পূর্ববর্তী সময়ে দিকে তাকালে দেখা যায় একটা সময় ছিল মানুষ কিছু দেওয়ার বিনিময়ে কিছু পেত এরকম লেনদেনের ক্ষেত্রে নিয়ম ছিল এটা করে মানুষ কাজ চালিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজগুলো যেটা আমরা এখন টাকার বিনিময় কিংবা ডলারের বিনিময়ে করে থাকি ঠিক ঐ কাজটি তারা ওইভাবে করে করে নিত ।
সময়ের বিবর্তনে আল্লায় দিলে সব কিছুরই একটা পরিবর্তন থাকে কারণ কথায় বলে যে জিনিসের শুরু আছে ওই জিনিসের শেষও রয়েছে এটা হলো সবচাইতে বাস্তব সত্য কথা সেই ধারাবাহিকতায় দেওয়া ও নেওয়ার নিয়ম টি বদলে এক সময় চলে আসলো রাজার আমলে হীরা মুক্তার বিনিময় লেনদেন করার পন্থা যেটির নিয়মে অনেক দিন দুনিয়া চলেছে ।
এরপর যুগ যুগ পার হয়ে যাওয়ার পরে চলে আসলো কাগজের তৈরি ডলার কিংবা টাকার নোট যেটি এখন পর্যন্ত চলতাছে পৃথিবীজুড়ে তবে এখন হয়তো বা সেটিরও সমাপ্তর দিন অতি শীঘ্রই আসতে চলেছে এরকমটা আধুনিক দুনিয়ার জগত নিয়ে বিবেচনা করলেই বুঝা যায় ।
হয়তোবা অনেকেই অবাক হতে পারেন এখানে অবাক হওয়ার কিছু নেই কারণ পূর্ববর্তী সময়ের দিনগুলোর কথা যদি আমরা দেখি তাহলে step-by-step সময় যতটা উন্নতি বা ডিজিটাল হয়েছে ততবারই কিন্তু আস্তে আস্তে করে পরিবর্তন হয়েছে বিভিন্ন কারেন্সির ।
সেই সময়ের পরিবর্তনে এখন কাগজের টাকা কিংবা ডলারের সমাপ্ত ঘটতে যাচ্ছে ক্রিপ্টোকারেন্সির আদলে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি এখন পৃথিবীতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এই খবরটি যারা অনলাইন নিয়ে ঘাটাঘাটি করেন তারা ভালোভাবে বলতে পারবেন কারন তারাই জানেন ডিজিটাল কারেন্সির কতটা চাহিদা রয়েছে অনলাইন জগতে ।
আজকে আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানবো ডিজিটাল ক্রিপ্টোকারেন্সি কি? ডিজিটাল ক্রিপ্টোকারেন্সির কাজ কি? ডিজিটাল ক্রিপ্টোকারেন্সি দিয়ে কিভাবে পেমেন্ট আদান প্রদান করা হয় ? ইত্যাদি বিষয়গুলো ।
ক্রিপ্টোকারেন্সি কি?
একটা জিনিস লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন এইতো কয়েক যুগ আগের কথাই বলি তখন একটি স্মার্টফোন থাকবে মানুষের হাতে সেটা কল্পনাও করা যেত না মানুষের হাতে একটি বার ফোন থাকলে সেটি অন্য মানুষেরা অনেক কিছু মনে করতো যে তার কাছে একটি মোবাইল রয়েছে মানে সে অনেক টাকার মালিক এরকম একটা ধারণা অনেকের মাঝে বিরাজ করতো ।
সেই দিনের সমাপ্ত যে হয়েছে এখন তো চোখেই দেখতে পারতাছেন এখন এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া খুব মুশকিল যার হাতে একটি স্মার্টফোন নেই বিশেষ করে যারা ইয়াংস্টার রয়েছেন তাদের হাতে তো স্মার্টফোন থাকতেই হবে কারণ এমন একটা অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘরে বউ না থাকলেও চলবে কিন্তু স্মার্টফোন না থাকলে চলবে না ।
যাইহোক এখন যেহেতু মানুষের হাতে হাতে স্মার্টফোন হয়ে গিয়েছে এখন প্রযুক্তির কল্যাণে 3g 4g 5g যুগেও এখন অনেক দেশের মানুষ প্রবেশ করেছে এই দ্রুতগতির ইন্টারনেট কে কাজে লাগিয়ে এখন অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের বিজনেস বাড়িয়ে নিয়েছে এরই অংশ হিসেবে এখন ডিজিটাল লেনদেনের বিষয়টি ও কিন্তু পিছিয়ে নেই ।
কারণ যদি হাতে স্মার্টফোন না থাকে তাহলে মানুষ কিভাবে ডিজিটাল কারেন্সি লেনদেন করবে? যেহেতু মানুষের হাতে হাতে এখন স্মার্টফোন চলে এসেছে কিংবা ট্যাবলেট চলে এসেছে এই কারণেই মূলত এই ডিজিটাল ক্রিপ্টোকারেন্সির এত জনপ্রিয়তা বেড়েছে কারণ মানুষ চাইলেই এখন হাতের স্মার্টফোন দিয়ে ইন্টারনেট কানেকশন ব্যাবহার করে এই ডিজিটাল কারেন্সি লেনদেন করতে পারে খুব সহজে ।
বিষয়টি আরেকটু সহজ করে বলি আমরা কয়েক যুগ ধরে দেখতে পাচ্ছি বিশ্ব জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্ট মেথদ যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পেপাল, পেওনিয়ার, পেটিএম, এ ধরনের ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট গেটওয় এর কারেন্সি যেগুলোর মাধ্যমে মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করে আসছিল ।
এখন যদি আপনারা লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন পূর্ববর্তী সময়ে লোকাল যে ব্যাংক গুলি ছিল তারাও কিন্তু এখন অনলাইনে কনভার্ট হয়ে গিয়েছে এখন বেশিরভাগ ব্যাংক গুলি তারা অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ডিজিটাল লেনদেনের সুবিধা দিচ্ছে তার গ্রাহকদের কে ।
এখন উদাহরণস্বরূপ বলা যায় পেপাল কিংবা ব্যাংক টেনাসফার এর মতই অনেকটা লেনদেন করা যাবে অনলাইনের মাধ্যমে অর্থাৎ ডিজিটাল কারেন্সি দিয়ে এতক্ষণে হয়তো বা আপনারা বিষয়টি ক্লিয়ার হয়ে গেছেন ডিজিটাল কারেন্সি আসলে কি এবং এর কাজ কি?
ডিজিটাল কারেন্সি কিংবা ক্রিপ্টোকারেন্সি যেভাবে বলি না কেন এই কারেন্সিগুলো মূলত অনলাইনের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ থাকে অর্থাৎ এই কারেন্সি গুলোকে হাতে স্পর্শ করা যায় না এটি একটি ভার্চুয়াল কারেন্সি এখন পৃথিবী জুড়ে ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ।
আপনারা অনেকেই লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন বিটকয়েনের নাম হয়তোবা আপনারা অনেকেই শুনেছেন ইউটিউবে কিংবা গুগলে সার্চ করলেই কিন্তু বিটকয়েনের কথা চলে আসে অর্থাৎ যেমন বিভিন্ন ডিজিটাল পেমেন্ট মেথড এর ভিতরে পৃথিবীজুড়ে পেপাল সেরা আবার বিভিন্ন দেশ অনুযায়ী লক্ষ করলে দেখবেন লোকাল ব্যাংক গুলোর বিতর প্রথম সারির জায়গা দখল করে রেখেছে কোন না কোন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক ।
ঠিক ওরকম ভাবে ডিজিটাল ভার্চুয়াল দুনিয়ায় কিংবা ব্লকচেইন দুনিয়ায় এখন বিটকয়েন মাতাচ্ছে ক্রিপ্টোকারেন্সি দুনিয়া অর্থাৎ ক্রিপ্টোকারেন্সি কিংবা ডিজিটাল কারেন্সি যেটাই বলি না কেন এই দুইটা শব্দের মানে একটাই দাঁড়ায় আর এই জগতে এখন রাজ করতাছে (বিটকয়েন) নামের একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি যদিও বিটকয়েন ছাড়াও পৃথিবীজুড়ে এখন অনেক কিপ্ত কারেন্সি রয়েছে এদের ভিতর বিটকয়েন সেরা ।
বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে?
এক্ষেত্রে পেপাল এর সাথে তুলনা করা যেতে পারে ধরেন আপনার একটি পেপাল অ্যাকাউন্ট রয়েছে আপনি চাইলে যেকোন দেশের যেকোন পেপাল এ ডলার পাঠাতে পারবেন কিংবা আপনার পেপাল এ অন্য কেউ যে কোন দেশ থেকে আপনার পেপাল এ ডলার পাঠাতে পারবে ।
ঠিক ওরকম ভাবেই বিটকয়েন এক ওয়ালেট থেকে আরেক ওয়ালেটে পাঠানো যায় যেমন ধরেন আপনার কয়েন বেচে একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেখানে অনেকগুলো কারেন্সি রয়েছে যদিও তারপরও আপনি বিটকয়েন টিকে ধরেন বেছে নিলেন এখন আপনি চাইলে আপনার এই বিটকয়েন এড্রেসটি ব্যবহার করে অন্য কারো থেকে বিটকয়েন রিসিভ করতে পারবেন কিংবা আপনাকে অন্য কেউ পাঠাতে পারবে আবার আপনিও চাইলে বিটকয়েন অন্য কারো কাছে পাঠাতে পারবেন । এ তো গেল একটি সিস্টেম ।
আরেকটি সিস্টেম হচ্ছে যেমন ধরেন এক ব্যাংক থেকে অন্য কোম্পানির অন্যান্য ব্যাংকে যে রকম টাকা পাঠানো যায় ঠিক ওরকম ভাবেই বিটকয়েন থেকে অন্যান্য কারেন্সি তে কনভার্ট করে পাঠিয়ে দেওয়া যায় কিংবা রিসিভ করা যায় তবে এক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল বিটকয়েনের দাম অন্য পেপাল ডলার কিংবা ব্যাংকের কারেন্সির মত না, সব সময় বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলোর মত বিটকয়েনের দাম সমান থাকে না এটি প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে উঠানামা করে ।
বিট কয়েন বিক্রি হয়ে থাকে মূলত ডলার হিসাবেই তবে বিটকয়েনের দাম প্রতি নিয়তই হয় বাড়ে-নয়তো বা কমে এরকম ভাবেই চলতে থাকে অর্থাৎ বিটকয়েনের দাম সবসময় একরকম থাকে না উদাহরণ স্বরূপ বুঝিয়ে বলি আপনার কাছে ধরেন একটি বিটকয়েন রয়েছে সেটির দাম বেড়ে হয়তোবা আগামী কাল হয়ে যেতে পারে দুটা বিটকয়েন আবার দাম কমে আগামীকাল হয়ে যেতে পারে জিরো বিটকয়েন, এটা হলো বিটকয়েনের একটি বড় সুবিধা ও অসুবিধার বিষয় ।
বিটকয়েন লেনদেন কি বৈধ?
বিটকয়েন এর জনপ্রিয়তা পৃথিবীব্যাপী এতটাই বেড়েছে যে এখন অনলাইনে যারা থাকেন তাদের ভিতর বেশিরভাগ মানুষ এই বিটকয়েন দিয়ে লেনদেন করে থাকেন আবার লক্ষ করলে দেখবেন বড় বড় প্রতিষ্ঠান যেগুলো রয়েছে এদের ভিতর অলরেডি লেনদেন করা শুরু করেছে অনেক কোম্পানি যেমন টেসলার মতো বড় গাড়ি কোম্পানি বিটকয়েন দিয়ে লেনদেন করে থাকে ।
আবার শুনেছি বড় কোম্পানি মাইক্রোসফটও নাকি বিটকয়েনের মাধ্যমে লেনদেন করে থাকে আপনারা লক্ষ্য করলে দেখবেন ফেসবুকেও কিন্তু বিটকয়েন এর মত ডিজিটাল কারেন্সি আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যদিও সেটি এখন পর্যন্ত সফল হয়নি ।
বিটকয়েনের এত জনপ্রিয়তা দেখে ইতিমধ্যে পৃথিবীর অনেক দেশই বিটকয়েন কে কিংবা ডিজিটাল ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলোকে সরকারিভাবে অনুমোদন দিয়েছে আবার অনেক দেশ অনুমোদন দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তো বুঝতেই পারতেছেন বিটকয়েন এর চাহিদা এখন কতটা দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে । Digital Bangla 360
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে পোস্ট করতে হলে আপনাকে প্রথমে একটি পরিচিত মূলক পোস্ট করতে হবে। একটি কাগজে লিখতে হবে আমার বাংলা ব্লগ, আপনার স্টিমিট আইডি এবং তারিখ। সেই কাগজসহ সেলফি নিয়ে সেই সেলফির সঙ্গে আরও নূন্যতম চার-পাঁচটি ছবি এবং ২৫০ শব্দের একটি পরিচিতি মূলক পোস্ট লিখুন। পোস্টে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, পরিবার সম্বন্ধে কিছু, আপনার জাতীয়তা এবং কোন এলাকা থেকে এই সমস্ত তথ্য উল্লেখ করতে হবে। l#abb-intro এই ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে অবশ্যই। আপনি কার মাধ্যমে এই কমিউনিটি সম্বন্ধে জানতে পেরেছেন সেটা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। আইডি ভেরিফাই হওয়ার পর আপনি পোস্ট করতে পারবেন।
এই পোস্ট পড়লে আপনি জানতে পারবেন আমার বাংলা ব্লগে পোস্ট করার নিয়মাবলী-
https://steemit.com/hive-129948/@rme/last-updated-rules-of-amar-bangla-blog-community-29-sep-21
এই পোস্ট থেকে ভালোভাবে জানতে পারবেন কিভাবে পরিচিতিমূলক পোস্ট করতে হবে-
https://steemit.com/hive-129948/@rme/4pwnok
আরো বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের ডিসকর্ড চ্যানেলে যোগ দিন-
https://discord.gg/AmDvat4Xuv
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব সুন্দর হয়েছে, কিন্তু একটি ছোট করে লিখবেন মানুষের কাছে এত সময় থাকে না,
পড়ার জন্য। মনে কিছু নেবেন না বললাম জন্য। মানুষের ধারণাটা বললাম তো আপনি কিছু মনে করবেন না। আপনাকে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit