শীতের সকাল কথাটা শুনলেই কেন যেন গা মোচড় দিয়ে ওঠে, কারণ আমার ব্যক্তিগতভাবে শীতকাল অনেক বেশি পছন্দ এবং আমার শৈশবের বেশিরভাগ সময় আমি গ্রামে কাটিয়েছি। গ্রামের শৈশব উপভোগ করেছি। সেটা যে কি এক আনন্দ সেটা আর বলে বোঝানো সম্ভব না। গ্রামের শৈশবের দিনগুলো ছিল স্মৃতি মধুর। পিছন ফিরে তাকালেই অনেক অনেক আনন্দের কথা মনে পড়ে যায় এবং এখনো সেসব জায়গায় যেতে ইচ্ছা করে। যে সব জায়গায় ছোটবেলায় গিয়েছিলাম পরিবার সহ।
আমাদের বাসা সাধারণত উত্তরবঙ্গে এবং আপনার সকলেই জানেন উত্তরবঙ্গ বাংলাদেশের সব থেকে বেশি শীত পরে। বিশেষ করে রংপুর অঞ্চলের ঐদিকে এত পরিমান শীত এবং কুয়াশা থাকে যারা উত্তরবঙ্গেই থাকেন শুধুমাত্র তারাই বিষয়টা অনুধাবন করতে পারেন। উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ জমি কিন্তু এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের আবাদ করা হয়। ধান এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করা হয়। শীতের সকালে সেসব ফসল গুলোর গায়ে শিশির বিন্দু পড়ে থাকে সে সবগুলো দেখতে এবং ছুঁতেও বেশ আনন্দকর।
ছোটবেলায় ফজরের নামাজ পড়ে হাঁটতে বের হতাম। তখন ছিল শীতকাল গায়ে আর চাদর এবং সুইটার পরে বেরিয়ে পড়তাম হাটাহাটি করার জন্য। কি অসাধারণ সেই মুহূর্ত। আমাদের অঞ্চলে এত পরিমাণ মাঝে মাঝে কুয়াশা পড়ে সামনের ১০ ফুট দূরত্বে কি আছে সেই জিনিসটাও স্পষ্ট দেখা যায় না। তাহলে একবার চিন্তা করে দেখুন কোন লেভেলের কুয়াশা পড়ে। এছাড়াও আমাদের উত্তরাঞ্চলে এর শীতকালে দেখার মত অনেকগুলো জায়গা রয়েছে তার মধ্যে নীলসাগর অন্যতম। আপনারা যারা একবারও উত্তরবঙ্গ ঘুরে আসেন নি আমি অনুরোধ করব এই শীতকালে অন্ততপক্ষে একবার উত্তরবঙ্গে ভিজিট করে আসুন। শীতকাল সম্পর্কে আপনাদের ধারণাটাই পাল্টে যাবে।
অনেকেই শীতকাল পছন্দ করে অনেকে আবার গ্রীষ্মকাল পছন্দ করেন। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে শীতকাল অনেক বেশি ভালোবাসি এবং শীতকালে গ্রামের সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে ভালবাসি। আপনারাও যদি সে সব সম্পর্কে ভালোবাসেন তাহলে অবশ্যই মন্তব্যে লিখতে পারেন। আজকের মত এখানে শেষ করছি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।