্যি আপু শেষ পাতে মিষ্টি হলে একেবারে জমে যায়। একটা সময় অনেক মিষ্টি খেতাম। কিন্তু এখন আর একদম মিষ্টি খাই না। তবে আপনার হাতে তৈরি করা এই মিষ্টি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। আর খুবই লোভনীয় লাগছে।

আপু একদিন চলে আসেন এভাবে মিষ্টি তৈরি করে খাওয়াবো।আগে আমিও প্রচুর মিষ্টি খেতাম এখন খাই না তেমন।ধন্যবাদ আপু।

কাকিমা আপনি অনেক সুন্দর করে মিষ্টি গুলো তৈরি করেছেন। মিষ্টি গুলো অনেক লোভনীয় দেখতে লাগছে। মিষ্টি দেখে এখন খেতে ইচ্ছা করছে। ধন্যবাদ কাকিমা এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

আরে বাহ দারুন তো। আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে মিষ্টি তৈরীর খুবই সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আসলেই মিষ্টি গুলো খেতে খুবই স্বাদ হয়ে থাকে। আপনি দেখছি বাসায় খুব সুন্দর করে মিষ্টি তৈরি করেছেন। তবে আমি যতটুকু জানি বাজারের থেকে বাসায় তৈরি করে খাওয়ার মজাই আলাদা। সত্যিই মিষ্টি দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু রেসিপিটি খুব সুন্দরভাবে পর্যায়ক্রমে শেয়ার করার জন্য।

আমি মোটামুটি বাজারের খাবার গুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি যতটুকু সম্ভব বাসার তৈরি করা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

এভাবে কোনদিন করিনি তো! ওই বাজারে যে মিক্স পাওয়া যায় ওটাই করেছি কয়েকবার। এবারে এভাবে করে দেখব৷ আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা জানাই এমন সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করলেন আমার সাথে৷ ভালো থাকবেন৷

দোকানের মিক্স গুলো কখনো খাইনি তবে মিষ্টির দোকান থেকে কিনে খেয়েছি অনেক।এখন অবশ্য বাসায় বানানোর চেষ্টা করি।ধন্যবাদ দিদি।

অসাধারণ আপু অসাধারণ, আপনি অনেক সুন্দর ও যত্ন সহকারে গুলাব জামুন তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আসলে আপু পৃথিবীতে অনেকেই অনেক নেশা করে কিন্তুু আমার একটাই নেশা সেটা হচ্ছে মিষ্টি খাওয়ার নেশা। মিষ্টি দেখলে আমার মাথা আর কাজ করে না মিষ্টি খেতে হয়। তো সকালে ঘুম থেকে উঠে যখন আপনার পোস্টটা দেখি তখন থেকেই আমার মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা শুরু হয়েছে আশা করি মিষ্টি না হয় টাকাটা দিয়ে দিবেন হাহাহা। যাইহোক আপু আপনার রন্ধন প্রণালী এবং কালার টা দেখে মনে হচ্ছে গুলাব জামুন মিষ্টিটা অনেক সুস্বাদু হয়েছিল । আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এরকম একটি আমার পছন্দনীয় রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

এটা ঠিক বলেছেন আপু অনেকের অনেক রকমের নেশা থাকে।আমার যেমন চায়ের নেশা চা দেখলে মাথা ঠিক থাকে না।আপনি আমার বাসায় চলে আসেন আপু মিষ্টি বানিয়ে খাওয়াবো।অসম্ভব সুন্দর মন্তব্য টি করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।

আপু আপনি তো দেখছি সেরা রাঁধুনি। আপনার হাতের তৈরি করা এই গুলাব জামুন দেখে তো খুবই লোভনীয় লাগছে। একদম পারফেক্ট ভাবে তৈরি করেছেন। চমৎকার একটি রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

জ্বি ভাইয়া একদম পারফেক্ট গুলাব জামুন হয়েছিলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।

এটাকে আমাদের দিকে কালো জাম মিষ্টি বলে থাকে। মিষ্টির মধ্যে এটা আমার সবচাইতে পছন্দের মিষ্টি। কিন্তু বাড়িতে কখনও তৈরি করা হয়নি। গোলাব জামুন টা দারুণ তৈরি করেছেন আপু। দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। পোস্ট টা চমৎকার উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।

কালোজাম আর গুলাব জামুন এর মধ্যে একটু পার্থক্য আছে এরপর একদিন কালোজাম নিয়ে হাজির হয়েছে যাবো।🙂ধন্যবাদ ভাইয়া।

গুলাব জামুন রেসিপিটি ভীষণ লোভনীয় হয়েছে। আসলে মিষ্টি কখনো কখনো শরীরের জন্য ক্ষতিকর হলেও মিষ্টির প্রতি আকর্ষণ সবারই। গুলাবজামুন হলে তো কথায় নেই।ধাপে ধাপে লোভনীয় রেসিপি টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ক্ষতিকর জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ সবসময় বেশিই হয়।মিষ্টি খেতে তো খুবই পছন্দ করি কিন্তু এখন আর ইচ্ছে থাকলেও খাওয়া হয় না।ধন্যবাদ।