"বনভোজন" এই শব্দটির সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। গ্রাম বা শহর আমরা যে যেখানেই বড় হয়না কেন আমরা কিছু কিছু বিষয়ের সাথে সবাই পরিচিত। আমরা বাঙালি আমাদের গায়ে এদেশের মাটি লেগে আছে। আর যে বা যারা বাঙালি তাদের অতিতে বনভোজন নেই বা বনভোজন করতে করতে বড় হয়নি এমন সংখ্যা খুবই কম বরং নেই বললেই চলে।
আমি বা আমরা সমবয়সি যে কয়েকজন ছিলাম আমরা ছোটবেলায় যেকোনো বনভোজনেই অংশগ্রহণ করতাম। আমাদের বনভোজনে খাবারের মেন্যুতে যে খুব বিশেষ বিশেষ খাবারের আয়োজন থাকতো এমনটা নয়। আমরা খুব সামান্য ছোট খাটো সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে আনন্দ করতে ভালোবাসতাম। তাই আমরা যেকোনো কারণে আমাদের হাতে টাকা থাকলেই বনভোজনের আয়োজন করতাম।
ছোটবেলায় বনভোজনের খাবারের মেন্যুতে কি করবো না করবো তা নির্ভর করতো আমাদের হাতের টাকার ওপরে। আমরা ডিম, মুরগির মাংস, গরুর মাংস সব দিয়েই বনভোজন করতাম। তখন খাবার রান্না করে থেকে খাওয়া বা তার পরেও আমরা অনেক আনন্দ করতাম। সেসব আনন্দের তুলনা আসলে কোনো কিছুর সাথেই হয়না। বনভোজনের সাথে সবসময় আরো একটা বিষয় যোগ হয় আর সেটা হলো নাচ-গান। নাচ-গানের আসরে সব থেকো বেশি মজা হতো।
গতকাল ঠিক সেই ছোটবেলার মতো করেই আমরা বনভোজনের আয়োজন করি। সবার বাড়ি থেকে আমরা চাল উঠায় এবং সাথে সামান্য কিছু টাকা চাঁদা তুলি।আমাদের খাবার মেন্যু ঠিক করা হয় খিচুরি আর মুরগির মাংস। আমরা সবাই রান্নার কাজ হাতে হাতে শেষ করি এবং রাত নয়টার পর ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের একসাথে খেতে দিই। তাদের খাওয়ার শেষে আমরা বড় যারা ছিলাম একসাথে বসে খাওয়া শেষ করি। রান্নাটা অনেক সুন্দর হয়েছিল। খুব মজা হয়েছিল তার আরো একটা কারণ ছোট বাচ্চারা সবাই নাচ-গান করল। এটা বনভোজন অনুষ্ঠানের সাথে একটা বোনাস আনন্দ যোগ করলো।
আসলেই দিন চলে যায় কিন্তু অতিতের স্মৃতি ভোলা যায়না। ছোটমানুষদের আমাদের ছোটবেলার কাজ-কর্ম যখন করতে দেখি তখন ছোটবেলার অতীত আরো বেশি মনে পরে।
কনটেন্ট শেয়ার করার পূর্বে কমিউনিটির নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে আপনার পরিচিত উপস্থাপন করুন, যাতে আমরা আপনাকে ভেরিফাই করতে পারি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit