আমরা অনেকেই অনেক বড় হয়েছি কিন্তু নিজস্ব কোন লক্ষ্য কিংবা উদ্দেশ্য নেই। বড় হয়ে আমরা কি করব কিংবা কি করতে চাই সেই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা রাখি না। এমত অবস্থায় আমার যদি লক্ষ্যই নির্ধারণ না থাকে তাহলে কিভাবে আমি বড় হতে পারব? এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা অনেকেই কল্পনা করি এবং পরিকল্পনা করার চেষ্টা করি। কিন্তু এর আগে বেশি কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো আমরা সকলের জানা দরকার, তাহলেই হয়তো আপনি আপনার লক্ষ্য নির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারবে।
প্রথমত নিজেকে ভালোভাবে জানতে হবে। আমরা তো একে অপরকে অনেক বোঝার চেষ্টা করি। নিজের আত্মীয়-স্বজন ভালবাসার মানুষ নিজের বাবা-মা কিন্তু কখনোই আমরা নিজেকে ভালো করে চেনার চেষ্টা করি না। আপনারা অনেকেই বলতে পারেন নিজেকে আবার কিভাবে ভালোভাবে জানবো? আমি তো আমার সম্পর্কে সবকিছুই জানি কিন্তু বিশ্বাস করেন আপনি আপনার নিজের সম্পর্কে এমন অনেক তথ্য আছে যেগুলো আপনি জানেন না। তাই নিজেকে ভালো জানার জন্য নিজের সাথে কথা বলুন, নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনাকে কোন কোন কাজ আপনার বেশি পছন্দ এবং কোন কোন কাজের ক্ষেত্রে আপনি অনায়াসে সেসব কাজগুলো ভালবেসে করতে পারবেন। একটি কথা সবসময় মনে রাখবেন একটি কাজ করার ক্ষেত্রে আপনার সেই কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পৃথিবীতে এমন অনেক কাজ রয়েছে যেসব কাজ আমরা করতে পারি কিন্তু সেসব কাজ করার বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি রয়েছে। কিন্তু সেসব পদ্ধতির মধ্যে আপনাকে স্মার্ট পদ্ধতিটা বেছে নিতে হবে। সবাই তো কাজ করে কিন্তু সেই কাজটি যদি স্মার্টলি ভাবে না হয় তাহলে সেই কাজটি সম্পূর্ণভাবে সঠিক রুপে প্রকাশিত হবে না এবং আপনারও প্রচুর সময় অতিবাহিত হবে। তাই যেই কাজ করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন সেই কাজ করার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ে আপনার জ্ঞান থাকা দরকার সে সব জ্ঞান আগে আহরণ করতে হবে।
মনে করুন, আপনি একটি লক্ষ্য স্থির করলেন সেই লক্ষ্যটা আপনার ক্যাপাবিলিটি থেকেও অনেকটা বড় সেক্ষেত্রে আপনি সেই কাজটাকে ছোট ছোট অনেকগুলো কাজে বিভক্ত করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনার লক্ষ্য টাও অনেক সহজেই এচিভ করা সম্ভব হবে এবং আপনি আপনার লক্ষ্যে খুব দ্রুত পৌঁছাতে পারবেন। এই যে ছোট ছোট লক্ষ্য কিংবা বিষয়বস্তুর কথা বললাম এগুলো আপনারা লিখে রাখবেন আপনার চোখের সামনে। ধরুন আপনি আপনার পড়ার টেবিলে রাখবেন, কিংবা বিছানার কোন এক কোণে সেটা স্টিকার দিয়ে লাগিয়ে রাখলেন যে, আপনার আজকে কোন কোন কাজগুলো করা দরকার তাহলে যখন আপনি সেসব কাজগুলো দেখবেন তখন আপনার মাইন্ডেও একটি সিগন্যাল দেবে এবং সেই কাজটি আপনি দ্রুত করে ফেলবেন।
এই যে এত কিছু করলেন সবকিছুই নষ্ট হয়ে যাবে যদি আপনি সময়ের মূল্য না বোঝেন। প্রত্যেকটা কাজ সময়ের মধ্যে কমপ্লিট করার চেষ্টা করবেন এবং সেই কাজগুলো যেন কোয়ালিটি ফুল হয় সেই বিষয়েও মাথায় রাখবেন। তাহলেই আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন। ছোট ছোট করে এগিয়ে যেতে হবে। মনে রাখবেন ছোট ছোট ধাপে করেও কিন্তু এভারেস্টে জয় করা যায়। আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।