আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে জ্বালানির অপচয় বন্ধ করুন সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
আমরা এখনকার সময়ে আধুনিকভাবে চলাচল করি। আসলে পৃথিবী সৃষ্টির প্রথমে এত কোন আধুনিক যন্ত্রপাতি কখনোই ছিল না। কারণ তখনকার সময় মানুষ যোগাযোগের কোন মাধ্যম ছিল না। এছাড়াও তখনকার সময় মানুষ হেঁটে বহু দূর অতিক্রম করতো। কিন্তু আস্তে আস্তে মানুষের উন্নতি হওয়ার ফলে মানুষ বিভিন্ন যন্ত্রপাতির আবিষ্কার করতে শুরু করল। আমার মনে হয় যে, মানুষের আবিষ্কারের মধ্যে অন্যতম একটা সেরা আবিষ্কার হলো এই যন্ত্র। আসলে এই যন্ত্রের ব্যবহারের ফলে মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত হয়েছে এবং মানুষ অনেক দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারছে। আর এর ফলে দিন দিন এই যন্ত্রপাতির চাহিদা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। আর এই যন্ত্রপাতি চালানোর জন্য মানুষের দরকার হয় জ্বালানি।
আমরা জানি যে মানুষের যন্ত্রপাতিতে যেসব জ্বালানি অর্থাৎ পেট্রোল, ডিজেন অথবা কেরোসিন ব্যবহার করে তা কিন্তু মাটির নিচে থেকে উত্তোলন করা হয়। আর এইসব জ্বালানি বিভিন্ন পদ্ধতিতে তারা বিভিন্ন ধরনের জ্বালানিতে আলাদা করে নেয়। আসলে একদিক থেকে যেমন পৃথিবীর জনসংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি অন্য দিক থেকে কিন্তু পৃথিবীর এই জ্বালানির পরিমাণ কখনো বৃদ্ধি পাচ্ছে না। আসলে যে হারে মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই হারে যন্ত্রপাতির সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এভাবে চলতে চলতে এখন আমরা রাস্তাঘাটে বেরোলে বুঝি যে মানুষ কত পরিমান যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছে এবং এর ফলে প্রতিনিয়ত ট্রাফিক জ্যাম হচ্ছে।
আসলে এই পৃথিবীতে কিন্তু জ্বালানি সীমিত। কারণ মানুষ যত জ্বালানি ব্যবহার করবে তত দিন দিন মাটির নিচের এই জ্বালানির পরিমাণ কমতে থাকবে। আসলে মানুষ এখন বিনা কারণে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি সবসময় চালু রাখে। স্বাভাবিক উদাহরণ দেওয়া যাক। আমরা প্রতিনিয়ত তো রাস্তায় চলাচল করি। এছাড়া বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে রাস্তায় চলাচল করি। রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যাল দেখলে সকল গাড়ি সেই ট্রাফিক সিগন্যালের সামনে থেমে যায়। আর এই ট্রাফিক সিগন্যালের সামনে যদি গাড়ি থেমে যায় তাহলে তারা কিন্তু তাদের ইঞ্জিন তখনও চালু রাখে। আসলে এখানে যে ইঞ্জিন চালু রয়েছে সেই ইঞ্জিনের যে পরিমাণ জ্বালানি খরচ হচ্ছে তা কিন্তু পুরোটাই অপচয় হচ্ছে।
কারণ এই সময়ে ইঞ্জিন চালু রাখার কোন প্রয়োজন নাই। আর মানুষ যদি একটু সচেতন হয়ে এই ট্রাফিক সিগন্যালের সময় তাদের ইঞ্জিনটা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখে এতে করে অনেকটা জ্বালানি প্রতি বছর বেঁচে যাবে। আসলে মানুষের সঠিক জ্ঞানের অভাবে এখন জ্বালানি এত পরিমাণ উত্তোলন হচ্ছে এবং জ্বালানির ব্যবহার এত পরিমাণ বেড়ে গেছে যে তাতে করে একদিন কিন্তু আমাদের আবার সেই প্রাচীন কালের অবস্থায় ফিরে আসতে হবে। কারণ সে সময়ে পৃথিবীতে আর কোন অবশিষ্ট জ্বালানি থাকবে না। তখন সেই মানুষকে আবার সেই পুনরায় ঠেলাগাড়িতে ফিরে আসতে হবে। আর মানুষের এই বর্তমানে যন্ত্রচালিত গাড়িগুলো ঘরে সাজিয়ে রাখতে হবে।
আসলে আমাদের মানুষদেরকে এখনো সচেতন হতে হবে এই জ্বালানির অপচয় সম্পর্কে। এছাড়াও সবাইকে বোঝাতে হবে যে আমাদের পৃথিবীতে কিন্তু জ্বালানি সীমিত। তাইতো আমরা যাতে এই অতিরিক্ত জ্বালানির অপচয় না করি সেদিকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়াও বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের ফলে বর্তমানে জ্বালানির অপচয় অনেকটা কমে গেছে। ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি হল বিজ্ঞানের অন্যতম একটা বড় আবিষ্কার। আর এই আবিষ্কারের ফলে মানুষ এখন জ্বালানির ব্যবহার কম করে ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বেশি করছে। আর বিশেষ করে অন্যতম একটা বড় আবিষ্কার হল সৌর বিদ্যুৎ। কারণ আমরা জানি যে শক্তির কোন ক্ষয় নেই। শক্তি শুধুমাত্র এক রূপ থেকে অন্যরূপে আমরা রূপান্তরিত করতে পারি। তাই আমরা এই অফুরন্ত সূর্য শক্তিকে ব্যবহার করে আমরা সেই শক্তিকে যদি বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করি তাহলে পৃথিবীতে আর মনে হয় কোন ধরনের অপচয় হবে না জ্বালানির।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
রাস্তা যখন ট্রাফিক সিগনাল পড়ে তখনও আমরা দেখি গাড়ির ইঞ্জিল গুলো চালু থাকে। তখন জালানি অপচয় হচ্ছে। এসব জ্বালানিগুলো যেমন পেট্রোল, ডিজেন, গ্যাস এবং কেরোসিন এগুলো আমরা মাটির নিচ থেকে উত্তোলন করে থাকি। এগুলোর ব্যবহারে আমরা কখনোই সচেতন হইনা। আমরা প্রায় দেখি অপ্রয়োজনে গ্যাসের চুলা চালানো অবস্থায় থাকে। রাষ্ট্রের সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে উপলব্ধটুকু আমাদের মধ্যে থাকে না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে খুবই শিক্ষণীয় একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমরা জানি যে অপচয়কারী শয়তানের ভাই। তাই শুধুমাত্র জ্বালানি না,বরং কোনো কিছুই অপচয় করা ঠিক না। যাইহোক রাস্তা ঘাটে বের হলেই দেখা যায় প্রতিনিয়ত জ্বালানির অপচয় করা হচ্ছে। গাড়ির ড্রাইভারেরা ইঞ্জিন চালু রেখে অযথাই ট্রাফিক জ্যামে বসে থাকে। এতে করে কিন্তু আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit