যাই হোক এই সমস্ত প্লেয়াররা দলে আসার পরেও মাঝে মাঝেই দেখা যেতো বাংলাদেশ দলের হঠাৎ করে কয়েকটি উইকেট পড়ে যেতো। তখন দলের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হোতো এই মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশ দলকে কত ম্যাচে যে তিনি খারাপ অবস্থা থেকে টেনে তুলেছেন সেটা বলাই বাহুল্য। অবশ্য মুদ্রার অপর পিঠে কিছু হতাশাও আছে। কিছু প্রায় জিতে যাওয়া ম্যাচ মুশফিকুর রহিমের কাণ্ডজ্ঞানহীন ব্যাটিং এর জন্য বাংলাদেশ দল হেরেছে। মুশফিকুর রহিমকে আমার পছন্দ করার আরো একটা কারণ হচ্ছে তিনি দলের ভেতর সবচাইতে পরিশ্রমি ক্রিকেটার।
তিনি তার খেলার উন্নতি নিয়ে যতোটা সিরিয়াস। বাংলাদেশ দলে আর কাউকে এতোটা সিরিয়াস হতে দেখিনি। তার আর একটা কোয়ালিটি হচ্ছে তিনি সব রকম দলের বিরুদ্ধে রান করতে পারেন। বাংলাদেশে এমন অনেক প্লেয়ার খেলেছেন যারা দুর্বল দলের বিপক্ষে দারুন পারফর্ম করলেও। বড় দলের বিপক্ষে কখনোই সেভাবে ভালো খেলতে পারেনি। এদিক থেকে মুশফিক সম্পূর্ণই ভিন্ন। টেস্ট আর ওয়ান ডে মিলিয়ে তিনি এখন পর্যন্ত ১৯ টি হান্ড্রেড করেছেন। এটা হয়তো অন্য দেশের প্লেয়ারদের সাথে তুলনা করলে কম মনে হতে পারে। তবে বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের ভেতরে এটা অনেক ভালো পারফরমেন্স। মুশফিকের উল্লেখযোগ্য ইনিংস গুলোর ভেতরে আমার কাছে সবচাইতে ভালো লাগে যে ইনিংসটা সেটা হচ্ছে শ্রীলংকার বিপক্ষে করা তার ১৪৪ রানের ইনিংস। যেই ইনিংসের কল্যাণে বাংলাদেশ ম্যাচ টা জিতেছিলো। এরকম আরো বহু কার্যকরী ইনিংস তিনি খেলেছেন দলের জন্য। বাংলাদেশ দল থেকে মুশফিক এখন পর্যন্ত সবচাইতে বেশি ডাবল হান্ড্রেড করেছেন টেস্ট ম্যাচে। এই সমস্ত কিছুই তার ব্যাটিং সামর্থের প্রমাণ দেয়। মিডল অর্ডারে তার ধারাবাহিক পারফরমেন্সের জন্য সবাই তাকে বাংলাদেশের মিস্টার ডিপেনডেবল তকমা দিয়েছে। আমি মনে করি তিনি এই নাম পাওয়ার আসলেই একজন যোগ্য প্লেয়ার। (সমাপ্ত)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।