আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ওয়েব সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
------- | ------ |
---|---|
পরিচালক | ইমতিয়াজ হোসেন |
প্লাটফর্ম | হইচই |
এপিসোড সংখ্যা | ৬ |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তি | জুন,২০২২ |
অভিনয়ে | আফজাল হোসেন, জাকিয়া বারী মোমো, সোহেল মন্ডল, শরিফ সিরাজ আরও অনেকে।। |
Behind The Door
প্রথমেই দেখা যায় ইকবাল বিহারী পল্লী থেকে বের হয়ে রাস্তায় একটি মাইক্রো এর মধ্যে ঢোকে। এবং সেখানে একজন মহিলার সঙ্গে কথা বলে। ঐ মহিলা হলো বাঙালি পুলিশ কর্মকর্তা এবং ইকবাল হলো একজন বিহারী যুবক। ইকবাল কিছু কথা বাংলাই এবং কিছু কথা উর্দুতে বলে। ঐ মহিলা ইকবালকে বলে তোমাদের নেতা উসমান এর অফিসের টেবিলের নিচে এই ভয়েস রেকর্ডার টা রেখে আসতে হবে। ঐ মহিলা বলে তোমাদের নেতা উসমান একজন আতঙ্কবাদীকে আশ্রয় দিয়েছে তোমাদের ক্যাম্পে। ইকবালের ছোট ভাই ইকরাম কারাগারে রয়েছে। ঐ মহিলা পুলিশ বলে তুমি আমাদের সাহায্য করলে আমি তোমার ভাইকে ছাড়াতে সাহায্য করব সেজন্য ইকবাল রাজি হয়ে যায়। এবং এক রাতে গিয়ে ইকবাল বিহারী নেতা উসমান এর অফিসের টেবিলের নিচে ভয়েস রেকর্ডার টা সেট করে দিয়ে আসে। কিন্তু সে বের হতে পারে না বাইরে থেকে কেউ দরজা আটকে দেয়। তখন ইকবাল তার বন্ধু ওয়াসিম কে ফোন করে। ওয়াসিম এসে ইকাবাল কে বের করে এবং বলে কী হয়েছে বল। তখন ইকবাল বলে ঠিক আছে তাহলে তুই কাউকে বলবি না।।
ইকবাল ঐ আতঙ্কবাদীর ছবি দেখাই ওয়াসিম কে। ওয়াসিম বলে ঠিক আছে তুই খোঁজ নে। তবে ঐ মহিলা তোকে ব্যবহার করছে। এরপর দেখা যায় ইকবাল থানায় তার ছোট ভাই ইকরামের সঙ্গে দেখা করতে গেছে। তার ছোট ভাই বলে ভাইয়া আমি অনেক কষ্টে আছি আমাকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করো। ইকবাল বলে আমি চেষ্টা করছি। এরপর ইকবাল ঐ নেতা উসমানকে কিছুদিন চোখে চোখে রাখে কিন্তু কিছুই পাই না। ইকবাল মনে করে এটা সে তার জাতির সঙ্গে বেইমানি করছে। কিন্তু ইকবাল ড্রাগ বিক্রি করে এটা ঐ মহিলা পুলিশ অফিসার জানে। সেজন্য সে ভয় দেখিয়ে ইকবাল কে দিয়ে এই কাজ করিয়ে নিচ্ছে। একদিন রাতে ইকবাল এবং তার মা বসে আছে। হঠাৎ ইকবালের মা বলে তোর বন্ধু ওয়াসিমের বাসায় অনেক বড় একজন মানুষ আসছে। এটা শুনে ইকবালের মনে সন্দেহ জাগে এবং সে তখনই ওয়াসিমের বাড়ি চলে যায়। রাতে ওয়াসিম কে ডাকতেই দরজা খোলে ঐ লোক। এই লোক সেই আতঙ্কবাদী যার খোঁজ নেওয়ার জন্য পুলিশ ইকবালকে কাজে লাগিয়েছে। ইকবালের বন্ধু ওয়াসিমের বাড়িতে ঐ লোক এটা দেখে ইকবাল রীতিমতো অবাক হয়ে যায়।।।
Everybody Knows
ঐ আতঙ্কবাদী কার্বনকে ওয়াসিম এর বাসায় দেখার পর ইকবাল ওয়াসিম কে ফোন করে। ওয়াসিম একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিল সেখানে গিয়ে ইকবাল ওয়াসিমকে জিজ্ঞেস করে আমাকে কিছু বলিস নাই কেন। ঐ আতঙ্কবাদী তোর বাড়ি কেন। তখন ওয়াসিভ বলে উনি আতঙ্কবাদী না উনি অনেক ভালো মানুষ। উনি আমাদের উপকার করতে এসেছেন উনি আমাদের পাকিস্তান নিয়ে যাবেন।। ওয়াসিম বলে ঐ মহিলা গোয়েন্দা তোকে ভুল বুঝিয়েছে। এবং আমি ভাইজান এর সঙ্গে কথা বলেছি ভাইজান তোর ছোট ভাই ইকরামকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করবে। এরপর দেখা যায় ইকবাল তার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে জেলখানায় দেখা করতে যায়। কিন্তু তার ছোট ভাই তার সঙ্গে দেখা করে না। ইকবাল চলে আসে। এরপর ঐ মহিলা গোয়েন্দা ইকবালকে বলে তোমাদের নেতা উসমান এর অফিসে এবার এই ক্যামেরাটা লাগানো লাগবে তোমাকে। তখন ইকবাল বলে আমি এসব পারব না। আপনি আমাদের নেতাকে ব্ল্যাকমেইল করবেন সেটা হবে না এটা বলে ইকবাল চলে আসে।
এরপর দেখা যায় ইকবাল খেতে বসেছে। সেই সময়ে একজন ফোন করে বলে ড্রাগ লাগবে। ইকবাল জিজ্ঞেস করে আমার নাম্বার কে দিয়েছে। তখন তারা বলে ওয়াসিম দিয়েছে। এরপর ইকবাল বলে রাস্তায় দাঁড়ান আসছি। কিন্তু ইকবাল যায় না। ইকবাল অন্য জনকে পাঠিয়ে নিজে একটি ছাদের উপর দাঁড়িয়ে সব দেখছিল। ইকবাল যা ভেবেছে তাই হয়েছিল তার বন্ধু ওয়াসিম পুলিশকে খবর দিয়ে ইকবাল কে ধরিয়ে দিতে চেয়েছে। কিন্তু ইকবাল বেঁচে যায়। এরপর ইকবাল ভাবে যে বন্ধু আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আমিও তাহলে বলে দেব ঐ আতঙ্কবাদী ওয়াসিমের বাড়িতে আছে। এবং ইকবাল সেটা ঐ মহিলা গোয়েন্দা কে বলেও দেয়। এরপর দেখা যায় ঐ মহিলা গোয়েন্দা তার সিনিয়র অফিসার এর অনুমতি নিয়ে বিহারী ক্যাম্পে যায় এবং ইকবালের সহযোগিতায় ওয়াসিমের বাড়ির সামনে যায়। কিন্তু ততক্ষণে ঐ আতঙ্কবাদী এবং ওয়াসিম টের পেয়ে পালিয়ে যাবে সেই অবস্থায় ঐ পুলিশও চলে আসে। হঠাৎ ঐ আতঙ্কবাদী গুলি করে। সঙ্গে সঙ্গে ঐ দুই গোয়েন্দাও গুলি করে। এর ফাঁকেই ওয়াসিম এবং ঐ আতঙ্কবাদী কার্বন পালিয়ে যায়। এবং একটি গুলি ওয়াসিমের বাবার গায়ে লাগে। এবং ওয়াসিমের বাবা মারা যায়।। এখানেই শেষ হয় এই এপিসোডটা।।
ব্যক্তিগত মতামত
২০০৭ সালের ঢাকা বিহারী পল্লীর একটি ঘটনা নিয়ে এই ওয়েব সিরিজটা নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা বিহারী পল্লীর কথা আমরা প্রায় সবাই জানি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আর তারা পাকিস্তান তাদের গ্রহণ করেনি। এরপর থেকে তারা বাংলাদেশেই রয়েছে। তো গোয়েন্দা বিভাগ অনেকদিন ধরে একজন আতঙ্কবাদী কার্বনকে খুঁজছে। হঠাৎ তারা জানতে পারে সে ঐ আতঙ্কবাদী বিহারী পল্লিতে লুকিয়ে আছে। সেজন্য ঐ মহিলা গোয়েন্দা ঐ বিহারী পল্লীর ইকবালের সাহায্য নেয়। বলে তাকে খুঁজে দিতে পারলে ইকবাল কে সাহায্য করবে। ইকবাল খোঁজ পেয়ে যায় কিন্তু ঘটনাচক্রে সেই রাতে আতঙ্কবাদী কার্বন পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় গোয়েন্দাদের সঙ্গে গোলাগুলি হয়। ঐ গোলাগুলিতে একজন মারা যায়। এই ছিল প্রথম দুই এপসোডের রিভিউ। পরবর্তী দুই এপিসোডের রিভিউ নিয়ে আমি পরবর্তী সপ্তাহে আসব।।
ব্যক্তিগত রেটিং : ৮.৫/১০
সিরিজের ট্রেলার
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
বাস্তবক্ষেত্রেও এমন হয়। অনেক উচ্চপদস্থ লোকজন নিজেদের ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে অবিরত শোষণ চালায়। বাস্তবতার এক কালো চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এই সিরিজে। বেশ ইন্টারেস্টিং।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit