আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমরা মোটামুটি কম-বেশি বর্তমানে সকলেই পড়াশোনা করছি এবং আরো একটু যদি ভেঙেই বলি। তাহলে বর্তমানে আসলে অশিক্ষিত মানুষের চেয়ে শিক্ষিত মানুষই সবচেয়ে বেশি। কারণ আপনি একটু নিজের দিকে তাকিয়েই দেখুন। আরো অনেকটা বছর পিছনে যদি আমরা যাই। তাহলে বলুন তো যে আমার, আপনার মতো শিক্ষিত কজন ছিলো? অর্থাৎ ধরুন, আমাদের চারপাশে তখন কিন্তু অর্থাৎ হয়তো আমরা তখন জন্মগ্রহণও করিনি। তখন কিন্তু এই যে অনার্স পাস মানুষের সংখ্যা ছিলো হাতেগোনা কয়েকজন এবং তাদের সম্মান টা ছিলো আমাদের সমাজে অনেক উঁচুতে।
আপনারা কি বলতে পারেন তৎকালীন সময় যদি শিক্ষার কদর এতো বেশি ছিলো। তাহলে বর্তমানে শিক্ষার পদ কেনো এতো বেশি নেই? আসলে আমার মতে আমাদের সার্টিফিকেট টা আগের মতোন নেই। অর্থাৎ আগে যারা এই বড় বড় সার্টিফিকেটগুলো অর্জন করতো। তাদের সার্টিফিকেটগুলো ছিলো নিজের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে তা থেকে পাওয়া সার্টিফিকেট।
আর বর্তমানে আমরা যে সার্টিফিকেট অর্জন করছি। সেই সার্টিফিকেট টা হলো পুরোপুরি আমাদের মুখস্ত এর সার্টিফিকেট। অর্থাৎ আমরা মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় যা লিখছি, তার দ্বারাই আমাদেরকে একটা সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। এবং শুধুমাত্র এই একটা কারণেই আগে শিক্ষিত মানুষদের জীবন যতোটা সুন্দর ছিলো। ঠিক তার উল্টো ভাবেই বর্তমানে শিক্ষিতদের জীবন ততোটাই দুর্বিষহ এবং অপমানের।
কিন্তু এটা আমরা অনেকেই মানতে চাই না। কারণ আমরা আমাদের পড়াশোনাটাকে এখন মুখস্ত বিদ্যার গণ্ডির মধ্যে বেঁধে ফেলেছি। আর আমি মনে করি পড়াশোনা কখনোই মুখস্ত বিদ্যার গণ্ডিতে থাকার মতোন নয়। কারণ আমরা আমাদের জ্ঞান আহরণ করবো এবং সেই জ্ঞানগুলোকে কাজে লাগাবো। সেখানে এসবের কোনো জায়গা ই দেখি না এখন।সত্যি কথা বলতে, বর্তমানে অনেক স্টুডেন্ট পড়াশোনা থেকে সরে যায়। তার কারণ হলো তাদের মুখস্ত বিদ্যা থাকে না। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যাদের মুখস্ত বিদ্যা কম, কিন্তু বুঝার ক্ষমতা অনেক বেশি। তাদেরও জীবনে অনেক বেশি সফলতা অর্জন করার কথা। কিন্তু আমাদের সমাজে বর্তমানে তার একেবারে উল্টো চিত্র দেখা যায়।