আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ক্রিকেট খেলা মোটামুটি কম দেখি। তবে একসময় বেশ ভালোই দেখতাম। ক্রিকেটে আমি দুইজন খেলোয়ারের অনেক বড় ভক্ত। তারা দুইজন অবসরে যাওয়ার পরে খেলা এখন দেখি না বললেই চলে। একজন ছিলেন ভারতের মাহেন্দ্র সিং ধোনি এবং অন্যজন পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি। বাংলাদেশের খেলোয়াদের সবসময়ই ভালো লাগত। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি কোনদিনই সাকিব আল হাসান কে পছন্দ করতাম না। এটা একেবারে ক্রিকেট দেখার শুরুর দিন থেকে। কেন জানি তার ব্যবহার আমার কাছে কোনদিনই ভালো লাগেনি। তবে সে বিশ্বসেরা বাংলাদেশের মতো দেশের সেরা ক্রিকেটার তো বটেই। এমনকি বিশ্বের মধ্যে সেরাদের তালিকায় তার নাম সহজেই উঠে যায় ।
ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ না করলেও আমি কখনোই খেলোয়ার সাকিব কে ঘৃণা করিনি। ব্যক্তিগতভাবে বাজে কথা বলিনি। কিন্তু আমাদের পুরো বাঙালি জাতি এই ছেলেটাকে মাথায় করে রেখেছিল গত ১৫ বছর। কিন্তু এখন সে বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটা নিকৃষ্ট মানুষ হিসেবে পরিণত হয়েছে। এটার কারণ আপনারা জানেন। বাংলাদেশ এবং আফ্রিকার মধ্যে চলমান টেস্টে খেলার কথা ছিল সাকিব আল হাসানের। তবে রাজনৈতিক একটা চাপের কারণে তিনি দেশেই আসতে পারেননি। পারেননি নিজের দেশের হয়ে মাঠে নামতে। এটা নিয়ে অনেকেই অনেক মন্তব্য করছে। তবে এক্ষেত্রে আমি সাকিবের চেয়ে বেশি দোষ দিব আমাদের বাঙালিদের। আমরা কখনোই আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।
সাকিব একজন খেলোয়ার। তাকে মাথায় তুলে নাচার সময় আমাদের যেমন বাঁধে না। একইভাবে মূহুর্ত্তের মধ্যে তাকে যা তা বলতেও আমাদের বাঁধে না। আমরা এমনই। এখানে খেলোয়ার সাকিবের চেয়ে তার পরিচয় এখন সে একজন রাজনৈতিক নেতা। এর জন্য অবশ্যই আমি সাকিবে কে দোষারোপ করব। একজন খেলোয়ারের কখনোই রাজনীতিতে যাওয়া উচিত না। বিশেষ করে অবসর নেওয়ার আগ পযর্ন্ত তো কখনোই না। কিন্তু সাকিব এটাই করেছে। যোগ দিয়েছে রাজনীতি তে। যদিও তার বাংলাদেশের ঘৃণ্য রাজনীতি বোঝার মতো ক্ষমতা নেই বলে আমার ধারণা। বিশ্বের বড় বড় তারকা খেলোয়ার রা যেখানে তাদের ইমেজ পরিষ্কার রাখতে চেষ্টা করে সেখানে সে চেষ্টা করে প্রশ্নবিদ্ধ হতে।
একজন খেলোয়ারের কাজ দেশের হয়ে সম্মান অর্জন করে নিয়ে আসা। সাকিবের কোন কিছুর অভাব নেই। কিন্তু তারপরও সে যে কেন এই রাজনীতি তে জয়েন করেছিল এটা একমাএ সেই বলতে পারবে। এবং এটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে তার জীবনের সবচাইতে বড় ভুল। একটা বিশাল অংশের মানুষের ক্ষোভ গিয়েছে পড়েছে তার উপর। অন্তত আমি মনে করি এমন একজন মানুষের কখনোই কোন দলের অন্তভূক্ত হওয়া ঠিক না যার প্রতি অধিকার আছে পুরো দেশের মানুষের অধিকার রয়েছে পুরো জাতির। তবে বিগত ১৫ বছরে তার অর্জন আমরা ভুলে যেতে পারি না মূহুর্ত্তের মধ্যে। আমাদের উচিত বিগত ঘটনা কে তার ভুল হিসেবে দেখা। তাকে আবার মাঠে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। সাকিবের সবচাইতে বড় পরিচয় সে বাংলাদেশ দলের একজন খেলোয়ার সে কোন রাজনৈতিক দলের নেতা না।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit