আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
সব সময় নেগেটিভ ব্যাপারগুলো নিয়েই আমরা সাধারণত কথা বলি। অর্থাৎ কোনো মানুষের গুণ নিয়ে কথা বলার চাইতে আমাদের কাছে কোনো মানুষের দোষ নিয়ে কথা বলাটাই বেশি সহজ মনে হয়। অর্থাৎ কোনো কাজে কাউকে অপ্রিসিয়েট খুব একটা করতে না পারলেও। সেই একই কাজটিতে কারো ভুল ধরতে আমরা খুব একটা দেরি করি না এবং আমার মনে হয় এটা একটা সাইকোলজিক্যাল ইস্যু। অর্থাৎ আমরা ভুলটা একটু বেশি দেখি আর গুন একটু কম দেখি। তো তাই আমি ভাবলাম যে, চিরাচরিত অভ্যাস থেকে একটু সরে এসে। আজকে একটু গুণ নিয়েই কথা বলা যাক।
আপনারা যারা আমার ব্লগ ডেইলি ফলো করেন। তারা দেখেছেন যে আমি বিগত দিনেও বন্যা নিয়ে অনেকগুলো পোস্ট করেছি। কারণ বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ব্যাপার হচ্ছে এই বন্যা। কারণ এই বন্যাতে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখন এই বন্যাতে অনেক খারাপ মানুষ রয়েছে। আবার অনেক ভালো মানুষ রয়েছে। অর্থাৎ আমি ভলেন্টিয়ার দের কথা বলছি।
আজকে এমন একটা ছেলের কথা বলবো। যাকে আসলে আমার মনে হয় শহীদ উপাধি দিলেই ভালো হবে। কারণ ওই ছেলেটি এতোটাই নিবেদিত প্রাণ দেশের মানুষদের প্রতি যে, ছেলেটি একটি মানুষকে উদ্ধার করতে গিয়ে বিদ্যুতের শক খেয়ে মারা গিয়েছে। অর্থাৎ আপনারা চিন্তা করুন, আসলে এই মানুষগুলো নিজেদের জীবনের কতোটা ঝুঁকি নিয়ে অন্য মানুষদেরকে বাঁচাতে যায়।
আমরা মুখে যতোই বলি যে আমরা মানুষদেরকে নিয়ে ভাবি। আমরা মানুষের জন্য নিজের প্রাণ ত্যাগ করতে পারবো। কিন্তু বেশিরভাগ সময় আমরা নিজের চেয়ে কাউকে ভালবাসতে পারি না। এবং এটা একেবারে স্বাভাবিক। কিন্তু এই স্বাভাবিক জায়গাটার থেকে একটা মানুষ কি করে বের হয়ে, অন্য মানুষের জন্য প্রাণ দিয়ে দেয়। তাও একেবারে অচেনা অপরিচিত কারো জন্য। এটা ভাবতেই যেনো আমার মেরুদন্ড দিয়ে একটা ঠান্ডা স্রোত বেয়ে যায়। কারণ এতো ভাল মানুষ আমাদের পৃথিবীতে এখনো বেঁচে রয়েছে। এটা ভাবাই মুশকিল! কতোটা নিবেদিত প্রাণ এখনো আমাদের চারপাশে রয়েছে। সেটা হয়তো আমরা নিজেরাও জানিনা।