!! অফিশিয়ালি ৪র্থ সেমিষ্টার শেষ করলাম!! ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।

মানুষের জীবনে কখন কী ঘটে যায় তা বলা মুশকিল। আমাদের সাথে মানে এখনকার শিক্ষার্থীদের সাথে এমন একটা ঘটনা ঘটে গেছে তা কোনোভাবেই ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দুইবছর স্কুল কলেজ বন্ধ ছিল। যদিও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড করোনার মধ্যেই এক সেমিষ্টার এর পরীক্ষা গ্রহণ করেছে। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের অটোপাশ বা বিষয় কম করে পরীক্ষা নিলেও আমাদের ক্ষেত্রে সেটা হয় নাই। আমাদের পরীক্ষা দেওয়া লাগছে সব বিষয় এবং অটোপাশ তো দূরের কথা। যদি করোনা ভাইরাস না আসত তাহলে আমি এখন প্রায় সপ্তম সেমিষ্টারে পড়তাম। কিন্তু সেই আমি বা আমার ব‍্যাচ এখন চতুর্থ সেমিস্টারে। ক্লাস বন্ধ করে দিয়েছি ২০ মার্চ। কিন্তু প্রবেশপএের অপেক্ষায় ছিলাম। গতকাল সেই প্রবেশপএ নিয়ে অফিশিয়ালি চতুর্থ সেমিষ্টারের ক্লাস শেষ করলাম। আগামী ২ এপ্রিল থেকে আমার সেমিস্টার ফাইনাল।

---

---

---

w3w

---

প্রবেশপএ দেওয়া শুরু করছে সোমবার। কিন্তু একটি ঝামেলার কারণে আমি ঐদিন প্রবেশপএ আনতে কলেজে যেতে পারি নাই। সেজন্য আমি এবং আমার বন্ধু ইকরা নাভিদ ঠিক করি মঙ্গলবার যাব প্রবেশপএ আনতে। কলেজে যাওয়ার সময়ে একটা লোকাল ট্রন আছে। অযথা সিএনজিতে গিয়ে টাকা খরচ করার কী দরকার। তাই ট্রেনের উদ্দেশ্যে চলে গেলাম কুমারখালী রেলওয়ে স্টেশন। ওখানে আমার অন্য বন্ধুরাও ছিল। ঐ যথারীতি ট্রেন আসতে দেরী। তারপর আবার উপচে পড়া ভীড়। যাইহোক বেশি দূরত্ব না হওয়াই বেশি অসুবিধা হয় নি। এরপর কুষ্টিয়া স্টেশনে নেমে চলে গেলাম কলেজে। কলেজটা এখান থেকে বেশি দূরে না।

---

---

---

w3w

---

এই অনুমানিক ১০:১৫ এর সময় কলজে ক‍্যাম্পাসে গেলাম। বেশ প্রায় ১০ দিন ক‍্যাম্পাসে। আমার ক‍্যাম্পাসটা অনেক সুন্দর। অনেক গাছপালা থাকাই খুবই শিতল এবং চারিদিকে সবুজ। তো প্রথমে গেলাম ডিপার্টমেন্টে। কিন্তু ওখান থেকে বলে তোমাদের প্রবেশপএ ইলেকট্রিক‍্যাল মেশিন শপে দেওয়া হচ্ছে। ওখানে গিয়ে দেখি সেরকম ভীড় নেই। কারণ গতকাল অধিকাংশ শিক্ষার্থী এডমিট কার্ড নিয়ে নিয়েছে। স‍্যারের কাছে গিয়ে রোল বলতে বের করে দিলেন। এরপর মোটামুটি ক‍্যাম্পাসে কাজ শেষ। কিন্তু এতোদিন পর এসেছি তাই ভাবলাম একটু ঘুরে নেয়। এবং আমার কিছু বন্ধু বলল ক‍্যাম্পাসে থাক সেজন্য আমিও ওদের অপেক্ষায় থাকলাম।

---

---

---

w3w

---

এরপর আমার বন্ধু সৈকত এবং তূর্য এলো। দুজনই খুব দুষ্টু প্রকৃতির। তবে ওরা বন্ধু হিসেবে খুবই ভালো। ওদের সাথে থাকলে দারুণ উপভোগ করা যায়। ওরা দেখতে সুদর্শন হওয়াই মেয়েদের বেশ দ্রুত পটিয়ে ফেলে হাহা এবং তূর্য তো টিকটক সেলিব্রেটি। ওদের সাথে ক‍্যাম্পাসে অনেকক্ষণ আড্ডা দেয়। এরপর আমি আমার ক্লাসের ম‍্যামের সঙ্গে দেখা করতে যায়। উনি ব‍্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণ করছিলেন এজন্য প্রথমে দেখা হয় নাই উনি অপেক্ষা করতে বলেন। উনার সাথে কথা বলে আমি এবং নাভিদ ক‍্যাম্পাস ত‍্যাগ করি। পরীক্ষার আগে আর ক‍্যাম্পাসে আসা হবে না।

------	-----
ফটোগ্রাফার	@emon42
ফটোগ্রাফি ডিভাইস	VIVO Y91C

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

---

---

---

---