আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ষাট গম্বুজ মসজিদের বাইরে আমরা দাঁড়িয়ে। বাইরে থেকে কিছুটা দেখা যাচ্ছে মসজিদের প্রাঙ্গণ। দেখেই অসাধারণ একটা অনূভুতি হচ্ছিল। আমরা বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ঐসময় আমাদের স্যার চলে গেল টিকিট কাটতে। টিকিট ছাড়া পর্যটকদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয় না। তবে স্থানীয়রা ষাট গম্বুজ মসজিদে প্রতি ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে যায়। সেক্ষেত্রে কোন টিকিট লাগে না। টিকিটের মূল্য ছিল সম্ভবত ২০ টাকা। তবে আমরা যেহেতু শিক্ষার্থী ছিলাম আর আমাদের বয়স ছিল ১৮ এর কম সেজন্য টিকিটের মূল্য অর্ধেক রেখেছিল। এরপর স্যার আমাদের সবাইকে একটা করে টিকিট দিয়ে দেয়। টিকিট নিয়ে আমরা ভেতরে প্রবেশ করি। বেশ সুন্দর ঈদের তৈরি সরু রাস্তা। এবং রাস্তার দুই পাশে সুন্দর ফুলের বাগান। রাস্তার দুই পাশে সারি ধরে রোপন করা ছিল বিশেষ ধরনের ফুলগাছ। বেশ চমৎকার লাগছিল দেখতে।
পুরো এরিয়া জুড়ে ছিল অসাধারণ একটা প্রাকৃতিক পরিবেশ। অসংখ্য গাছ অসংখ্য ফুল। এরপর আমরা এগিয়ে গেলাম সেই কাঙ্ক্ষিত ষাট গম্বুজ মসজিদের দেখে। আগের পর্বে বলেছিলাম এই ষাট গম্বুজ মসজিদের নির্মাতা কিছু খান জাহান আলী। এবং এটা জাতিসংঘ এর সংস্থা ইউনেসকো কতৃক স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহাসিক স্থাপত্য হিসেবে। মসজিদের পাশেই ওযু করার জায়গা ছিল সেখান থেকে ওযু করে পবিএ হয়ে আমরা মসজিদের মধ্যে প্রবেশ করি। ভেতরে গিয়ে ঐসময়ের অনেক স্মৃতি আমাদের চোখে পড়ে। বিশেষ করে ঐসময় এর নির্মাণ কৌশল টা। ওখানেই ছিল মসজিদের ইমাম ঐতিহ্য মোয়াজ্জিন। তারা আমাদের এই মসজিদের ইতিহাস বতর্মান অবস্থা এসব সম্পর্কে বলে। ভেতরে ঘোরাঘুরি শেষ হলে আমরা বাইরে আসি।
আমার একজন বন্ধু হঠাৎ এসে বলে এই মসজিদের গম্বুজ কিছু ষাট টা না। তখন কিছু বুঝতে পারিনি। পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি হ্যা এই মসজিদের উপরে সর্বমোট গম্বুজ সংখ্যা ৭৭ টা। এবং প্রত্যেকটা গম্বুজের আয়তন এক। ঐসময় ভালো স্মার্টফোন ছিল না আমার কাছে। তারপরও বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করেছিলাম আমি । মসজিদের চারিদিক ঘুরে দেখি অসাধারণ লাগছিল সবমিলিয়ে। দেখতে দেখতে অনেক টা সময় আমরা অতিবাহিত করে ফেলি। ষাট গম্বুজ মসজিদে প্রবেশ করার আগে স্যার আমাদের বলে দিয়েছিলেন সময় মাএ ৩০ মিনিট। এরমধ্যে আমাদের ফিরে আসতে হবে। সকাল ৮:৩০ এর দিকে আমরা ষাট গম্বুজ মসজিদ থেকে বের হয়ে আসি। যদিও ইচ্ছা করছিল না।
বের হয়েই সবচাইতে বেশি যে জিনিসটা অনুভব করলাম প্রচণ্ড খিদা লাগছে। কিন্তু আমাদের সকালের খাবার তৈরি হবে মংলাপোর্টে গিয়ে। অর্থাৎ এখন আমাদের নিজেদের মতো কিছু খেয়ে নিতে হবে। আমার ব্যাগে দুই প্যাকেট বিস্কুট ছিল। আমি এবং আমার তিনজন বন্ধু লিখন আরিফুল সাঈদ বিস্কুট গুলো শেষ করে দেয় নিমেষেই। এবং পাশেই একটা চায়ের দোকান ছিল ওখানে গিয়ে আমরা চা খাই। সকালের নাস্তা শেষ হলো। আমরা আবার বাসে এসে বসলাম। বাসের জানালা দিয়ে ষাট গম্বুজ মসজিদ এর কিছু দৃশ্য আমরা পূণরায় অবলোকন করি। আবার শুরু হয় আমাদের যাএা। এবারে আমাদের গন্তব্য মংলা পোর্ট এবং সেখান থেকে ট্রলারে করে সুন্দর। ষাট গম্বুজ মসজিদ, বাগেরহাট থেকে আমাদের বাস ছাড়ে সকাল ৮ টা ৪৫ মিনিটে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দরবন ভ্রমণের এই পর্বটি দেখে অনেক ভালো লাগলো। এত সুন্দর জায়গায় যাওয়ার সুযোগ কখনো হবে কিনা জানিনা। তবে চেষ্টা করবো। অসাধারণ একটি ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit