আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে একজনেদ ঘটনা দেখে একেবারে অবাক হয়ে গিয়েছি।কিঞ্চিৎ যে খারাপ লাগেনি তাও নয়।আসলে জীবনের এক এক পর্যায়ে এক এক মানুষের জীবনের এক এক রূপ দেখতে দেখতে আজকাল প্রচন্ড অবাক হয়ে যাই মাঝে মধ্যে।মনে হয়,এক জীবনের কত্ত রূপ,কত্ত বদল। তাই না?জীবনটা যে নাটকের চেয়েও নাটকীয়।তা মাঝেসাজে বাস্তবিক জীবনের কিছু ঘটনা দেখলেই বুঝা যায়।আগে কথাটা বিশেষ বিশ্বাস হতোনা।তবে এখন খুব বিশ্বাস হয়। ওই যে কথায় আছে না, মানুষ ঠেকে শিখে।আমার ব্যাপারটিও তাই।জীবনের পর্যায় গুলো দেখতে দেখতে আজকাল খুব বিশ্বাস হয় যে,মানুষের জীবনের সবটাই ক্ষণস্থায়ী। কোনোটাই চিরস্থায়ী নয়।তাই ভাবলাম নিজের শোনা একটা ঘটনাই আজকের শেয়ার করি।
এক লোক পাকিস্থান আমলে বিশাল বড়লোক ছিলো।শুধু বড়লোক ছিলো তাতেই নয়,বলা চলে শিল্পপতি ছিলো।ততকালীন সময়ে সে হেলিকপ্টার এ চড়ে বিয়ে করতে এসেছিলো।সে সব বড্ড আগের কথা।আর আজকে যদি তার কথা বলা হয়।তাহলে বর্তমান এ পাবনায় সে পাগল নামে পরিচিত এলাকায়।বাংলা, উর্দু দু ভাষাই বুঝে ও কথাও বলে।তবে বাংলাটা বুঝলেও,উর্দুতেই সে কথা বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।বর্তমানে উনি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়।অর্থাৎ ডাক্তারি ভাষায় যাকে মানসিক রোগী বলা যায়।আদতে তিনি তা ই!
ব্যাপারটি আমি টাইটেলে যা লিখেছি তেমনটিই।অর্থাৎ একদিনের রাজা আজ একদিনের ফকির।মানুষের জীবন ভীষণ আনপ্রেডিক্টেবল তাই না? কার সাথে কখন কি হয়ে যাই আমরা কেও বলতে পারি না।এই যে আজকে আমার মাথার উপত ছাদ আছে।সৃষ্টিকর্তা না চাইলে হয়তো আগামীকাল সে ছাদটা আর থাকবে না।পৃথিবীর নিয়ম যেমন বুঝা কঠিন।ঠিক তেমনটাই,প্রকৃতির লীলাটাও বুঝা খুব কঠিন।তাই আমাদের সব কিছুর জন্যেই তৈরি থাকা উচিত।আমাদের কার জীবনে কোন সময় কি হয়ে যাবে।তা আমরা কেও ই বলতে পারি না।মাঝেমধ্যে এই সত্যি ঘটনাগুলোই তার একমাত্র প্রমাণ।
তাই সময় থাকতেই আমাদের উচিত নিজেকে সব পরিস্থিতির জন্যে মানানসই করে তোলা।তা না হলে আসলে জীবনে চলা বড্ড কঠিন।আর সে সাথে একটু একটু করে সঞ্চয় করা আমাদের সকলের ই কর্তব্য। এতে করে বিপদের সময় হয়তো কিছুটা ভরসা পাওয়া যাবে।