আসসালামু আলাইকুম! আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে সুস্থ এবং ভাল আছেন।
আজকে আমি শেয়ার করব আমার বন্ধুর গায়েহলুদ অনুষ্ঠান এবং বিয়ের আনন্দ নিয়ে।
যেখানে ছিলো একটি সুন্দর সম্পর্কের সফলতা।
আমার বন্ধুর বাড়ি আমার বাড়ি থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
ভাবছেন হয়তো বা এত দূরে কিভাবে বন্ধুত্ব সৃষ্টি হয়, আসলে বন্ধুত্ব কখনো কোন গুণটি বা সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনা। তার সাথে আমার বন্ধুত্ব ঠিক এরকম ভাবে হয়েছে, প্রথমত সে আমার বাইকের কাস্টমার হিসেবে পরিচিতি পায়।
তার কথায় আমি শুধু হাসতে থাকি।
আমার বন্ধু চার বছরের রিলেশনশিপ। সে তার ফ্যামিলিকে কোনরকমে কনভেন্স করার জন্য ট্রাই করে না কারণ তার মনে কখনই এই চিন্তা আসে নাই যে সে যার সাথে রিলেশনে আছে তাকে বিয়ে করবে । করোনার কারণে কিছুকাল যখন তার চাকরি ছিলো না।সে হতাশ এবং ব্যর্থতার মাঝে নেশার জগতে চলে যায়।
সেই মেয়েটি তার নিজের কথা চিন্তা না করে ছেলেটার ভবিষ্যৎ, ফ্যামিলি ক্যারিয়ার এসব নিয়ে খুব কেয়াফুল ভাবে সামনে আগাতে থাকে। মেয়টি তার সূক্ষ্ম চিন্তা এবং সুন্দর বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়। ছোট ছোট জবগুলোর জন্য চেষ্টা করার মোটিভেট করতে থাকে। এইভাবে সমস্ত কাজ গুলো যখন সে করতে থাকে , তখন আর ব্যস্ততার কারণে নেশার জগতে সময় দিতে পারেনি। একটা সময় সে ধীরে ধীরে এই নেশার জগত থেকে ফিরে আসে। অবশেষে মেয়েটি সফল হয়। সবকিছু ঠিকঠাক চলতে থাকে। মেয়ের ফ্যামিলিতে বিয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে, এই কারনে আবার তাদের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি হতে থাকে। তাদের বিষয় টা নিয়ে আলোচনায় করি, এবং একটাই সমাধান হয়। তাদেরকে নিয়ে একত্রিত করে বিয়ে করিয়ে দেওয়া হবে। তারপরও দিনক্ষণ ঠিক হয়।
আমরা ছেলেকে চাঁদপুর এনে প্রয়োজনিয় কাগজপত্রে সাইন এবং সাক্ষীগণ আমরা যারা ছিলাম তারা ফ্রম কমপ্লিট করি।
যেহেতু মেয়ে আমাদের এখানে উপস্থিত নাই, তাই আমরা ঠিক করি রাত্র যখন গভীর হবে তখন আমরা মেয়ের কাছে গিয়ে সাইন নিয়ে আসব। যেই কথা সেই কাজ। তাদের এই বিয়ে রেজিস্ট্রার টা কমপ্লিট করে তিন দিন পরে তাদের দুজনকে ঢাকা বন্ধুর বাসায় পাঠিয়ে দেই।তিন থেকে চার মাস পরে মেয়ের বাবা বিদেশ থেকে আসে, সমস্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করে তারা সিদ্ধা নেয় তাদেরকে মেনে নিবে।আর আমরাও এইরকম সুন্দর একটা দিন আর ভালো নিউজের অপেক্ষায় ছিলাম।
বন্ধুর গায়েহলুদ অনুষ্ঠান
দিন তারিখ ঠিক হলো। আবার নতুন করে বিয়ে এবং তার আনন্দ সবাইকে খুব প্রাউড করায়,কারণ সবার সহযোগিতার জন্যই একটি সুন্দর সম্পর্ক বাস্তবতায় বৈধতা নিশ্চিত করলো।
বন্ধুর হাসিমাখা মুখটা।
বন্ধু আর তার বউ💕
দিনশেষে দুই টা পরিবারের সদস্যদের একত্রিত হওয়া দৃশ্য টা সারাদিনের কষ্ট আর ক্লান্তি সবকিছু দূর করে দিলো।
আর সফল হলো একটা ভালোবাসা। পূর্নতা পেলো একটা সংগ্রাম করে টিকে থাকা প্রেমের গল্প।
ছেলে হোক বা মেয়ে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে-কোন একজনকে ডিফেন্স গড়ে তুলতে হয়।তাহলেই বেচে যাবে মৃত্যু পুরিতে ঘুরে আসা স্বপ্ন গুলো।
Camera :Samsung M01s
Click :me
আপনাদেরকে বারবার বলা হয়েছে এ বিবি স্কুলে 5 শতাংশ এবং সাই ফক্স 10% বেনিফিসিয়ারি দেয়া বাধ্যতামূলক । আপনি এই পোস্টে কোন বেনিফিশিয়ারি দেননি । এই ধরনের ভুল হলে আপনি সাপোর্ট বঞ্চিত হবেন । এরপর থেকে এই বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখবেন ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit