আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ক্রমেই আমরা যত ই এগিয়ে যেতে থাকলাম সুন্দরবন টা আমাদের কাছে চলে আসছিল। সুন্দরবনের সম্পস্ত সৌন্দর্য তখন আমাদের কাছে পরিষ্কার হতে থাকে। নদীর পাশেই গোলপাতা গাছ সারি সারি পাশাপাশি সুন্দরী গাছ সহ অনেক প্রকার গাছ। ধারণা করা হয় এই সুন্দরী গাছের নাম থেকেই এই বনের নামকরণ করা হয়েছে সুন্দরবন। এরপর আমরা যখন ট্রলার থেকে নামলাম ঘড়িতে সময় তখন ১২ টা ৪৫ মিনিট। আমাদের সময় দেওয়া হলো ২ ঘন্টা। অর্থাৎ ৩ টার আগে আমাদের আবার ট্রলারে ফিরে আসতে হবে। যাইহোক সময় কম এই দুই ঘন্টার মধ্যে আমাদের পুরো সুন্দরবন ঘুরে দেখতে হবে। সুন্দরবন বলতে আমাদের ঘোরার স্থান ছিল নির্দিষ্ট। সাধারণ পর্যটকদের জন্য ঐ স্থানটা বিশেষ ভাবে তৈরি করা।
জায়গাটার নাম করমজল। করমজল এর স্থানটার পাশেই একটা ছোট খাল। এবং খালের ঐপাশে সুন্দরবন। অপর পাশে নাকী প্রায়ই সুন্দরবনের অবমুক্ত হরিণ বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যায়। কখনও কখনও নাকী গর্জনও শোনা যায়। তবে আমাদের মতো সাধারণ পর্যটকদের ওখানে প্রবেশের অনুমতি নেয়। যাইহোক আমরা করমজলেই ঘোরা শুরু করলাম। শুরুতেই ছিল পুরো জায়গাটার একটা ম্যাপ। অর্থাৎ কোথায় কী আছে সেটার একটা মানচিএ। যদিও খুব গুরুত্ব সহকারে সেটা দেখি নাই আমরা। তারপর একটা তালিকা নজরে আসল। ওখানে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রাণীর সংখ্যা প্রজাতি এসব দেওয়া রয়েছে। তবে আমার নজর গেল শুধুমাত্র বাঘের দিকে। যতদূর মনে পড়ে ঐসময় ঐ তালিকা অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১৫৩ টার মতো।
আমরা ছাড়াও অসংখ্য পর্যটক ছিল ওখানে। আমাদের ঘোরাঘুরির প্রথমেই ছিল কুমির। শুরুতে ছিল কুমিরের ডিম। কুমিরের ডিম অনেক টা হাঁসের ডিমের মতোই হয়ে থাকে। খুব বেশি বড় হয় না। এবং একেবারে সাদা। এরপর ছিল কুমিরের ছোট বাচ্চা যেগুলো সবেমাএ ডিম থেকে বের হয়েছে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সাইজের কুমির। অর্থাৎ ঐ সারিতে কুমিরের পুরো প্রজন্ম ছিল হা হা। তবে আমি সবচাইতে বড় ভুলটা করি সবচাইতে বড় কুমিরের কাছে গিয়ে। সবচাইতে বড় কুমির খাঁচার মধ্যে কাঁদা মেখে এমনভাবে পড়ে ছিল আমি ভেবেছিলাম ঐটা মারা গিয়েছে। তবে খাঁচার ভেতর কুমিরের জন্য এবং টা মুরগি রেখে দেওয়া হয়েছিল। একটু কৌতূহলের সৃষ্টি হলো।
কৌতুহলবশত স্যারকে জিজ্ঞেস করতেই বলল ঐটা মারা যায়নি। কুমিরের স্বভাবই এইরকম। এরা নাকী স্বীকার ধরার জন্য এমনভাবে পড়ে থাকে। শুনে বেশ আশ্চর্য হয়েছিলাম। যাইহোক এরপর সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম। যেতেই দেখি বেশ বড় একটা পুকুর। তবে পুকুর টা তারকাঁটা দিয়ে ঘেরা। তারকাঁটা দিয়ে ঘেরা রাখার কারণ টা পরবর্তী মূহুর্তেই পরিষ্কার হয়ে যায় আমার কাছে। পুকুরের মাঝে একটা কুমির ভেসে উঠল। বেশ লাগছিল দেখতে। সেই প্রথম আমি নিজের চোখে সরাসরি কুমিরের সাঁতার কাঁটা দেখলাম। এরপরই ছিল যেন সেই আসল অংশটুকু। যেটার জন্য এতটা দূরে আসা। হ্যা এবার সুন্দরবনের আসল মূহূর্তটা উপভোগ করব।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দরবন ভ্রমণের দারুন একটি পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই ভ্রমণ পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। আমাদের সকলের উচিত দেশের কোন না কোন স্থানে ঘুরতে গিয়ে জ্ঞান অর্জন করা এবং দেশের সৌন্দর্য উপভোগ করা। আপনার এই পোষ্টের মধ্যে থেকে অনেক কিছু জানার সুযোগ হলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit