পবিত্র ঈদুল আযহা ও কোরবাণীর ইতিহাস

আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয়
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির কতৃপক্ষ, সদস্য ও সকল স্টিমিয়ান বন্ধুদের জানাচ্ছি আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে পবিত্র ঈদুল আযহার একরাশ প্রীতি,শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

|| ঈদ-মোবারক||

বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মার জন্য সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হলো ঈদুল আজহা। আনন্দের মিলনমেলা মেলা, খুশির বার্তা নিয়ে এসেছে হযরত ইব্রাহীম (আঃ)

ঈদের নামাজ আদায়সহ কুরবাণী আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য ওয়াজিব। তবে পশু কোরবানী দেওয়ার সামর্থ্য যাদের নেই, তাদের কোরবানী দেয়ার দরকার নেই।

আল্লাহ তাআলা আমাদের জাতির পিতা হয়রত ইব্রাহীম(আঃ)কে স্বপ্ন দেখালেন যে তোমার প্রিয় জিনিসটি কোরবানী করো।

নবী ইব্রাহীম এক এক করে যথাক্রমে দুম্বা,খাশি,গরু ও উট কোরবানী দিলো তবুও কোরবানী কবুল হলো না।

এভাবে পরপর কয়েকবার স্বপ্ন দেখার পর কাজ হলো না।
তারপরেও আবার আল্লাহ নবীকে স্বপ্নে বললেন-হে ইব্রাহীম তোমার সবচেয়ে বেশি প্রিয় পাত্র কোনটি সেটি কোরবাণী দাও।

তখন ইব্রাহীম(আঃ) বুঝতে পারলেন যে তার সবচেয়ে প্রিয় পাত্র কি।

তার প্রিয় পাত্রটিন হলো তার একমাত্র ছেলে ইসমাইল(আঃ)। তখন ইসমাইলের বয়স ৭/৮ বছর।

হযরত ইব্রাহীম (আঃ) তার পরিবারে বুঝিয়ে ইসমাইলকে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে নিয়ে গেলেন কোরবানী দিতে।

ইব্রাহীম (আঃ) নিজের চোখ কাপড় দিয়ে বেধে তার নিজের ছেলের গলায় ছুরি চালাচ্ছে জবাই করার জন্য বা কোরবানী করার জন্য।কিন্তু ধারালো ছুরি কোন ক্রমেই কাটছে না।

সেই ছুরি রাগেই তিনি পাথরের উপর ফেলিয়ে দেয়,পাথর কেটে গেল কিন্তু ইসমাইলের গলা কাটলো না।

নবী ইব্রাহীম চোখের বাঁধন খুলনেন এবং পাশে দেখলেন একট তরতাজা দুম্বা দাঁড়িয়ে আছে। তখনই বাণী এলো হে ইব্রাহীম তুমি তোমার পরীক্ষায় পাস করেছো।তোমার মন পরীক্ষা করার জন্য এমন স্বপ্ন তোমাকে দেখিয়েছি।

পাশে একটি দুম্বা আছে এইটা কোরবানী দাও।সেই মোতাবেক ইব্রাহীম(আঃ) দুম্বাটি কোরবানী দিলেন।
আর তখন থেকে বিশ্বর সকল মুসলমানদের জন্য ওয়াজিব এই ঈদ ও কোরবানী।

আলোকচিত্র সংগ্রহ

ছবি তোলা	স্মার্টফোন ক্যামেরা
ফোনের নাম ও মডেল	সিম্ফনি জেড২৫
স্থান	দেবীপুর ঈদগাহ মাঠ,পীরগঞ্জ, রংপুর,বাংলাদেশ
তারিখ	২১/০৭/২০২১
সময়	সকাল ৮ ঘটিকায়

তো বন্ধুরা ইদুল আযহা ও কোরবানীর ইতিহাস এতোক্ষণ ধৈয্য ধরে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ও ঈদ মোবারক।

ধনবাদান্তে
@doctorstrips