নমস্কার বন্ধুরা।
হ্যাঁ‚ তা আগের দিন যেখানে ছিলাম। আমার সেই হাবড়াতে মসলা আনতে যাওয়ার গল্প! আগের পর্বটা এখানে পেয়ে যাবেন‚ লিংক দিয়ে দিলাম।
প্রথম পর্ব
তো সেই দোকানে গিয়ে হলুদ, জিরে, ধনে কিনে রেখে, ওদের ভাঙাতে দিয়ে, আমি বেরিয়ে আসলাম টিফিন করার জন্য। পাশে অবশ্য একটা চায়ের দোকান ছিল। কিন্তু ওখানে প্লাটর্মে একটা লোক পরোটা নিয়ে বসে, তার যা স্বাদ, যে না খেয়েছে সে কোনদিনও বুঝবে না। সকাল ৭ টা মত বাজলেই রীতিমতো লাইন লেগে যায় লোকটার কাছে পরোটা কেনার জন্য। আমি হাবড়াতে গেলেই সবার আগে ওনার কাছে ঢুঁ মারি পরোটার খোঁজে। অনেকে তো আবার রীতিমতো টিফিন বক্স নিয়ে আসে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
সেই পরোটাওয়ালা
তো আমি এবারও গেলাম যথারীতি। প্রতি পিস ৫ টাকা‚ সাথে তরকারি! আমি চার পিস কিনলাম। সকালের খাওয়া হিসাবে খারাপ না! তারপর প্ল্যাটফর্মে বসে কিছুক্ষণ লোকজন দেখলাম‚ ফোন ঘাটলাম‚ অলস সময় কাটালাম! আসলে অতগুলো হলুদ,জিরে, ধনে ভাঙ্গাতে সময় লাগবে তো। লঙ্কাও ভাঙাতে দিতাম, মানে ভেবেছিলাম দেবো। কিন্তু ওখানে গিয়ে খেয়াল আসলো যে লঙ্কা একটু না রোদে দিয়ে নিলে ভালো ভাঙ্গানো হয় না। তাই শেষ পর্যন্ত লঙ্কা গুঁড়োর আশা ত্যাগ করতেই হলো। তারপর আরো কিছুক্ষণ এদিক ওদিক ঘুরে, কিছু ফটো তুলে, তারপর ধীরে ধীরে এক ঘন্টা পর গেলাম সেই দোকানে।
দোকানদার বিশ্বস্ত মানুষ তা আগেই বলেছি। সামনে দাঁড়িয়ে পাহারা দেওয়ার ন্যূনতম কোন কারণ নেই। লোকটাকে আসলেই সবাই বিশ্বাস করে। আমিও কিছু পর গেলাম। কিন্তু কি ভাগ্য, হলুদ ভাঙ্গানো হওয়ার পরই কারেন্ট চলে গেছে। তাই জিরে আর ধনে ভাঙ্গানো হয়নি। লোকটা বসে আছে চুপ করে। আমার আর কি? আমিও গিয়ে বসলাম লোকটার পাশে। মার্কেট চলছে, লোকজন কেনাকাটা করছে। আমি ফোন ঘাটছি আর লোকের কেনাকাটা দেখছি। একটা ইঁদুর গোডাউন থেকে বেরিয়ে এসে জল খাচ্ছে, তাও দেখছি আর তার ফটো তুলছি। কিছুক্ষণ লোকজনের সাথে গল্পসল্প করলাম। খেলা থেকে রাজনীতি সবকিছু নিয়েই খেজুরে আলাপ হল। একবার চা খেতে গেলাম পাশের দোকানে।
কি কিউট ইঁদুরটা
তারপর আরো অনেকক্ষণ বসার পর যখন দেখলাম যে কারেন্ট আসতে দেরী হবে।, তখন শুধুমাত্র হলুদ নিয়েই বাড়ি চলে আসলাম। কারণ ওই সময়ে হাবড়া লোকাল টা আছে। অত বড় ব্যাগ নিয়ে হাবরা লোকাল যদি না পাই তাহলে আসতে খুব সমস্যা হবে। তাই আর দেরি না করে ব্যাগ পত্র গুছিয়ে চলে আসলাম। এসে প্লাটফর্মে মিনিট খানেকের বসা, তারপর ট্রেন, আর তার পর ট্রেন ধরে সোজা বাড়ি।
আমার কথা -
আমি @bull1 পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় থাকি। বয়স ২৮ বছর। ছাত্রজীবনে ইতিহাসে আর অঙ্কে গ্র্যাজুয়েট কমপ্লিট করেছি। এখন শিক্ষকতা করি। আর টুকটাক লেখালেখি করার অভ্যাস আছে। |
---|