আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
তো বন্ধুরা গতকাল আমি আমার ট্রেন ভ্রমণের প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আজ আমি শেষ পর্ব শেয়ার করব। পোড়াদহ এই জংশন থেকে আমাদের গন্তব্য কুমারখালী রেলওয়ে স্টেশন। এর মাঝে আরও ৪ টা রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে। আসার সময়ে জানালার ধারে সিট না পেলেও এখন পেয়েছি। এখন বাইরে টা দেখতে দেখতে যাওয়া যাবে। এইবার পাব ট্রেন ভ্রমণের আসল মজা।
----- | ----- |
---|---|
ভিডিও ধারক | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
লোকেশন | w3w |
ট্রেনটা যখন পোড়াদহ জংশন থেকে চলতে শুরু করে তখন ভিডিও করা হয়। এই ভিডিও টা আমি ধারণ করেছি। ট্রেন চলতে শুরু করেছে কিন্তু আপনারা খেয়াল করলে দেখতে পারবেন চলন্ত ট্রেনেই অনেক লোক দৌড়ে উঠছে। এটা অনেক ঝুকিপূর্ণ একটা কাজ। এইভাবে ট্রেনে উঠতে গিয়ে প্রতিবছর অনেক দূর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু আমাদের দেশের জনগণ কিছুইতেই সচেতন হয় না। যাইহোক এসব বাদ দিয়ে আমি আমার ভিডিও এর দিকে নজর দেয়। ধীরে ধীরে ট্রেনের গতি বাড়তে থাকে। এবার ট্রেনে আমাদের পাশে বসেছে দুজন মধ্যবয়স্ক লোক। এই বয়স ৪৫-৫০ হবে। তাদের কথাবার্তা ব্যবহার খুবই ভালো। আমাদের সাথে অনেক কথা বলল। বেশ ভালো দুজন মানুষ পাশে বসেছিল। উনারা আমাদের থেকে অনেক বড় হওয়া সত্বেও খুব সহজেই মিশে গেল আমার সাথে। আমাকে জিজ্ঞাসা করল ভিডিও কেন করছ তুমি। আমি বললাম আমার একটা কাজের জন্য। বেশ বন্ধুসুলভ আচরণ। সাথে সাথে উনারা উনাদের শিক্ষাজীবনের ভ্রমণের কিছু গল্প শোনালেন। বেশ কাটছিল সময়টা আর কি।
----- | ----- |
---|---|
ভিডিও ধারক | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
লোকেশন | w3w |
এরপর কিছুক্ষণ যেতেই চোখে পড়ল অনেক বড় সুবিশাল একটি ফসলের খেত। যেহুতু এখন শীতকাল মাঠে অনেক ফসল ফলে আছে। বিশেষ করে অধিকাংশ জমিতে সরিষা। সরিষা ফুলের হলুদ সবুজ রঙে অসাধারণ লাগছিল দৃশ্যটা। এবং যতদূর চোখ যায় শুধু মাঠ আর মাঠ। এর যেন কোনো শেষ নেই। এমন সুন্দর দৃশ্য এই বাংলাতেই দেখতে পাওয়া যায়। এককথায় অসাধারণ একটি মূহুর্ত। এরপর টিটি চলে আসল। যথারীতি টিকিট দেখাতে বলল। আমি আমার এবং নাভিদের টিকিট দেখিয়ে দিলাম। বেশ অনেকক্ষণের যাএা শেষে ট্রেন কুষ্টিয়া রেলওয়ে স্টেশনে থামলো।
কুষ্টিয়া শহরের মধ্যে এটা সবচেয়ে বড় স্টেশন। এটাকে কুষ্টিয়া বড় স্টেশনও বলা হয়। এখানে ট্রেন একটু বেশি সময় দাঁড়ায় অন্যান্য স্টেশনের তুলনায়। এই স্টেশনটা অনেক আগে তৈরি করা হলেও এর তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। পরিবেশ টাও খুব একটা ভালো না। এর পরে হওয়া স্টেশনগেলেও এখন এর থেকে বেশি জাকজমক। যাইহোক এরপর আবার যাএা শুরু হয়। আবার শুরু সেই ট্রেনের ঝনঝন আওয়াজ।
----- | ----- |
---|---|
ভিডিও ধারক | Navid Muiz |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
লোকেশন | w3w |
এটা হলো গড়াই রেলসেতু। এই সেতুটা গড়াই নদীর উপর দিয়ে নির্মিত। এবং এই সেতুটা নির্মাণ করা হয় ব্রিটিশ শাসনামলে। এর মধ্যে কয়েকবার সার্ভিস করা হয়েছে বটে কিন্তু সেতুটা এখনও মজবুত আছে। এই ভিডিওটা করেছে আমার বন্ধু নাভিদ। আমাদের যাএা প্রায় শেষের দিকে। ভিডিও টা করা হলে আমরা ট্রেন থেকে নামার প্রস্তুতি নেয়। কারণ এর পরেই কুমারখালী রেলওয়ে স্টেশন।
বলতে বলতে চলে আসে কুমারখালী রেলওয়ে স্টেশন। আমরাও নেমে পড়ি। আমাদের যাএা শেষ। আমাদের মতো আরও অনেক যাএী নেমে পড়ে। একে একে সবাই স্টেশন ত্যাগ করে। কিন্তু আমি এবং নাভিদ দাঁড়িয়ে থাকি। আগে ট্রেন স্টেশন ত্যাগ করল এরপর আমরা। বলতে পারেন আমরা ট্রেনকে বিদায় দিলাম😄। ট্রেন ভ্রমণটা আমি অনেক উপভোগ করেছি। আশাকরি আপনাদেরও ভালো লাগবে।
----- | ----- |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | VIVO Y91C |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ আমি ফুটবল পছন্দ করি।
ট্রেনে চড়ে বহুদিন হয়েছে। খুব ইচ্ছা হয় কিন্তু সময় পাইনা। আমাদের এখান থেকে সরাসরি দিনাজপুর যাওয়ার ট্রেন আছে। যাইহোক খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটিয়েছেন ট্রেন ভ্রমণে। ধন্যবাদ মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভাল থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যা ভাই আছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ট্রেন ভ্রমণ আমার কাছে খুব ভালো লাগে। বাসে করে ভ্রমণ করলে ঝাঁকুনি লাগলেও, ট্রেনের ভেতর খুব স্বাচ্ছন্দবোধ কাজ করে। ট্রেন ভ্রমণ করতে গিয়ে আপনার সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ভাই। আশেপাশের পরিবেশের বিভিন্ন দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছেন। যেগুলো খুব সুন্দর ছিল । শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই আপনার এতো সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার বর্নিত দু স্টেশনে আমি অনেক সময় পার করছি। পুরনো স্মৃতিতে কিছুক্ষণ ডুবতে পারলাম।ভাল লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
😊😊😊। ধন্যবাদ আপনাকে।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ট্রেন ভ্রমণ সত্যিই অনেক আনন্দের। ট্রেন ভ্রমণের আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। বিভিন্ন ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে চমৎকার হয়েছে। ভিডিও গুলো দেখলাম অনেক ভালো লাগলো। ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit