আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
স্যোসাল মিডিয়া ফেসবুকে মোটামুটি একটিভ আছি। মোটামুটি প্রতিদিন কয়েক ঘন্টা সময় কাটে এখানে। তবে বেশি আসক্ত না। প্রতিদিনই কারো না কারো বার্থডে উইস পোস্ট চোখে পড়ে। ফ্রেন্ড লিস্টে থাকা অনেকের জন্মদিনে তার টাইম লাইনে করা অন্যদের একের পর এক পোস্ট আমার চোখে পড়তে থাকে। মনে হয় আসলেইসলেই এরাই তো বন্ধু। বন্ধুর জন্মদিন মনে রেখেছে উইস করেছে ভাবা যায়। তবে আমি আমার একটা পরিষ্কার কথা জানিয়ে দেয়। আমি কাউকে উইস করি না কখনো। সত্যি বলতে কখনোই স্ট্যাটাস দিয়ে কাউকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই না। তবে যারা আমার খুবই কাছের বন্ধু বা কাছের মানুষ তাদের কে ইনবক্সে উইস করি। এতোটুকুই আমার দৌড়। আমি এইসব স্ট্যাটাস দেওয়াই অভ্যস্ত না। এগুলো জাস্ট আমার কাছে বাড়াবাড়ি মনে হয়।
গতকাল ১২ ই এপ্রিল আমার জন্মদিন ছিল। হ্যা গতকাল। এটা আমার তৈরি করা না। আমার জন্ম সনদ আমার সার্টিফিকেটে এই দিনই আছে। এবং আমার মায়ের ভাষ্যমতেই এই দিনেই আমি জন্মগ্রহণ করি। এবং সবচাইতে মজার বিষয় গতকাল আমাদের ছোট দাদা ব্ল্যাকস দাদারও জন্মদিন ছিল। ব্যাপার টা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। যে আমাদের দুজনেরই জন্মদিন একদিনে। তো আজ থেকে কয়েকদিন আগে। আমি সিদ্ধান্ত নেয় আমার ফেসবুক প্রোফাইলে আমার জন্মদিন টা হাইড করে রাখব। যেন কারো কাছে ফেসবুক থেকে নোটিফিকেশন না যায় । এবং আমি সেটাই করি। আমি মূলত এটা ইচ্ছা করেই করি। আসলে আমি দেখতে চেয়েছিলাম আমার জন্মদিন টা আদেও কেউ মনে রেখেছে কীনা। আমার তো কত বন্ধুই আছে। ফেসবুক নোটিফিকেশন দিলে তো যে কেউ দুইটা কথা লিখে দিতে পারে। কিন্তু এখন দেখি কে কে উইস করে।
আমি আবার উদ্ভট চিন্তার মানুষ। সেইরকমই কাজ করি। ফাইনালি আমার জন্মদিন আসে। পুরো দিনটা অতিবাহিত হয়ে যায়। ফেসবুক নোটিফিকেশন তো আগেই অফ করেছি। কীভাবে যেন আমার প্রত্যাশা অনুযায়ী সব ঠিক হয়ে যায়। হ্যা আমি একটা বার্থডে উইসও পাইনি। না পেয়েছি কোন পোস্ট না পেয়েছি কোন ম্যাসেজ। ফেসবুক নোটিফিকেশন দিলে হয়তো গোটা ১০-২০ উইস ম্যাসেজ স্ট্যাটাস পেতাম। কিন্তু অফ করে রাখায় একটাও পাইনি। অর্থাৎ আমার জন্মদিন টা কেউ মনে রাখেনি। মানুষ এখন এতোটা ব্যস্ত একজনের জন্মদিন মনে রাখবে এতো সময় কোথায়। তবে যদি বিশেষ কেউ জীবনে থাকে তবে আলাদা কথা। কিন্তু আমার সেই বিশেষ কেউ ও নেই। এই হলো কারণ। আমার খুব একটা খারাপ লাগছে না বরং ভালো লাগছে। এমনটা যে শুধু আমার ক্ষেত্রে হয়েছে ব্যাপার টা সেটা না।
আজ আপনি ফেসবুকে আপনার জন্মদিনের নোটিফিকেশন অফ করে রাখুন। দেখুন তো কতজন আপনাকে উইস করে। ঠিক কতজন আপনাকে নিয়ে স্ট্যাটাস দেয় আপনাকে টেক্সট করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। সংখ্যা টা খুবই কম হব খুবই কম। অনেকের ক্ষেএে তো আমার মতো একজনই জুটবে না উইস করার মতো। এটাই আমাদের বতর্মান জীবন। কত বন্ধু কত শুভাকাঙ্খি সব ঐ ফেসবুকের জন্য ফেসবুকের মধ্যে। প্রকৃতপক্ষে বাস্তব জীবনে আমি আপনি একা। ফেসবুকে বন্ধু হওয়া খুব সহজ। তবে এর বাইরে বন্ধু হয়ে পাশে থাকা বেশ কঠিন কাজ কিন্তু। আমাদের এই ছোট জীবনে আমরা অনেক মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করি। একবার ভেবে দেখুন একসময় আমাদের কত আপনজন কত কাছের মানুষ ছিল কতজন। কিন্তু এখন তারা আর নেই। তাদের সাথে দেখা হয় না কথা হয় না। মাসে বা বছরেও একবার কথা হয় না। জীবন টা সত্যি কত অদ্ভূত কত রোমাঞ্চকর।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জীবনটা আসলে অদ্ভুত ভাইয়া। আর ফেসবুক এর মাধ্যমে আমরা সবাই কম বেশি খোঁজ খবর রাখতে পারি। আর আমরা সবাই নোটিফিকেশনটা আগে চেক করি। এটা একদম সত্যি নোটিফিকেশন বন্ধ হলে সব শেষ। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিকই বলেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দেরিতে হলেও শুভ জন্মদিন ভাইয়া।কেউ মনে না রাখলেও আপনার কাল জন্মদিন ছিল।আর আমি মনে করি আমি আমার নিজের কাছে একজন আপন মানুষ।আপন বলতে কেউ আসলে নেই।আপনি নোটিফিকেশন বন্ধ করে দেখতে চেয়েছেন। আর দেখতেও পেলেন।আমি এক সময় ফেসবুকে অনেক অ্যাক্টিভ ছিলাম।আর এখন সময়ও পাইনা।আর সবচেয়ে বড় কথা অযথা সময় নষ্ট হয়।তাই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি এই ফেসবুক থেকে।আপনার পোস্ট পড়ে একটু কষ্টই পেলাম।একজন ও কাছের মানুষ বা বন্ধু ছিল না যে আপনাকে উইশ করবে।পৃথিবীটা আসলে এমনই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনাকে আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ফেসবুকে আমিও একটিভ থাকার চেষ্টা করি। একসাথে সব জায়গায় চেষ্টা করি বলতে গেলে। আমিও একদিন নোটিফিকেশন অফ করে রেখেছিলাম ভাইয়া, কেউ উইশ করে নাই। প্রতিটা মানুষ স্বার্থের জন্য ভালোবাসি। সব সময় ভালো সময় পাশে থাকার চেষ্টা করে। প্রকৃতপক্ষে তারাই আপনজন যারা মন থেকে ভালোবাসে। আপনার বাবা-মা প্রিয় মানুষ প্রিয় আপন জন্য হয়তোবা মনে রাখবে আপনার জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়া ভাই বলতে গেলে একটা স্বার্থের মিডিয়া। অনেক ফ্রেন্ড সার্কেল আছে যখন টাকার দরকার হয় তখন বলে কেমন আছো। সারা জীবন খোঁজ নাই। যখনই দরকার হয় লাভ রিঅ্যাক্ট ফেসবুকে কমেন্টস এ টু জেড। সব মিলিয়ে স্বার্থের একটা জিনিস এই মানুষ।দিন শেষে মানুষ মানুষকে ভুলে যায় আর এই জন্মদিন উইশ তো 🙂
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর বলেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
১২ ই এপ্রিল যেহেতু আপনার জন্মদিন চলে গেছে, তাই অনেকটা লেটে আপনাকে উইশ করছি ভাই, "শুভ জন্মদিন"। তবে আপনি ফেসবুকে জন্মদিনের নোটিফিকেশন টা অফ করে যে পরীক্ষাটা করেছেন, সেটা অবশ্যই শিক্ষামূলক। আসলে আমরা ব্যক্তি জীবনে এতটাই ব্যস্ত যে, অন্যের জন্মদিন মনে রাখার মতো সময় আমাদের কাছে নেই। এজন্যই হয়তো একজন মানুষও আপনাকে উইশ করিনি। বাস্তব জীবনে আমরা আসলেই প্রচন্ড একা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit