সেজন্য রজব আলী দ্রুত গ্যারেজের উদ্দেশ্যে হাঁটতে থাকে। তবে গ্যারেজে পৌঁছে সে দেখে তখনও দু তিনটে রিক্সা গ্যারেজে রয়েছে। অবশ্য তার ভেতর একটাতে মেরামতের কাজ চলতে দেখতে পায় সে। বরাবরের মতো রজব আলি গ্যারেজ মালিকের কাছে টাকা জমা দিয়ে একটা রিকশা নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। রিক্সা নিয়ে বের হয়ে রজব আলি চিন্তা করতে থাকে আজকে বের হতে তার কিছুটা দেরি হয়ে গিয়েছে। একটু পরেই রোদের প্রচন্ড তাপে চারপাশে অসহ্য অবস্থা সৃষ্টি হবে। যদিও তাদের রিকশা চালকদের এতে কিছুই করার নেই।
ঝড় হোক বৃষ্টি হোক তাদেরকে রিক্সা চালাতেই হবে। কারণ রিক্সার প্যাডেল না ঘুরলে যে তাদের সংসারের চুলা জ্বলবে না। একটা সময় ছিলো যখন রজব আলী তার পরিবার নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতো। তবে শহরে এসে রিকশা চালানো শুরু করার পর থেকে তার অবস্থা আগের থেকে অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। শহরে রিক্সাচালকদের বেশ ভালো ইনকাম। বিশেষ করে যারা একটু পরিশ্রম করে তাদের। তবে কিছু রিক্সাওয়ালা রয়েছে যারা একবেলা রিকশা চালায় তো আর এক বেলা চালায় না। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আসলেই রিকশা হারিয়ে যায় বলে অনেক গ্যারেজ মালিকরা অপরিচিত কাউকে রিকশা একেবারেই দিতে চায় না। যাইহোক রজব আলী গ্যারেজে দেরী করে গিয়েও রিকশা পেয়েছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। আশা করি রজব আলী রিকশা চালিয়ে ভালোই ইনকাম করতে পারবে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit