আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
দ্যা লিটিল ম্যাজেশিয়ান অর্থাৎ ছোট জাদুকর বলা হতো তাকে। ডিবক্সের বাইরে থেকে কার্ল শর্টে গোল করায় তার ছিল অসাধারণ দক্ষতা। পাশাপাশি পুরো মধ্যমাঠ জুড়ে চলত তার রাজত্ব। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মন জয় করে নেয় সব ফুটবল ফ্যানদের। আমি নিজেও ছেলেটার অনেক বড় একজন ফ্যান ছিলাম। তার খেলা বরাবরই উপভোগ করতাম। কিন্তু হঠাৎ কী জানি হয়ে গেল।ছেলেটা হারিয়ে গেল। লিভারপুল ফ্যানরা তাকে অনেক পছন্দ করত। বলছি ব্রাজিলের আরেক হতভাগ্য খেলোয়ার ফিলিপে কৌতিনহো এর কথা । আর পাঁচটা ব্রাজিলের খেলোয়ার এর মতোই তার জন্ম দরিদ্র পরিবারে। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডিও জেনিরোতে জন্মগ্রহণ করে কৌতিনহো। ব্রাজিলের আর পাঁচটা ছেলের মতোই ছোটবেলা থেকেই ফুটবলের প্রতি আর ছিল অসাধারণ এক নেশা।
নিজের পরিবার থেকে উৎসাহ পেয়ে মোটামুটি ফুটবলকে আকড়ে ধরে ছেলেটা। ফুটবল তাকে ফিরিয়ে দেয়নি। ব্রাজিলের বয়সভিত্তিক দলে নেইমারের সাথে বাঁধেন জুটি। করেন চমৎকার কিছু রেকর্ড। কৌতিনহো নজরে চলে আসে বেশ কিছু বড় বড় ক্লাবের। বেশ কয়েকটা ক্লাবে খেলার পরে ২০১৩ সালে কৌতিনহো যোগ দেন ইংলিশ জায়ান্ট লিভারপুলে। স্বপ্নের যেন সেই থেকে শুরু। লিভারপুলে একের পর এক অসাধারণ সব পারফরম্যান্স উপহার দিতে থাকে কৌতিনহো। খেলোয়ারদের ড্রিবলিং করে একক দক্ষতায় বল নিয়ে এগিয়ে যাওয়া অসাধারণ সব দৃষ্টিনন্দন গোল চমৎকার সব অ্যাসিস্ট সবকিছুই করতে থাকেন কৌতিনহো। অল্প কিছুদিনের মধ্যে লিভারপুলের একটা হিউজ ফ্যানবেজ নিজের করে নেয় কৌতিনহো।
২০১৮ সালের কথা। ততদিনে বার্সেলোনা থেকে একে একে বিদায় নিয়েছে জাভি, এনিয়েস্তা রা। বার্সেলোনা তখন একজন প্লেমেকার মিডফিল্ডার খুঁজছিল। নজর চলে যায় কৌতিনহো এর দিকে। ১৪৫ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে লিভারপুলের থেকে কৌতিনহো কে কিনে নেয় বার্সেলোনা। তবে তখন লিভারপুল কোচ ইয়্যুর্গেন ক্লপ কৌতিনহোকে বলেছিল থেকে যাও আরও কয়েক বছর। এনফিল্ডের ফ্যানদের ভালোবাসা পাবে। কিন্তু কৌতিনহো থাকেনি। বার্সেলোনায় গিয়ে ক্রমাগত নিজেকে হারিয়ে ফেলে কৌতিনহো। নিজের পছন্দ মতো পজিশন না পাওয়া টিমমেট দের সাথে কম্বিনেশন না হওয়া। ক্রমাগত নিজেকে যেন হারিয়ে ফেলতে শুরু করে কৌতিনহো।
নিজের খারাপ পারফরম্যান্স এর জন্য বার্সেলোনা থেকে লোনে পাঠানো হয় বায়ার্ন মিউনিখে। কিন্তু খারাপ সময় তার পিছন ছাড়েনি। নিজেকে যেন হারিয়ে খুজতে থাকেন কৌতিনহো। বার্সেলোনা থেকে পাড়ি জমায় ইংলিশ ক্লাব অ্যাস্টন ভিলায়। অ্যাস্টন ভিলা থেকে থেকে কাতারের আল দোহাইল ক্লাব। এবং বতর্মানে কৌতিনহো রয়েছেন ব্রাজিলের ক্লাব ভাস্কো দ্যা গামায়। কৌতিনহোর উত্থান টা হয়েছিল স্বপ্নের মতো। কিন্তু তার হারিয়ে যাওয়া যেন একটা দুঃস্বপ্ন। ব্রাজিলও হারিয়ে ফেলে তাদের অন্যতম সেরা একজন মিডফিল্ডার কে। সময়ের পরিক্রমায় কত সম্ভাবনাময় প্রাণ হারিয়ে যায়। কে'ই বা রাখে তার খবর। কৌতিনহো যেন এইরকমই সময়ের পরিক্রমায় হারিয়ে গিয়েছেন।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যদিও বা তেমন একটা ফুটবল খেলা দেখা হয় না ক্লাবের খেলা গুলো। তারপরেও একটা সময় ব্রাজিলের ফিলিপে কৌতিনহোর কথা বেশ শুনতাম। যে মিডফিল্ডার হিসাবে ব্রাজিল আরেক নতুন ম্যাজিশিয়ানকে পেয়েছে। আসলেই ফিলিপে কৌতিনহো একসময়ের চমৎকার প্লেয়ার ছিলেন। কিন্তু কাল ক্রমে নিজের বাজে পারফরম্যান্স এর কারণে হারিয়ে গেছেন। যাই হোক এটাই প্রত্যাশা করব পুনরায় যেন ভাস্কো দা গামা থেকে পুনরায় তার উত্থান হয় নতুনভাবে। তবেই ব্রাজিল পাবে নতুন আরেক মিডফিল্ডার ম্যাজিশিয়ান কে। চমৎকার লিখেছেন ভাই আপনি। আপনার পোষ্টের লেখাগুলো আমার মনকে মুগ্ধ করে দিয়েছে ,ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit