ঘরে উপস্থিত এই জিনিসগুলি ব্যবহার করে আপনি রক্তে শর্করার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া উপায়
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও মূল থেকে নির্মূল করা যায় না। একবার আপনার ডায়াবেটিস হয়ে গেলে, আপনাকে সারা জীবন আপনার জীবনযাত্রার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে খাবারের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। ডায়াবেটিসের সময় দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধার্ত থাকা এড়িয়ে চলুন। আপনার খাদ্যতালিকায় স্টার্চি খাবার অন্তর্ভুক্ত করবেন না। মিষ্টি খাবেন না একটুও। এসব বিষয়ে খেয়াল না রাখলে সুগার লেভেল বেড়ে যেতে পারে।
রোগীকেও তার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আপনি কিছু আয়ুর্বেদিক ওষুধ এবং ঘরোয়া প্রতিকারও ব্যবহার করতে পারেন। আয়ুর্বেদে এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা আপনার রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আপনি এই ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করতে পারেন।
জামুন বীজ - আয়ুর্বেদে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার জন্য জামুনের বীজ ব্যবহার করা হয়। এমনকি ডায়াবেটিসেও জাম খাওয়া এবং এর বীজ পাউডার আকারে ব্যবহার করলে সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই গুঁড়ো সকালে খালি পেটে কুসুম গরম পানিতে খান।
রসুন- আয়ুর্বেদে রসুনকে খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। রসুন খাওয়া কোলেস্টেরল কমাতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রসুনের ২-৩ কোয়া পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে খালি পেটে চিবিয়ে খান।
আমলা- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী। আমলার হাইপোগ্লাইসেমিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আমলা খাওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে শুরু করে। এর জন্য আমলা পাউডার ব্যবহার করুন।
অ্যালোভেরা- আয়ুর্বেদে অ্যালোভেরা বহুল ব্যবহৃত হয়। অ্যালোভেরা শুধু চুল ও ত্বকের জন্যই উপকারী নয় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। অ্যালোভেরার জুস খেলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। অ্যালোভেরাতে হাইড্রোফিলিক ফাইবার, গ্লুকোম্যানান এবং ফাইটোস্টেরলের মতো উপাদান রয়েছে যা রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে।
নিম- ডায়াবেটিসে নিম পাতা খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। নিম পাতা খাওয়া বা নিমের রস পান করা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিমের রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে পোস্ট করতে হলে আপনাকে প্রথমেই একটি পরিচিত মূলক পোস্ট করতে হবে ।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির যে সকল দিক নির্দেশনা আছে সেগুলো মেনে কাজ করার চেষ্টা করতে হবে। আশা করি বিষয়টি খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবেন ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit