আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ওয়েব সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
----- | ----- |
---|---|
পরিচালক | সাঈদ আহমেদ শাওকী |
লেখক | নিয়ামোতুল্লাহ মাসুম |
চিএনাট্য | রাশেদুজ্জামান রাকিব |
প্লাটফর্ম | হইচই |
সিজেন | ০২ |
এপিসোড সংখ্যা | ০৭ |
অভিনয়ে | চঞ্চল চৌধুরী, ইন্তেখাব দিনার, তাসনিয়া ফারিন, আফজাল হোসেন, এফএস নাইম, আরও অনেকে। |
The Birth
এপিসোডের শুরুতেই দেখা যায় ১৯৭২ সালে একজন মহিলার ডেলিভারী করানো হচ্ছে। বাচ্চা এবং মা দুজনের প্রাণই সংকটে আছে। এরপর দেখা যায় মাহা এবং ফাদার আলফ্রেড কথা বলছে। আলফ্রেড এর ঘরে ঐ কয়েদী মানে ডেভিড এর ছবি দেখে মাহা জিজ্ঞেস করে উনি কে। তখন আলফ্রেড বলে ও হলো একজন লেখক হিস্টোরিয়ান। ও বাংলাদেশী হলেও কানাডায় থাকত। আসলে ও হচ্ছে যুদ্ধ শিশু। ১৯৭১ সালের বর্বরতা পর অসংখ্য যুদ্ধ শিশুর জন্ম হয় তাদের অধিকাংশ কেই অ্যাডপ করে ইউরোপ আমেরিকা কানাডা থেকে আসা লোক। আলফ্রেড ডেভিড দুইজনই এইরকম একজন। তখন মাহা বলে তাহলে উনি এতকিছু কীভাবে জানে। এবং উনি কীভাবে ঢুকলো ঐ কারাগারের সেলে। তখন আলফ্রেড বলে ওখানে একটা সুরঙ্গ আছে যেটা কেউ জানে না। ডেভিড ওটা দিয়ে ভেতরে ঢুকছে। পরের দৃশ্যে দেখা যায় কারাগারে রাজেশ্বর পল মানে রাজু কথা বলছে ডেভিড এর সঙ্গে। ডেভিড বলছে মায়ের শরীর খুব খারাপ যা করার দ্রুত করতে হবে। আমাকে তো এখান থেকে বের হতে দেয় না যা করার তোকেই করতে হবে। এরপর এই বিষয় নিয়ে কথা বলে রাজু এবং ডেভিড।
এরপর দেখা যায় মাহা আলফ্রেড কে বলছে আমি কেন আপনাদের সাহায্য করব। আপনারা আমাকে মিথ্যা বলছেন। আলফ্রেড বলে আপনি আমাদের প্ল্যানের অংশ হয়ে গেছেন। আপনি আমাদের তথ্য আদান প্রদান করে দেবেন। আমরাও আপনার জন্য কাজ করব। মাহা বলে কী কাজ। তখন আলফ্রেড বলে আপনার বাবা কে আপনি খুঁজছেন আমরা আপনাকে সাহায্য করব। মাহা বলে মিথ্যা কথা আমার বাবা মারা গেছে বিদেশে তাই বলে চলে যেতে চাই তখনই একজন মহিলা আসে। মহিলার নাম দিয়া গুহ উনিও একজন যুদ্ধ শিশু এবং এই প্ল্যানের একজন। তখন দিয়া মাহার মায়ের করে যাওয়া সম্পওির উইল দেখায়। উইলে মাহার সঙ্গে মেহেদী হাসান নামক একজন ছিল। মাহা জিজ্ঞেস কে এই মেহেদী হাসান কে। আমার মা কেন উনাকে সম্পত্তি দেবে। আলফ্রেড বলে মেহেদী হাসান আপনার বাবা। মাহা বলে মিথ্যা কথা আমার বাবার নাম সিরাজুল হক। আলফ্রেড বলে আপনি জানেন না আপনি আপনার মামাকে জিজ্ঞেস করবেন মেহেদী হাসান কে। এরপর দেখা যায় জেলের একজন পুলিশ এক্সিডেন্ট করছিল উনি আবার চলে এসেছ। তখন অন্য আরেকজন বলছে বাবার কাছে মানে ডেভিড এর কাছে গিয়ে মাফ চেয়ে আয়। কিন্তু ঐ পুলিশ অফিসার সেটা তোয়াক্কা করে না। উনি ডেভিড কে বাবা বা গাজীপীর মনে করেন না। অন্যদিকে ডেভিড এর সঙ্গে কথা বলে প্ল্যান কতদূর এগিয়ে গিয়েছে এখন কী করা লাগবে সে সম্পর্কে কথা বলতে থাকে রাজু এবং অন্যদিকে আলফ্রেড এবং দিয়া মিলে মাহা কে রাজী করায় যেন সে কারাগারে গিয়ে ডেভিড এর খবর তাদের দেয়। এজন্য মাহা চলে যায় জেলার মোস্তাকের বাসায়।
The Homecoming
এই এপিসোডের শুরুতেই দেখা যায় ১৯৯৫ সালে ঢাকার একটা গির্জায় একটা ছেলে আসে ছেলেটার নাম ডেভিড অ্যাডাম। ছেলেটা ঐ গির্জার সিস্টার কে বলে আমি কানাডা থেকে এসেছি। ১৯৭২ সালে আমাকে এই গির্জা থেকে অ্যাডপ করা হয় আমার বতর্মান বাবা মা আমাকে এমন টা জানিয়েছে। আমি এখানে এসেছি আমার আসল মায়ের খোঁজে। আমার আমাকে এখানে রেখে যায় সুফিয়া খাতুন নামক একজন। ঐ সিস্টার বলে আমি আপনাকে কোনোভাবে সাহায্য করতে পারব না। তখন ঐ সিস্টার ডেভিড কে পরিচয় করিয়ে দেয় আলফ্রেড এর সঙ্গে। আলফ্রেড, ডেভিড এর মতোই যুদ্ধশিশু। এরপরের দৃশ্য বতর্মান দেখানো হয়। মাহা জেলার মোস্তাকের বাড়ি গিয়ে বলে বাবা মানে ডেভিড আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই। জেলার বলে কেন? মাহা বলে আমি জানি না কথা বলে দেখতে হবে। তখন জেলার মোস্তাক মোটামুটি রাজি হয় ডেভিড এর সঙ্গে কথা বলতে। কিন্তু জেলার কোনোভাবেই বিশ্বাস করে না যে ঐ কয়েদী ২৫০ বছর ধরে বেঁচে আছে। এরপর দেখা যায় কারাগারের একজন ক্ষমতাসীন ব্যক্তি নাম গুলজার। তার আজীবন কারাদণ্ড মাপের জন্য আপিল করেছেন। সেই বিষয়ে উকিলের সঙ্গে কথা বলছে। ডেভিড এবং রাজু যার জন্য এই জেলে এসেছে এই গুলজারই হলো সে।
যাইহোক এরপর রাজু মানে রাজেশ্বর পল দেখা করে ঐ গুলজার এর সঙ্গে। বলে আপনার তো জামিন হবে না। তো আমার কাছে একটা প্ল্যান আছে। আপনাকে বের করার জন্য আমরা জেলে এসেছি। কিন্তু সেটা বিশ্বাস করে না ঐ মুরুব্বী মানে গুলজার। রাজুর কথা না শুনেই সে চলে যায়। এরপর দেখা যায় জেলার মোস্তাক কারাগারে তার অফিসে আসে। তখন সহকারি জেলার আবুল খায়ের বলে আপনি এটা ঠিক করছেন না। আপনার জন্য যদি আমার চাকরি যায় আমি কিন্তু সব বলে দিব। আপনিও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। এরপর জেলার মোস্তাক ও মাহা যায় বাবা মানে ডেভিডের সাথে কথা বলতে। তখন ডেভিড বলে আমাকে মেরে লাভ নেই। আমি এখানে একটা কাজে এসেছি। আমি আমার কাজ শেষ করে চলে যাব। এবং আপনার ছেলেকে যার পরিবর্তে লুকিয়ে রেখেছেন সেই আতাউর কোথায় আছে আমি বলে দেব। এরপর দেখা যায় কয়েকবছর আগের ঘটনা। সেখানে আলফ্রেড ডেভিড এবং দিয়া একসঙ্গে প্ল্যান করছে। কীভাবে এই কারাগারে ঢুকবে এবং কাজ শেষ করবে। এই প্ল্যানের সম্পূর্ণ টাই ছিল যদি এবং কিন্তু সেজন্য প্ল্যান ফ্লপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ছিল। কিন্তু ডেভিড রিস্ক নিয়ে কাজটা করতে চাই। এখানেই শেষ হয় এই এপিসোড টা।
ব্যক্তিগত মতামত
এই বছরের আগষ্টে হইচই প্লাটফর্মে মুক্তি পেয়েছিল কারাগার ওয়েব সিরিজের পার্ট-১। মিস্ট্রিরিয়াস সিজেন-১ একেবারে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠে। সেজন্য খুব দ্রুতই কারাগার পার্ট-২ এর কাজ শেষ হয়। এবং ২২ ডিসেম্বর মুক্তি পায়। সিজেন-১ এ শুধু ঘটনা গুলোর ধারণা দেওয়া হয়েছিল। এবং এই দুই এপিসোডে অনেক টাই পরিষ্কার ডেভিড ২৫০ বছর ধরে বেঁচে আছে ওটা মিথ্যা। ওটা একটা গল্প যেটার মাধ্যমে সে ঐ কারাগারে গেছে। ডেভিড আলফ্রেড এর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য কৌশলে মাহা কে ব্যবহার করা শুরু করে। এবং দুই এপিসোড শেষে পরিষ্কার ঐ গুলজারকে নিয়ে কোনো অপারেশনে এসেছে ডেভিড এবং রাজু। কিন্তু সেটা কী। এগুলো পরবর্তী এপিসোডের রিভিউয়ের সময় আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করে নিব।।
ব্যক্তিগত রেটিং : ৯/১০
অফিশিয়াল ট্রেলার
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
কারাগার পার্ট- টুয়ের রিভিউ দেখে খুব ভালো লাগলো। বিশেষ করে তার অভিনয়গুলো সমাজের বিভিন্ন বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়। চঞ্চল চৌধুরী অভিনয় অনেক ভালো লাগে আমার। যদিও আমি ওয়েব সিরিজটি দেখা হয় নি তবুও আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে খুবই চমৎকার একটি ওয়েব সিরিজ। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন । শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কারাগারের প্রথম পর্ব আগেই হইচই দেখে নিয়েছিলাম।দ্বিতীয় পর্বটা যে চলে এসেছে সেটা জানতামই না। আপনি রিভিউ টা না দিলে হয়তো দেখতেও পেতাম না। আসলে সময় করে যে হইচইটা খুলব সেই সময়টুকু আর হাতে নেই। তবে প্রথম পার্ট দেখএ এতটাই অভিভূত হয়েছিলাম যে দ্বিতীয় পার্ট না দেখলে খুবই ভুল হবে। আর বিশেষ করে চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয়। সেখানে তো না দেখে অন্য কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। আমি আপ্লুত যে আপনি এত সুন্দর একটা রিভিউ লিখেছেন। পুরোটা যদিও পড়লাম না। উপরি উপরি পড়ে গেলাম। কারণ আমি মুভিটার ইন্টারেস্ট টা নষ্ট করতে চাই না। কিছু মনে করবেন না। আপনার লেখা সাবলীল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit