হ্যালো, স্টিমিট পরিবারের সদস্যগণ সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি আপনাদের ভালোবাসা এবং দোয়ায়। আজকে আমি আপনাদের সাথে বন্ধুরা মিলে এক নতুন জায়গা এক্সপ্লোর করার ঘটনা আপনাদের শেয়ার করব।গত ব্লগ এ আমি আপনাদের সাথে আমার ৩য় সেমিস্টারের ডিজিটাল লজিক ডিজাইন ল্যাব এর শেষ ক্লাস এর ঘটনা আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আজকে এক অজানা এক জায়গার খুঁজে বের হলাম পুরো ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
ক্লাস শেষ করে বন্ধুরা সবাই মিলে চিন্তা করছিলাম কোথায় যাওয়া যায়। কিন্তু যাওয়ার মতো তেমন কোনো জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আমাদের ভার্সিটি থেকে ডানদিকে একশ ফিট এর রাস্তা চলে গেছে।কিন্তু মজার বিষয় হল আমাদের মধ্যে কেউ কোনদিন ওই রাস্তা দিকে ওইদিকে যায়নি বা এ রাস্তার শেষ কোথায় আমরা কেউ জানিনা। এটা আমি আমি এবং আমার বন্ধুদের কৌতুহল ছিল অনেক দিনের। তাই সকলে সিদ্ধান্ত নিলাম ওইদিকে যতটুক পারা যায় যাব। আজকে যেহেতু আমাদের ক্লাস শেষ তাই আর কোন ঝামেলা ছিলনা। যেই কথা সেই কাজ আমরা সকলে মিলে ভার্সিটি মেইনগেটে অটো স্ট্যান্ড আসলাম। এবং একটি অটো ঠিক করলাম অটো মামাকে বললাম এই রাস্তার কোন একটি সুন্দর জায়গায় আমাদের থামিয়ে দিতে। আমাদের ভার্সিটির পাশে বালু খাল রয়েছে মামা বলল খালপাড় যেতে পারেন। আমরা সকলের রাজি হলাম এবং অটোতে বসে পড়লাম এবং আমি সামনে বসলাম।এ রাস্তায় গাড়ি খুবি কম ছিল তাই পরিবেশটা ছিল খুবই শান্ত এবং কিছুটা মেঘলা ছিল দিনটা সব মিলিয়ে খুবই ভালো লাগলো।আমরা বালুখালের পাড়ে পৌঁছালাম কিন্তু সবার মাঝে একটা কৌতুহল ছিলো আরো সামনে কি থাকতে পারে তাই আমারা আরো সামনে আগালাম।জায়গা টায় মূলত আরেকটা ক্যান্টনমেন্ট তৈরি হচ্ছিল তাই জায়গাটা ছিল খুবই সুন্দর। আমরা একটি পার্কের পাশে নামলাম পার্ক এর নাম ছিলো জল সিঁড়ি পার্ক। পার্ক টির প্রবেশ মূল্য ছিল ৫০০ টাকা করে এবং এটি শুক্রবারে বন্ধ থাকে।পার্কের পাশে রয়েছে একটা সুন্দর কৃত্রিম লেক যা দেখতে খুবি মনোমুগ্ধকর লাগছিলো।ওইখানে যতক্ষণ ছিলাম ততক্ষণ মনে হচ্ছিল আমরা ঢাকার শহরে অনেক বাহিরে গ্রামে চলে আসলাম। আপনাদের সাথে কিছু ছবি শেয়ার করলাম।
)
)
)
আমরা বন্ধুরা মিলে সেখানে পৌঁছে একটি দোকান খুঁজে পেলাম সেখান থেকে আমরা চা কফি খেলাম আসলে এই পরিবেশে এমন জায়গায় কফি খাওয়ার মাজাই ছিল অন্যরকম।আমার কফি খাওয়া অবস্থা একটি ছবি তুলেছিলাম যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি ও শুরু হয়ে গেল তবুও আমরা এই সুন্দর জায়গার ছবি তুললাম যদি তুলতে না পারতা তাহলে সারা জীবনের আক্ষেপ থেকে যেত তাই ছবি তুলা বৃষ্টির মাঝেও।
আমরা বন্ধুরা মিলে অনেকগুলো সিঙ্গেল এবং গ্রুপ ছবি এবং সেলফি তুলেছিলাম যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।