পিতামাতা হোক শক্তি!

in hive-129948 •  4 months ago 
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg

made by canva

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আমাদের অনেকের কাছে কিন্তু পিতা-মাতা হলো দুর্বল একটা জায়গা। এটা হয়তো প্রথমে শুনতে আপনাদের অনেকটা বিচ্ছিন্ন ব্যাপার বলে মনে হচ্ছে এবং আপনারা আমার চিন্তার সাথে আমার লেখাটিকে রিলেট করতে পারছে না। তাই আমি আমার লেখায় কি বুঝাতে চেয়েছি। সেটা একটু ভালো করে বিস্তারিত আপনাদের বলছি। তাহলে আপনারা আরো ভালো করে বুঝতে পারবেন।

আমি আসলে যে ব্যাপারটি বলতে চেয়েছি। সেটা হচ্ছে, বেশিরভাগ সময় দেখবেন আমরা যখন কোনো সাহসিকতার কাজ করতে যাই। তখন সর্বপ্রথম যারা আমাদের বাধা দেয়, তারা হলো পিতা-মাতা। ব্যাপারটি এমন নয় যে তারা আমাদের ভালো চান না। কিন্তু ব্যাপারটি হলো, উনার আসলে আমাদের নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করেন এবং আপনারা সবসময় আমাদের জন্য ভয়ে থাকেন যে, কখন কি হয়ে যায়। উনাদের চিন্তাটা একেবারেই যৌক্তিক। কারণ উনারা আমাদের নিজেদের রক্তের শেষ বিন্দু দিয়ে হলেও রক্ষা করতে চান এবং সেই ছোটবেলা থেকে আগুন, জল, ঝড় বৃষ্টি, খারাপ ভালো সবকিছু থেকেই আমাদের সব সময় রক্ষা করে দিয়েছেন এবং নিজেদেরকে আমাদের সামনে ঢাল হিসেবে রেখেছেন।

কিন্তু আমার কাছে মনে হয়। এটা আমাদের জন্য যতোটা ভালো, ঠিক তার কিছুটা খারাপও। কারণ ধরুন কোনো একটা ছেলে, মেয়ে তার নিজের অধিকারের জন্য লড়াই করতে চাচ্ছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে। সেখানে সেই বাবা-মা রা যদি ভয়ে সে সন্তানকে যেতে না বলে, সেই বাবা-মা গুলো সহ যদি অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে, নিজের মনে সাহস এনে। তখন দেখবেন যে সেই সন্তানটির ওই লড়াইটি করার সাহস আরো দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং এটাই হলো পিতা-মাতার শক্তি হওয়া।

পিতা-মাতারা যদি সব সময় আমাদের লড়াইয়ের পক্ষে থাকেন এবং আসলে আমাদের উপরে কি বিপদ আসতে পারে, না আসতে পারে। এসব না ভেবে সব সময় আমাদেরকে এভাবে করে বুঝান যে, যেভাবেই হোক না কেনো নিজের জীবন বলি দিলে হলেও অন্যায় এর সাথে আপোস করা যাবে না। তাহলে আমায় মনে করি আমাদের দেশে আরো এমন অনেক অকুতোভয় সন্তান জন্ম নিবে। যাদের কারণে দেশের অন্যায় করা এবং অন্যায় সহ্য করা দুটোই সারা জীবনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।

আমি অন্যদের কথা বলছি না। আমার নিজের বাবা-মাও ঠিক তাই। অর্থাৎ কোনো ভাল কিছু করতে গেলেই তারা অনেক বেশি ভয় পেয়ে যায়। এবং অনেক সময় তাদেরকে শান্ত রাখার জন্য এমন অনেক পদক্ষেপ আমি গ্রহণ করতে পারিনি। যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করলে হয়তো আজকে আমাদের সমাজের অনেক ক্ষেত্রেই ভালো কিছু হতো। অন্তত অল্প ভালো কিছু হলেও হতো। আশা করছি আমাদের পিতা মাতারা উনাদের এই বিষয়টা বুঝতে পারবেন। কারণ ভালবাসার চেয়েও অধিক যেটা জরুরী। সেটা হচ্ছে অন্যায়ের সাথে আপোষ না করতে শেখা।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!