আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
------ | ------ |
---|---|
বইয়ের নাম | যে পাখি দেয় ধরা |
লেখক | জুবায়ের ইবনে কামাল |
প্রকাশনী | বাতিঘর |
ক্যাটাগরি | থ্রীলার |
প্রচ্ছদ | রাফিদ আরিয়ান |
প্রথম প্রকাশ | বইমেলা,২০২৫ |
মূল্য | ২৬০ টাকা |
বাবা মায়ের মৃত্যুর পরে মাহদির আপন বলতে ছিল একমাত্র বোন মাহমুদা। কিন্তু এক ভোরে মাহমুদা কে গ্রামে পুড়িয়ে মারে কেউ একজন। এরপর পুরোপুরি একা হয়ে যায় মাহদি। নিজের গ্রাম নদের চাঁদ ছেড়ে চলে আসে ঢাকায়। আগে অপরাধ জগতের সাথে থাকলেও সেটা থেকে বেরিয়ে আসে। শুরু করে উবারে ট্যাক্সি চালানো। তবে নিজের বোনের ঐরকম পরিণতির পর তার একটা সমস্যা দেখা দেয়। সে কখনোই কোন মেয়ের প্রতি অত্যাচার সহ্য করতে পারত না। কোন মেয়ের সাথে কেউ অন্যায় করলেই তার শরীরে রক্ত টগবগিয়ে উঠত। তার ভেতরের পশুটা জাগ্রত হয়ে যেত। ঘটনাচক্রে একজনের সাথে পরিচয় হয় মাহদির। তার মেয়েকে রেফ করে হত্যা করে ঐ এলাকার এক মাস্তান পাপন নামের একজন।
এই মেয়েটির বাবা অসহায়ত্ত্বের সাথে মাহদি কে সব বলে। পাপনের পেছনে ক্ষমতাসীন লোক থাকাই আইনের থেকেও কোন সাহায্য তারা পাইনা। মাহদি সিদ্ধান্ত নেয় পাপন কে সে এর শাস্তি নিজেই দেবে। তাকে হত্যা করবে এর প্রতিশোধ নেবে। তার ভেতরের পশু জেগে উঠে। খোঁজখবর নিয়ে একদিন ঐ পাপনের বাড়ি গিয়ে তার উপর আক্রমণ করে মাহদি। চুরি দিয়ে আঘাত করে। তবে পাপন মরে না কোমায় চলে যায়। কিন্তু মাহদি যখন পাপন কে মারছিল তখন দেখে ফেলে নিচের চায়ের দোকানের একটা ছেলে। মাহদির নামে হত্যাচেষ্টার মামলা হয়। নিজের জন্য উকিল ঠিক করতে গিয়ে ক্রিমিনাল লরিয়ার ফাতেমাতুজোহরা এর সাথে পরিচয় হয় মাহদি। জোহরা একজন ডিফেন্স লরিয়ার। সবকিছু শুনে মাহদির কেসটা নেয় লরিয়ার ফাতেমা। তবে মাহদি ফাতেমা কে যখন তার বোন মাহমুদার ঘটনা বলে তখন থেকে মাহদির উপর একটা সহানুভূতি তৈরি হয় ফাতেমার।
কেসের বেশ কয়েকটা রিট চলে। কৌশলে ফাতেমা মাহদি কে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে। তবে সেটা কতদিন। এইজন্যই ফাতেমা কেসটার মোড় অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য নতুন একটা জিনিস বের করে। পাপনের পেছনে থাকা গডফাদার মাস্টার ফয়জুর রহমান এর অপরাধ গুলো সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করে। আর এইজন্যই লুকিয়ে ফয়জুর এর অফিসে যায় মাহদি। তবে সেখানে গিয়ে আরেক সত্যের মুখোমুখি হয় মাহদি। মাহদি জানত না তার বোনকে ঠিক কে মেরেছে। তবে তার বোনকে মারা হয় একজন শিক্ষক এর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করার জন্য। ঐ শিক্ষক তার বোনকে উত্যক্ত করত। কিন্তু ফয়জুর এর অফিসে গিয়ে কাগজপত্র ঘাটতে গিয়ে দেখে কয়েকদিন আগে যাকে সে মেরেছে সেই পাপনই তার বোনকে পুড়িয়ে মেরেছিল। এবং এর পেছনেও রয়েছে ঐ মাস্টার ফয়জুর এর হাত। এরই মধ্যে জ্ঞান ফিরে আসে পাপনের। সে মাহদির বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দিতে প্রস্তুত হয়।
আপনাদের কী মনে হয় শেষ পযর্ন্ত কী হবে। পাপন হত্যাচেষ্টা মামলায় কী মাহদির সাজা হবে। নাকী ঘটনা মোড় নেবে নতুন দিকে। জানতে হলে বইটা আপনাদের পড়তে হবে। এইজন্য বইটার রিভিউ তে আমি স্পয়লার টা দিলাম না।
ব্যক্তিগত মতামত
যে পাখি দেয় ধরা বইয়ের লেখক জুবায়ের ইবনে কামাল তরুণ একজন লেখক। আমি পড়া এটাই উনার প্রথম বই। মজার ব্যাপার বই কেনার পরেই মেলাউ উনার সাথে দেখা হয় তখনই অটোগ্রাফ নেয় আমি পাশাপাশি ছবিও উঠি। উনি আমাকে বলেন বইটা পড়ে ইমেইলে অনূভুতি জানাতে। ইতিমধ্যে সেটা করেছি। থ্রীলার আমার বরাবরই বেশ পছন্দের। এই বইয়ে একজন যুবকের কথা বলা হয়েছে। মাহদি যার কীনা মানুষ হারিয়ে যায়। সবাইকে হারিয়ে সে আজ পৃথিবীতে একা। তবে তার নিজের হত্যাচেষ্টা মামলার লরিয়ার ফাতেমাতুজোহরার সাথে তার একটা অন্যরকম সম্পর্ক গড়ে উঠে। সাথে সাথে গল্প মোড় নেয় অন্যদিকে। লেখক একেবারে শেষ মূহুর্ত পযর্ন্ত আকর্ষণ ধরে রেখেছে। প্রতিনিত কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। এবং বইটা পড়তে রীতিমতো বাধ্য করেছে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গল্পটা সাইকোলজি থ্রিলারের ওপর মনে হচ্ছে। মাহদির যেই সাইকোলজিক্যাল পরিবর্তন এসেছে বা ট্রমা তৈরি হয়েছে তা পুরোটাই একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এবং এটা ইনেক ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে। এই নিয়ে অনেক সিরিজও তৈরি হয়েছে৷ আমার মনে হয় সমাজের কোথাও কোথাও এই মানসিক সমস্যাগুলো থেকেই অপরাধ জগত তৈরি হয়।
ভালো লাগল আপনার রিভিউ৷ টুকটাক কিছু টাইপিং মিসটেক আছে৷ বাকি ভালো লেখা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit