আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
২০০৯ সালের গ্রীষ্মকালীন ইউরোপীয়ান ফুটবলের দলবদল। বরাবরের মতোই এবারেও চমক। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন এর আবিষ্কার এক তরুনকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে নিজেদের দলে নিয়ে আসে রিয়াল মাদ্রিদ। তারপরের গল্প সবারই জানা। পরে পর্তুগালের সেই ছেলেটা হয়েছে বিশ্বসেরা খেলোয়ার। তর্কসাপেক্ষে সর্বকালের সর্বসেরা ফুটবলার। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে জিতেছেন চারটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লীগ। হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা ৪৫০ টা। হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতা। সবকিছুই করেছন ইতিহাসের সেরা ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে গিয়ে। রিয়ালে ছিলেন পুরো ৯ বছর। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে ছেলেটা পাড়ি জমায় ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে। হ্যা আমি বলছি ফুটবল বিশ্বে CR-7 খ্যাত ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথা। মূলত আমি একজন রোনালদো ফ্যান। তাকে দেখেই রিয়াল মাদ্রিদ এর ভক্ত হয়ে যায় আমি। কিন্তু আজ তাকে না। আজ কথা বলব আরেকজন কে নিয়ে।
বর্তমানে যতজন ইয়াং খেলোয়ার আছে তাদের মধ্যে সবচাইতে আলোচনায় ছিল ইংল্যান্ডের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার জুড বেলিংহ্যাম। বছরজুড়েই এই ইয়াংস্টার ছিল আলোচনায়। কিন্তু সে যে রিয়াল মাদ্রিদেই আসবে এটা ছিল মোটামুটি নিশ্চিত। এবং এখন পযর্ন্ত এই সিজেনে সেরা সাইনিং ছিল জুড বেলিংহাম এর সাইনটা। কিন্তু রোনালদো এবং বেলিংহ্যাম এর অসাধারন কিছু মিল রয়েছে। অনেকেই বলছে হ্যা ঘরের ছেলে আবার ঘরে ফিরেছে। পুরো পাঁচবছর পরে বেলিংহ্যাম রুপে রোনালদো যেন মাদ্রিদে এসেছে। মাদ্রিদের অবস্থা এখন এমন গোল চাই বেলিংহ্যাম আছেন তো হা হা। যদিও তাদের আরেক কান্ডারি ভিনিসিয়াস জুনিয়র এখন ইঞ্জুরড। কিন্তু বেলিংহ্যাম যেন মাঝমাঠ এবং গোল করা দায়িত্ব সবটাই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন।
রোনালদো যখন রিয়াল মাদ্রিদি আসে। প্রথম সিজেনেই টানা পাঁচ ম্যাচে গোল করে। যা এখন পযর্ন্ত রিয়াল মাদ্রিদের আর কোনো খেলোয়ার করতে পারেনি। এতদিন রেকর্ড টা রোনালদোর নামেই তোলা ছিল। কিন্তু এবার বেলিংহ্যাম রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে টানা ছয় ম্যাচে করেছে গোল। যা এককথায় অনবদ্য। রোনালদো কিন্তু তার ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে একজন মিডফিল্ডার ছিলেন। কিন্তু তার গোল করার সক্ষমতা শর্ট এর গতি ড্রিবল হেড দেওয়ার ক্ষমতা চোখ এড়িয়ে যায়নি স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন এর। ফলাফল তাকে খেলানো শুরু করে সেন্টার ফরওয়ার্ড বা স্টাইকার এর পজিশনে। অন্যদিকে বেলিংহ্যাম ও কিন্তু তার ক্যারিয়ার শুরু করেছে মিডফিল্ডার হিসেবে। কিন্তু আরেক মাস্টারমাইন্ড রিয়ালের বর্তমান কোচ বেলিংহ্যামকে হয়তো এখন স্টাইকারই বানিয়ে ফেলবেন হা হা।
সত্যি কথা বলতে বেলিংহ্যামকে নিয়ে আমি অনেক আশাবাদী। কারণ তার বয়স অনুসারে তার গেম ফিটনেস অসাধারন। তিনি মাঝমাঠে যেমন বল ধরে রেখে খেলতে পারেন। যেমন পারেন অ্যাসিস্ট করতে ঠিক তেমনি পারেন গোল করতে। এবং তার উপর তিনি ইংল্যান্ড এর মতো একটা দলের খেলোয়ার। এভাবে চলতে থাকলে এই সিজেন থেকেই সেরা ব্যালন ডিঅর এবং ইউরোপীয়ান গোল্ডেন বুট এর জন্য লড়াই করবেন। বেলিংহ্যাম এর সবচাইতে ভালো সিদ্ধান্ত ছিল যে সে ইতিহাসের সেরা একটা ক্লাবে গিয়েছেন। এবারে পিচিচি ট্রফি মানে যাকে বলে তরুন খেলোয়ারদের ব্যালন ডিঅর সেটা বেলিংহ্যামই জিতবে। এতে এখন পযর্ন্ত আমার কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু যেকোনো কিছু হয়ে যেতে পারে। সত্যি দিনেশেষে একজন ফুটবল ফ্যান হিসেবে ভালো লাগে। যে আমরাই হয়তো সেরা জেনারেশন। যারা মেসি রোনালদোর খেলা দেখেছি আবার হল্যান্ড এমবাপ্পে বেলিংহ্যাম এর মতো প্রজন্মকেও খেলতে দেখছি হা হা।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বেলিংহ্যামক যদিও একজন ভালো ফুটবলার তারপরও রোনালদো জায়গা কোনদিন এসে নিতে পারবে না। আশা করি সে ভবিষ্যতের এই শিক্ষাগুলো অর্জন করে আরো ভালো ফুটবল খেলতে পারবে কিন্তু ওই যে কোথায় আছে সেরা সব সময় সেরা থাকে। আপনি যাকে পছন্দ করে এই ক্লাবে এসেছেন সারা জীবন সে আপনার পছন্দের প্লেয়ার হয়েই থাকবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit