ছোটবেলায় এমন একটি সময় ছিল যখন আমরা মা-বাবার কথা অনেকটাই শুনতে অবাধ্য হতাম বা বাবা-মা আমাদের জন্য যেসব চিন্তা ভাবনা করতেন যেসব সিদ্ধান্ত নিতেন তার বিপক্ষে কথা বলতাম। কিন্তু এখন বড় হয়ে আমরা বুঝতে পারি সেসব সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য সঠিক ছিল। ঠিক তেমনিভাবে পরিবার এমন একটি অংশ যে অংশের অস্বীকার আমরা কখনোই করতে পারব না বরঞ্চ তাদেরই অংশ আমরা। তাই আমরা যাই কিছু করি না কেন তার মূল উদ্দেশ্য আমাদের পরিবার হতে হবে। পরিবার সুখের জন্যই নিজেকে বিলীন করে দিতে হবে, আমি ব্যক্তিগতভাবে এটাই মনে করি।
আবার একটু যখন আমরা বড় হই তখন আমরা মনে করি আমাদের বন্ধু-বান্ধব হয়তো আমাদের জীবনের সবথেকে বড় গুরুত্বপূর্ণ। বান্ধুর সাথে খেলাধুলা করা, তাদের সাথে আড্ডা দেওয়া এবং তাদের সাথে একসাথে ঘুরতে যাওয়া এসব কিছুতে অনেকটা আনন্দ উপভোগ করতাম। কিন্তু এই কিছুটা সময় পড়ে আপনারা বুঝতে পারবেন। সেই বন্ধুবান্ধবেরও সময় একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত, কিন্তু এরপরও আপনার পরিবার আপনার পাশে থাকবে। যে কোন বিপদে আপদে আপনি আপনার পরিবারের সবার আগে পাবেন।
অনেক পরিবারেই দেখা যায় ছেলে বড় হওয়ার পরে মা-বাবা থেকে খুব একটা বেশি দেখাশোনা করে না কিংবা তাদের দায়িত্ব নিতে চায় না। এসব মানুষদেরকে আসলে মানুষ বলাটাই অনেকটা মানুষদেরকে ছোট করা হবে তারা পশুর চেয়েও নিচের জাতিতে অবস্থান করে বলে আমি মনে করছি। কারণ যে পরিবার যে বাবা-মার তাকে এত কষ্ট করে লালন পালন করেছে সেই মা-বাবার বিরুদ্ধে গিয়ে তারা এসব কাজ করছেন। যেটা আসলেই অনেক নিন্দাকর একটি বিষয়। তাই যাই হোক না কেন সব সময় নিজের পরিবারকে ভালোবাসুন এবং পরিবারের সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করে নিন। আজকের মত এখানে শেষ করছি, আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
আমাদের মনে রাখতে হবে মা-বাবা আমাদের যে সিদ্ধান্ত নিবেন সেটাই আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে। কেননা তারা কখনোই সন্তানের জন্য খারাপ চিন্তা করতেই পারে না। আসলেই আপনি সঠিক বলেছেন কিছু কিছু সন্তান রয়েছে বড় হওয়ার পর মা-বাবার দায়িত্ব নিতে চায় না আসলেই তারা পশুর চেয়েও নিম্নস্তরের বলা যেতে পারে। আর বন্ধুবান্ধব কখনোই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয় মা-বাবার থেকে। তাই আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে পরিবারই আমাদের কাছে সব পরিবারকে নিয়েই সবকিছু করতে হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit