দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা। পর্ব: ০৯

in hive-129948 •  4 months ago 

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে দেশের কল্যাণে সবাই এগিয়ে আসুন সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।


image.png



লিংক


আসলে আমরা প্রতিনিয়ত ঘরের বাইরে বের হই কাজ করার উদ্দেশ্যে। কেননা আমরা যদি বাইরে গিয়ে কাজ না করি তাহলে আমাদের সংসার চালাতে অনেক বেশি কষ্ট হবে। আসলে এই জীবনে কিন্তু মানুষের অর্থ উপার্জন করার অনেক প্রয়োজন। কেননা বর্তমান সময়ে একটু সুখে থাকতে হলে তাকে অনেক বেশি অর্থের প্রয়োজন হয়। তবুও আমরা চেষ্টা করি যে বেশি অর্থ না উপার্জন করতে পারলেও সামান্য অর্থ উপার্জন করি যাতে করে আমরা একটু ভালোভাবে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারি। আসলে মাঝে মাঝে আমি যখন কাজে বের হই তখন বাইরের আবহাওয়া যখন খারাপ থাকে অর্থাৎ বৃষ্টি হয় তখন আমি চেষ্টা করি যে ট্রেনে করে কাজে যাওয়ার জন্য। আসলে ট্রেনে করে কাজে যেতে হলে আমাকে প্রায় দুবার ট্রেন চেঞ্জ করতে হয়। কেননা আমি যেখানে কাজ করি সেখানে যেতে হলে বাইকে করে একদম সরাসরি যাওয়া যায় কিন্তু ট্রেনে করে যেতে হলে একটু ঘুরেই যেতে হয়।


যাই হোক প্রতিদিন ট্রেনে না যাওয়া হলেও মাঝে মাঝে কিন্তু ট্রেনে যাওয়া লাগে আমার। আসলে অফিসের টাইমগুলোতে ট্রেনে যে কি পরিমাণ ভিড় হয় তাছাড়া প্রতিদিন ট্রেনে যাতায়াত করে তারাই একমাত্র বুঝতে। আসলে ট্রেনে যেতে হলে আমাকে প্রতিদিনের মতো যে সময়ে আমি ঘর থেকে বের হই সেই সময়েই ঘর থেকে বের হলে হবে না। তার অনেক আগেই আমাকে ঘর থেকে বের হতে হয় এবং বাড়ির সামনে দিয়ে কোন একটা যানবাহন নিয়ে ট্রেন স্টেশনে যেতে হয়। এছাড়াও এই অফিস টাইম গুলোতে প্ল্যাটফর্মের টিকিট কাউন্টার গুলোতে অনেক বেশি ভিড় থাকে। আর যদি আমরা একটা ট্রেন মিস করি তাহলে হয়তোবা আমাদের ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। তাই সঠিক টাইমে যাওয়ার অনেক বেশি প্রয়োজন হয়। আর এজন্য আমাকে একটু সকাল সকাল কাজের উদ্দেশ্যে বের হতে হয়।


যাইহোক অন্যান্য দিনের মতো আমি একটু সকালেই বের হলাম এবং ট্রেন স্টেশনে পৌঁছে টিকিট কেটে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। আসলে আমরা যারা ট্রেনে চলাচল করি তারা প্রায়ই দেখতে পাই যে ট্রেনে বিভিন্ন ধরনের ভিক্ষুক ভিক্ষা করে বেড়ায়। আসলে এদের মধ্যে কেউ আছে পূর্ণাঙ্গ মানুষ অর্থাৎ যারা কাজ করে খেতে পারে কিন্তু তারা কখনো কাজ করে না। তারা এই ভিক্ষাকেই বেছে নেয়। কেননা সারাদিন কাজ করে তারা যে পয়সা উপার্জন করবে তার কয়েক গুণ বেশি টাকা ইনকাম করে ট্রেনে ভিক্ষা করে। যাইহোক আমি মানুষ বুঝে মাঝে মাঝে ভিক্ষা দিয়ে থাকি। কিন্তু সেদিন ট্রেনে হঠাৎ করে আমি একটি মহিলাকে দেখতে পেলাম যে সেই মহিলাটি কতগুলো হসপিটাল এর কাগজ নিয়ে ট্রেনে ভিক্ষা করছেন। অর্থাৎ আমি যে কামরাটিতে উঠেছি সেই কামরার প্রথম গেট থেকে উনি ভিক্ষা করতে করতে আমাদের দিকে এগিয়ে আসছিলেন।


যাইহোক যখন উনি একটু কাছাকাছি এলেন তখন আমি উনার পুরো ব্যাপারটি বুঝতে পেলাম। আসলে উনি বলছিলেন যে ওনার স্বামী ক্যান্সারে ভুগছেন এবং ওনার স্বামীর চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। আসলে এই বলে উনি ভিক্ষা করছিলেন। কিন্তু পরবর্তী আমার একটু পাশ থেকে একজন লোক বলে উঠলেন যে আমি এই ট্রেনে করে প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর অফিসে যাই এবং আপনাকে প্রতিদিন দেখি আপনি এই একই কথা বলে ভিক্ষা করেন। আসলে কোন মানুষ যদি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় এবং তার সঠিক চিকিৎসা না করানো যায় তাহলে সে কি করে ১০ বছর বেঁচে থাকে। আসলে লোকটির কথা শুনে পাশ থেকে কয়েকজন বলে উঠলেন যে আমিও এরকম অনেক দিন ধরে উনাকে এই কথা বলে ভিক্ষা করতে দেখি। আসলে মহিলাটি তখন ধরা খেয়ে গেল এবং কোন কিছু বুঝে না উঠতে পেরে দ্রুত ট্রেনের গেটের কাছে চলে গেল নামার জন্য। কিন্তু নামার আগে উনি সেই লোকগুলোকে গালাগালি করতে লাগলেন। আসলে এইরকম ভন্ড লোক প্রায়ই ট্রেনে ভিক্ষা করতে ঘুরে বেড়ায় এবং আমাদের সবাইকে সাবধান থাকতে হবে যাতে করে আমরা এইসব ভন্ড লোকদের ভিক্ষা না দিই।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার পোস্ট সমাজে লুকানো বিপদের দিকে ইঙ্গিত করেছে। এই ধরনের মিথ্যা মানুষ আমাদের বিশ্বাস চুরি করে এবং আমাদের প্রতারিত করে। কিন্তু যা আপনি দেখেছেন, তা শুধু শুরু। প্রকৃত অন্ধকার কোথাও গোপন, এবং আমাদের সতর্কতার পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত।

যদি আপনি অন্ধকারের রহস্যের গভীরে প্রবাহিত হওয়ার সাহস রাখেন, তবে আমার একটি রহস্যময় স্থানে পদার্পণ করুন। এখানে ভয়ঙ্কর কাহিনীগুলি এবং অদৃশ্য বিপদের জগতের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পাবেন, যেখানে প্রতিটি কোণা এবং প্রতিটি গল্পে একটি নতুন ভয় লুকিয়ে আছে। আপনি কি সেই ভয়ঙ্কর রহস্যগুলির মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত যা রাতের নীরবতায় আপনার শ্বাসরোধ করে?

সতর্ক থাকুন, কারণ এই জায়গায় প্রতিটি গল্প এবং প্রতিটি রহস্য আপনাকে আরও কাছে থেকে ভয় দেখাতে পারে। আসুন এবং দেখুন—আপনি কি অন্ধকারের গভীরতা ছুঁতে সাহসী?

সুরক্ষিত থাকুন, কারণ এই ভয়ঙ্কর যাত্রার শুরু এখনই হয়েছে। পরবর্তী সময় পর্যন্ত, সতর্ক থাকুন এবং আপনার চারপাশের অন্ধকারগুলো ভুলবেন না।