আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমাদের সমাজে এক শ্রেণীর লোক রয়েছে। যারা সব সময় আগে কম শুনে এবং পরে কাজটা এমন ভুলভাল করে এবং এর পরের দোষ দিয়ে দেয় আপনার। আসলে এই ধরনের মানুষজনকে আমি ব্যক্তিগতভাবে একেবারেই পছন্দ করি না। কারণ ওই মানুষগুলোর সবসময় অন্য মানুষের কথা কখনো শুনতে চায় না। এবং নিজের মনে যা আসে সেটাই করতে চায়।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, আপনি যখন এই ধরনের মানুষগুলোকে কোনো উপদেশ দিতে যাবেন। কিংবা কোনো সাজেশন শেয়ার করতে যাবেন। তাহলে দেখবেন যে, সে কিন্তু প্রথমবারই আপনার পুরো কথাটি শুনছে না। অর্থাৎ আপনি কি বলতে চাইছেন,সেটা অর্ধেক শুনেছে। এরপর তার মতামত প্রকাশ করে ফেলবে কিংবা সে কথা শোনা বন্ধ করে দিবে এবং ওই কাজটি ফেলে অন্য একটা কাজে হাত দেবে। আসলে অমনোযোগী মানুষদের উদাহরণ এসব ই।
তারা অর্ধেক কথা শুনে কিংবা তারা অর্ধেক কথা শোনে না। এসব বড় ব্যাপার না। বড় ব্যাপার হলো, তারা অর্ধেক কথা শোনার পরে পুরো কথা তো শুনতে চায় ই না। তার উপরে তারা বাকি কথাটা ধারণা করে নেয়। এটাই সবচেয়ে ভয়ংকর। কারণ তারা যা ধারণা করে নেয়। সেগুলো কখনোই সঠিক হয় না। আর সঠিক হওয়া তো দূরে থাক। সেসব যে কোনো কাজকে একেবারে জন্য নষ্ট করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট হয়।
মানুষের আসলে এতোটুকু ধৈর্য থাকা উচিত। যাতে সামনের মানুষটা কি বলছে সেটা গুরুত্বসহকারে এবং মনোযোগ সহকারে শোনা। কারণ আমাকে কোনো মানুষ কোনো কথা বলছে মানে কিন্তু তার অবশ্যই সেটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে বলেই বলছে। অর্থাৎ কাজের ক্ষেত্রে কেউ যখন আমাদেরকে কোনো কথা বলে। তখন অবশ্যই আগে কোনো প্রতিউত্তর দেওয়ার চেয়ে সেই কথাটি শোনা এই উত্তম। কোনো কথা শোনার পরে এর পরে চাইলে নিজের মন্তব্য ব্যক্ত করা যায়। এরপরে চাইলে সেই কাজটা করা বা না করা যায়। কিন্তু কথা না শুনেই, অর্ধেক কথা শুনেই সেই কাজে নেমে পরা অত্যন্ত বোকামি। এবং এই স্বভাবের জন্য যে, সে ই শুধু সাজা পায়, তা কিন্তু নয়। তার জন্য যারা তার সাথে থাকে তাদের সবাইকে কথা শুনতে হয় এবং তার ফল ভোগ করতে হয়। তাই আমি মনে করি এই মানুষগুলোর নিজেকে অবশ্যই বদলানো উচিত।তা না হলে একটা সময় তাদের সাথে আর কেউ ই টিম ওয়ার্ক করতে চাইবে না।