গত পর্বে চাঁদের সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এটাও এক্সপ্লেইন করেছি যে হঠাৎ করেই মানুষ ৫০ বছর পরে কেন আবার চাঁদের বুকে যাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। আজ এই কারণটা সম্পর্কে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করবো। হিলিয়াম তিন এমন একটি আইসোটোপ যে আইসোটোপের নিউক্লিয়ার-ফিকশনের মাধ্যমে প্রচুর এনার্জি উৎপন্ন করা যায়। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে এখান থেকে কোন ধরনের নিউক্লিয়ার বর্জ্য কিংবা রেডিয়েশন রিলিজ হবে না। যেটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বর্তমান সময়ে এসে দাঁড়িয়ে। কারণ বিশ্বের প্রতিটি কোনায় নিউক্লিয়ার মাধ্যমেই এনার্জি ডেভলপ করা হচ্ছে। যেটা কোনোভাবে যদি বিস্ফোরিত হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে তার আশেপাশে থাকা কয়েক কিলোমিটার জায়গা একেবারেই বদ্ধভূমিতে পরিণত হবে এবং সেখানে শত শত বছর ধরে কেউ বসবাস করতে পারবে না।
আপনারা অনেকেই মনে করতে পারেন এই এলিমেন্টটা যদি এতই ভালো হয় তাহলে আমরা পৃথিবীতে কেন আমরা এটা তৈরি করছি না। দেখুন এই হিলিয়াম আইসোটোপ তৈরি করার জন্য যে খরচা হবে সেটা আসলে অনেকটাই বেশি। যদি প্রাকৃতিকভাবে সেই এলিমেন্ট আমরা পেয়ে যাই সেটা আমাদের জন্যই অনেকটা সহজ দ্রব্য এবং ব্যবহারের উপযোগী হবে।
বর্তমানের কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে চাঁদের মাটিতে প্রচুর পরিমাণে হিলিয়াম তিন আইসোটোপ রয়েছে। এর জন্যই নাসা সহ বিভিন্ন স্পেস এজেন্সি সেই হিলিয়াম ৩ আইসোটোপ সংগ্রহের জন্য আবার চাঁদে বিভিন্ন ধরনের মিশন লঞ্চ করছেন এবং এটা যদি হয়ে থাকে তাহলে আমাদের সকলের জন্যই অনেকটা সুসংবাদ বহন করবে। যদিও আমি চাইনা চাঁদের মাটিতে কোন ধরনের খনন কিংবা অন্যান্য কোন কিছু করা হোক। কারণ চাঁদ আমাদের একটি প্রাকৃতিক উপগ্রহ যদি এটা কোন ভাবে বিনষ্ট হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে আমাদের অস্তিত্বের উপরে অনেকটাই আশঙ্কা থেকে যাবে।
আমাদের এই মহাবিশ্বের সবথেকে বেশি যে এলিমেন্ট পাওয়া যায় সেটা হচ্ছে হাইড্রোজেন এরপরে যে এলিমেন্ট রয়েছে সেটা হচ্ছে হিলিয়াম। আমাদের চারিদিকেই হিলিয়াম অগণিত রয়েছে তবে হিলিয়াম ৩ আইসোটোপ যেটা রয়েছে সেটা খুব রেয়ার এবং এটা খুব সহজেই পাওয়া যায় না বিধায় বিজ্ঞানীরা চাঁদে গিয়ে সেটা সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে। আপনার কাছে কি মনে হয় এই কাজটি কি আসলে ঠিক হচ্ছে? বিষয়টি অবশ্যই মন্তব্যে জানাতে পারেন আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।