আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মোসলমান।
মুসলিম তার নয়ণ-মণি, হিন্দু তাহার প্রাণ
আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন উপরের কথাটা। আহ কী চমৎকার কথা একবার ভেবে দেখুন। সত্যি তো আমরা তাই। আমার বাড়ির পাশের হিন্দু ভাইয়ের কোন ক্ষতি হলে আমার চেয়ে বেশি কষ্ট কেউ পাবে না। আবার আমার ক্ষতি হলে সবার আগে এগিয়ে আসবে এই হিন্দু প্রতিবেশি। আমাদের জাত ধর্ম এগুলো আসে অনেক পরে আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা প্রতিবেশী। ঠিক বাংলাদেশের প্রতিবেশি যেমন ভারত। ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক আগে থেকে। লর্ড কার্জন যখন ১৯০৬ সালে এই বাংলা বিভক্ত করার জন্য বঙ্গভঙ্গ ঘোষণা করে তখন কিন্তু তীব্র প্রতিবাদের মুখে ১৯১১ সালে সেই বঙ্গভঙ্গ রোদ করা হয়।
কিন্তু ১৯৪৭ বিভক্ত হয়ে যায় আমরা। বিভক্ত হয়ে গেলেও আলাদা ভূখণ্ড হয়ে গেলেও আমাদের আত্মা কখনও আলাদা হয়নি। আমরা সবসময় এক ছিলাম এবং আছি। তবে সমসাময়িক সময়ের ঘটনা বেশ ব্যাতীথ করে আমাকে। বিশেষ করে বাংলাদেশের বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভারতীয় জাতীয় পতাকা পদদলিত করার ব্যাপার টা আমি চরমভাবে ঘৃণা করি। এটা কখনও কোন শিক্ষিত বিবেকবান মানুষের কাজ হতে পারে না। এটা একটা শ্রেণির মানুষের চক্রান্ত। যাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ফলে এইরকম ভারত বিদ্বেষী মনোভাব দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের একটা অংশের মধ্যে।
দুইটা দেশের মধ্যে রাজনৈতিক একটা অস্থিরতা সবসময়ই থাকবে। এটা রাষ্ট্রীয়ভাবে সমাধান করা যায়। কিন্তু এইরকম কাজ করা উচিত না। আমি বাংলাদেশ ভারত বুঝি না। কলকাতার গঙ্গাই আমার পদ্মা। আমি বুঝি রবীন্দ্রনাথ যেমন ভারতের তেমন আমাদের। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস যেমন তাদের নেতা তেমন আমাদেরও নেতা। কবি, সাহিত্যিক, বিপ্লবীদের কোন নির্দিষ্ট দেশ হয় না জাতি হয় না ধর্ম হয় না। তাদের বেঁধে রাখা যায় না নির্দিষ্ট ভূখণ্ড দিয়ে। মানুষ হিসেবে ভুল আমাদের হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বতর্মান সময়ের এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোটেই কাম্য না। আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে এটার সমাধান চাই। চাইলেও প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবদান আমরা কখনোই ভুলতে পারব না।
আশাকরি খুব দ্রুতই সমাধান হবে এই অস্থিরতার। আমরা চাই না কোন একটা কুচক্রী শ্রেণির মানুষের প্ররোচনায় নষ্ট হোক আমাদের সম্পর্ক। আমি একটা কথায় বলব। ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক জাতি ধর্ম বর্ণ রাজনীতি এগুলোর অনেক উপরে। রাজনৈতিক দল যাবে আসবে ক্ষমতার পরিবর্তন হবে। কিন্তু আমাদের সম্পর্ক সবসময় ঠিকই থাকবে। আশাকরি এই সমস্যার সমাধান খুব দ্রুতই হবে। আমাদের উচিত ধর্মীয় রাজনৈতিক গোড়ামি ছেড়ে বেরিয়ে এসে মানুষ কে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করা। তবেই এই সমসার সমাধান সম্ভব।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
আসলেই একশ্রেণীর মানুষের কুচক্রের কারণে দুইটি দেশের মধ্যে এমন অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। দুটি দেশের মধ্যে কতটা গভীর সম্পর্ক ছিল সেটা পেছনের অতীত আমাদেরকে বারবার মনে করিয়ে দেয়। উভয় দেশের মানুষের পেছনের অতীতগুলো একটু তাকিয়ে দেখা উচিত তাহলেই তারা বুঝতে পারবে নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি না করে ভালবাসার ছায়াতলে আবদ্ধ হওয়া উচিত।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Daily task
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটা সত্যি কথা বলেছেন ভাই কিছু কুচক্রী মহলের জন্য আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অবনতি করা ঠিক হবে না। আমরা কখনোই একে অপরের অবদান বলতে পারব না। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে লিখেছেন ভাইয়া। আমরা ভাই ভাই। আর এই কথা সত্য বাংলাদেশ তো ভারত মাতার সন্তান। ভারতবর্ষ থেকে বাংলাদেশের সৃষ্টি। তাই কোনভাবেই ভারতের সাথে ভেদাভেদ সৃষ্টি করা আমাদের জন্য কাম্য হবে না। সবকিছু ভুলে আবারও আগের মত সুন্দর মিল মহব্বত নিয়ে চলতে হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit