বই রিভিউ ;( পদ্মা নদীর মাঝি- মানিক বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়)।

in hive-129948 •  3 months ago 


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ মঙ্গলবার, ১৩ ই আগষ্ট, ২০২৪।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000559466.jpg


বই সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য



----------
নামপদ্মা নদীর মাঝি
লেখকমানিক বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়
প্রকাশনীউৎকর্ষ
প্রচ্ছদপরাগ ওয়াহিদ
দাম২৯০ টাকা


কাহিনী সংক্ষেপ


1000559468.jpg

1000559473.jpg

1000559472.jpg


বর্ষার মাঝামাঝি। পদ্মায় ইলিশ ধরতে ব‍্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে মাঝিরা। কুবের আজ আর পারছে না শরীর সায় দিচ্ছে না তার। পদ্মা নদী মাঝি কুবের একজন সামান্য পদ্মা নদীর মাঝি। কেতুপুরের জেলে পাড়ায় বাস তার। এই জেলে পাড়ার সবার জীবিকা অর্জনের একমাএ পথ পদ্মায় মাছ ধরতে যাওয়া। জেলে পাড়ার সবচাইতে পরিচিত মুখ এবং বন্ধু হোসেন মিয়া। হোসেন মিয়া লোকটা বড় অদ্ভুত। লোকটার অঢেল সম্পদ। তবে সে টাকাওয়ালা মানুষের সাথে মেশে না। জেলে পাড়ার সাধারণ জেলেরা তার বন্ধু। হোসেনের বয়স হয়েছে। হোসেন মিয়ার একটা দ্বীপ রয়েছে নাম ময়নাদ্বীপ। হোসেন মিয়াকে জেলে পাড়ার সবাই যেমন বন্ধু ভাবে তেমনি ভয়ও পাই। কবে আবার কাকে ময়না দ্বীপে নিয়ে যেতে চাই।

কয়েক মাস আগে রাসু রে হোসেন মিয়া ময়নাদ্বীপে নিয়ে যায়। রাসু তার ছেলে মেয়ে বউ হারিয়ে ময়নাদ্বীপ থেকে পালিয়ে আসে আবার কেতুপুর গ্রামে। কুবের মাঝির বউ মালা জন্মখোড়া হওয়াই নড়তে চড়তে পারে না। কিন্তু কুবেরের বউয়ের ছোট বোন কপিলার প্রতি কুবেরের একটা দূর্বলতা কাজ করে। কপিলা বিবাহিত হলেও সেও কুবেরর সঙ্গে ছলনা করতে ছাড়ে না। পদ্মার বুকে বিশাল ঝড় থেকে বেঁচে ফেরে কুবের এবং জেলেপাড়ার অন্য মাঝিরা। তবে ধনঞ্জয় এর নৌকা ডুবে যাওয়ায় জীবিকা হারায় কুবের ও গণেশ। একপর্যায়ে গিয়ে কুবের ও গণেশ হোসেন মিয়ার নৌকায় কাজ নেয়। তবে কুবেরের ভয় হয় কবে জানি হোসেন তাকে ময়না দ্বীপে নিয়ে যায়।


1000559470.jpg

1000559469.jpg

1000559471.jpg

1000559474.jpg


হোসেন মিয়ার নৌকায় কাজ নিয়ে সংসারে প্রথম সচ্ছলতা দেখতে পাই কুবের। তবে হোসেনের সঙ্গে কাজ করার ঝুঁকি ছিল অনেক। একপর্যায়ে গিয়ে কুবের বুঝতে পারে হোসেন অবৈধ আপিম ব‍্যবসা এর সাথে জড়িত। ধরা পড়লে তার জেল হবে নির্ঘাত। কিন্তু নিজের সংসারের কথা চিন্তা করে সে কাজ বাদ দিতে পারে না। কাজের জন্য হোসেন মিয়ার সঙ্গে একবার ময়নাদ্বীপ যায় কুবের। ময়নাদ্বীপ এক জনমানবহীন জঙ্গলময় দ্বীপ। যার অবস্থান সমুদ্রের মাঝে। হোসেন মিয়া এই দ্বীপা ক্রয় করিয়া এখানে বসতি স্থাপনের চেষ্টা করছে। এখানে কেউ আসলে হোসেন মিয়া ঘর দেয় জমি দেয় যতদিন জমিতে ফসল না হয় তাদের খাওয়া পড়ার দায়িত্ব হোসেন নেয়।

কিন্তু তবুও এখানে থাকা অসম্ভব। কিন্তু দিন যতই যাচ্ছিল কুবের যেন জড়িয়ে যাচ্ছিল কপিলার সঙ্গে এবং হোসেন মিয়ার ময়নাদ্বীপের সঙ্গে। কুবেরের শুধু ভয় হতো এই বুঝি হোসেন মিয়া কুবের কে ময়নাদ্বীপ যাইতে বলে। তো আপনাদের কী মনে হয় শেষ পযর্ন্ত কী পরণতি হবে কুবেরের। হোসেন মিয়া কী সত্যি তাকে ময়নাদ্বীপ নিয়ে যাবে। কপিলার সঙ্গে কুবেরের সম্পর্ক কী অন‍্য কোন রুপ নেবে। এইটা জানতে গেলে আপনাদের উপন‍্যাস টা পড়তে হবে।



ব‍্যক্তিগত মতামত



পদ্মা নদীর মাঝি বাংলা সাহিত্যের বিখ‍্যাত একটা উপন‍্যাস। পদ্মা পাড়ের জেলেদের জীবন কে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে উপন‍্যাস টা। সত্যি বলতে অসাধারণ একটা উপন‍্যাস এটা। গ্রাম বাংলার মানুষের জীবনের পদচিহ্ন তাদের জীবন জীবিকা সবকিছু লেখক সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন উপন‍্যাসে। পাশাপাশি হোসেন মিয়ার মতো একটা রহস্যময় চরিএ এবং ময়নাদ্বীপ যেটা কীনা আলাদা একটা মাএা যুক্ত করেছে। সবমিলিয়ে উপন‍্যাস টা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

পদ্মা নদীর মাঝি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম একটি প্রধান আকর্ষণ। এর পরতে পরতে রয়েছে নানা ধরনের উপাদান- সে মানব জীবনের ই হোক কিংবা মাঝিদের জীবনেধারা বা হিউম্যান সাইকোলজি! এই বইটি ইন্টারে থাকা কালিন আমাদের পাঠ্যক্রম এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিলো। তাই এর স্বাদ খুব ভালো ভাবেই আস্বাদন করেছিলাম সেই সময়ে.. আপনার রিভিউ টি বেশ সুন্দর হয়েছে ভাই। Happy Reading!

পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত একটি উপন্যাস। অনেক আগে এই উপন্যাসটি পড়েছি এবং টিভিতে দেখেছি যখন আমি এসএসসি পরীক্ষা দিই তখন। আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে নতুন করে পড়লাম। অনেক ভালো লাগে আমার এই উপন্যাসটি। বিশেষ করে জেলেদের জীবনযাপন এই নাটকের মাধ্যমে ফুটে ওঠে। এবং রহস্যময় ময়লা দ্বীপের কথা ফুটে ওঠে। সব মিলায়ে নাটকটি আমার কাছে অসাধারণ লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি নাটকের বুক রিভিউ করার জন্য।

২০১৪ সালে এইচএসসি পরিক্ষা দিয়ে মানিক বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসটা পড়েছিলাম। খুবই ভালো লেগেছে। একেবারে গ্রামের মূল চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। আমি আবার উপন্যাস ধরলে শেষ না করে শান্তি পায় না। ধন্যবাদ।