"মিনহার অগ্রীম জন্মদিন"shy-fox 10%

in hive-129948 •  2 years ago 

হ্যালো

আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি, সুস্থ আছি।

আমি আগেই বলেছিলাম আমাদের বিল্ডিং এ প্রতিমাসে কমবেশি ২-৩ টা বাচ্চার জন্মদিন থাকে। ডিসেম্বর মাসে পর পর ৪ জনের জন্মদিন।মিনহার জন্মদিন ২৪ তারিখে হয় কিন্তু বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার কারনে ওরা গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত কিন্তু মিনহা ওর জন্মদিন পালন না করে এখান থেকে কিছুতেই যাবেনা।
IMG_20221222_184103.jpg

কোন একটা বিশেষ কারনে ওদের বাড়িতে যাওয়াটাও খুব জরুরি এদিকে মেয়েও কিছুতেই জন্মদিন না করে যাবেনা তার কারন হলো আমাদের বিল্ডিং এ অনেক গুলো বাচ্চা একসাথে খেলাধুলা করে সবার সাথে সবার খুব বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তাই সবাই জন্মদিন একসাথে পালন করে।
IMG_20221222_184125.jpg

মেয়ের কান্না দেখে বাবা-মা সিদ্ধান্ত নেয় যে এবার আগেই ওর জন্মদিন পালন করবে,তাই ২০ তারিখ সন্ধ্যায় একটা কেক এনে বিল্ডিংয়ের সব বাচ্চাদের ডেকে কেক কাটার ব্যবস্থা করলো।এবারের আয়োজন খুব কম ছিল কিন্তু তারপরও এরা সবাই মিলে খুবই আনন্দ উপভোগ করেছিলো।
IMG_20221222_204019.jpg

হঠাৎ করেই জন্মদিনের ডাক কি করবো আমরা ভেবে পাচ্ছিলাম না যে কি উপহার দেওয়া যায়। তারপর সব মায়েরা মিলে টাকা দিয়ে একসাথে করে উপহার কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।এক ভাবি আর আমি মিলে বাজারে গেলা তখন রাত ৮ টার মতো বাজে তাই বেশিরভাগ দোকান বন্ধ হয়ে গেছে আমাদের এলাকায় খুব তাড়াতাড়ি মার্কেট বন্ধ হয়ে যায়। কয়েকটা দোকান খোলা ছিল ঘুরে ঘুরে দেখে সিরামিকের বড় একটা ট্রে কিনে আনলাম। মিনহা ট্রে পেয়ে খুবই খুশি সাথে সাথেই ট্রের মধ্যে খাবারের থালা, গ্লাস তুলে নিয়ে খাবার খাওয়া শুরু করলো।
IMG_20221222_204006.jpg

প্রথমে সব বাচ্চারা মিলে কেক কাটলো,তারপর সবাইকে কেকে খেতে দিলো,কেক পায়েস খাওয়া শেষ হলে চিকেন বিরিয়ানি, বেগুন ভাজি,সালাদ খেতে দিলো বাচ্চাদের সব বাচ্চারা একসাথে বসে খুব মজা করে সবগুলো খাবার গুলো খেয়ে নিলো।খাবার খাওয়ার পর কোক খেতে দিলো, কোক খাওয়া শেষে সব বাচ্চারা মনের আনন্দে গান ছেড়ে নাচানাচি শুরু করে দিলো। ঘন্টাখানেক সবাই নাচনাচি করে যে যার মতো বাসায় ফিরে গেলো।

IMG_20221222_204031.jpg

IMG_20221222_184103.jpg

এই ছিলো মিনহার অগ্রীম জন্মদিনের অনুষ্ঠান। মিনহা এবং সব বাচ্চারা একসাথে বেশ ভালো সময় উপভোগ করতে পেরে সবাই খুব খুশি ছিলো। মিনহার জন্য অনেক অনেক আশীর্বাদ করি ও যেনো ভালো মনের মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এবং বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করে।

g6br9NKHvSo72r7xnHSpj1hkcv6csCddDyMEi1jUecgDw3N4Yfy6YpdUvdCyw6kiWy8pVjCrDNVML5aQoBLFZoYCEFX6JNcKgvs5UsgTeh...vc46UPdpEf1AVVuUWBn8RUMuwUdmFWuyrwZEyyuDTDyVbPcmkcnLzvaPhyPaKzykkdRpMiY3R5t15G2er9hQQRrN59nMWe2xMnGw1fVdX6StCUsD1ukGkadgPX.gif

mCz6aUXpYgcE9hndDxJeFHNCvijWNENnxm5KqcEUM3o1siCoMX3by8iWdE4qYzWA7pZHzh4KthdoHPj2eEciPaXhHTdxhx5dKApkU8hxE3...T19qBCX5ekz5FNFR1oiK5EffVchfQ77rVAnRKP7SuUVtG2A9iPsKMeWLjPtezhuebVdC3Qkeg1CQKEobmmEXgh7vAs8mSHVPwHdjaKeHy1rp495uqGyc1aV86S.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

মিনহার জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই শুভ জন্মদিন।

জন্মদিনে নিশ্চয় সবাই খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানগুলো একটু অন্যরকম হয়ে থাকে। যদিও খাওয়া-দাওয়া টা বিষয় না সবচেয়ে বেশি বড় বিষয় হলো আনন্দ করা। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল। এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

জ্বি ভাইয়া খাওয়া দাওয়া বড় বিষয় না সবাই মিলে একসাথে আনন্দ উপভোগ করাটাই অনেক ভালো লাগার বিষয়। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

সবার জন্মদিন পালনের আনন্দ দেখে মিনহাও তার জন্মদিন পালন না করে যেতে রাজি হচ্ছিল না। কারণ সে বুঝতে পেরেছিল যে বাড়িতে গেলে তার জন্মদিন পালন করা মিস হয়ে যাবে। তাছাড়া বাচ্চাদের জন্মদিনের গিফটের প্রতি একটা আকর্ষণ থাকে। বেশিরভাগ জায়গায় দোকান এখন আটটার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় । তারপরও আপনারা সব ভাবীটা মিলে মিনহার জন্য একটা ট্রে কিনেছেন দেখে ভালো লাগলো। বাচ্চারা খুবই মজা করেছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

একদম ঠিক বলেছেন আপু সবার দেখাদেখি মিনহাও এখান থেকে জন্মদিন পালন না করে যেতে চাইছিলো না। বাচ্চারা সবসময়ই গিফট পেতে অনেক পছন্দ করে। আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

সত্যি বাচ্চারা একে অপরকে ছেড়ে যেতে চায়না। তাইতো মিনহাও জন্মদিন উদযাপন না করে এখান থেকে যেতে চাইছিল না। সবাই যেহেতু বাসায় থাকে তাই ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথে একটু গভীর বন্ধুত্ব হয়ে যায়। মনে হয় আপনারা সবাই মিলে যখন মিনহাকে জন্মদিনের গিফট দেন তখন সে অনেক খুশি হয়েছিল। আসলেই বাচ্চারা অল্প কিছুতেই খুশি হয়ে যায়। সবাই মিলে অনেক আনন্দ এবং মজা করেছেন মনে হয়। খুবই ভালই খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখছি। যাই হোক আপনার কাটানো এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

জ্বি আপু এখানে অনেক গুলো বাচ্চা পাশাপাশি থাকে তারা সবাই একে অপরের ভালো বন্ধু কেউ কাউকে ছাড়া একদম থাকতে চায় না।গিফট পেয়ে মিনহা অনেক খুশি হয়েছিলো।সবাই অনেক আনন্দ উপভোগ করেছে।ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।