রজব আলীর আত্মত্যাগ (চতুর্থ পর্ব)

in hive-129948 •  yesterday 

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


সেখানে গিয়ে সে লাইব্রেরীর কর্মচারীকে বলে আমাকে এমন দুটো বই দেন। যেই বইয়ে অনেক বড় মানুষদের কথা লেখা আছে। লাইব্রেরীর কর্মচারী রজব আলিকে দেখে কিছুটা অবাক হয়। কারণ এরকম নিম্নে আয়ের একজন মানুষ যে এই ধরনের বই কিনতে আসতে পারে। সেটা তার কল্পনাতেও ছিলো না। সে তখন রজব আলিকে জিজ্ঞেস করে এই বই দিয়ে তুমি কি করবে? তখন রজব আলী বলে আমার ছেলেমেয়েদেরকে পড়ালেখার প্রতি আরো আগ্রহী করার জন্য এই বইগুলো তাদেরকে দেবো। এক স্যার আজকে আমাকে বলেছে এই বইগুলো পড়লে নাকি মানুষের ভেতর পড়ালেখার আগ্রহ তৈরি হয়।

Polish_20240813_202051127.jpg

লাইব্রেরীর কর্মচারী রজব আলীর কথা শুনে হতবাক হয়ে যায়। একজন সামান্য রিক্সাচালক যে এরকম চিন্তা ভাবনা করতে পারে সেটা তার কল্পনাতেও ছিলো না। রজব আলী সেখান থেকে দুটো বই নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথের ভেতর দেখতে পায় রাস্তার পাশে এক বিক্রেতা বসে কলা বিক্রি করছে। রজব আলী সেখানে থেমে এক হালি কলা কেনে তার ছেলে মেয়ের জন্য। বাজারে ফলের যে দাম তাতে তার মত রিক্সাওয়ালার পক্ষে অন্য ফল কিনে খাওয়া খুব কষ্ট। এজন্য সে ছেলে মেয়ের জন্য মাঝে মাঝে কলা কিনে নিয়ে যায়। তবে কলার দামও এতোটা বেড়ে গিয়েছে যে সেটাও এখন গরিব মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে।

রজব আলী এমনিতে কখনো রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামায় না। তবে যখন বাজার করতে যায় তখন আর মাথা না ঘামিয়ে তারও উপায় থাকে না। কারণ সে খেয়াল করে দেখেছে মাত্র কয়েক বছর আগেও যেখানে জিনিসপত্রের দাম ছিলো অনেক কম। সেখানে কয়েক বছরের ব্যবধানে জিনিসপত্রের দাম কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে।(চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!