আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ডুয়েট ( ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষার্থীদের জন্য একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। পুরো বাংলাদেশের পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন ডুয়েট। একসময় আমারও স্বপ্ন ছিল সম্ভাবনাও ছিল তবে পরিস্থিতি সবকিছু পাল্টে দিয়েছে। এর আগে আমি ডুয়েট ক্যাম্পাসে এসেছিলাম গত বছর। সবকিছুই আগের মতো আছে। তবে বাংলাদেশের কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। সেই পরিবর্তন এখানেও লক্ষ্য করলাম। এরপর ওরা আমাকে ডুয়েট ক্যাম্পাস ঘুরি দেখাই। এটা ঢাকা শহরের বাইরে হওয়াই বেশ সুন্দর পরিবেশ। ক্যাম্পাস টা ছোট তবে বেশ সুন্দর। ক্যাম্পাসে ঘুরতে ঘুরতে আমরা একটা ক্যান্টিনে চলে যায়। ক্যান্টিনে বেশ অনেক রকম খাবার ছিল। তবে আমরা একটা করে কফি নেয়।
কফি খেতে খেতে আরও কিছু গল্প করি আমরা। ঐসময় আমি ওদের কে বলি একদিন ঢাকা আসতে। ওদের বললাম পরবর্তী যেকোনো এক শুক্রবার ফ্রি থাকলে ঢাকা চলে আয়। একসঙ্গে ঘোরাঘুরি করব আড্ডা দেব সময় টা ভালো কাটবে। ওরা যদিও বলেছে আসবে। তবে আসবে কবে সেটা বলেনি। যাইহোক ততক্ষণে ঘড়িতে পাঁচটা বেজে গিয়েছে। আমার আর দেরি করে চলে না। ওদের বললাম এবার উঠতে হবে আমাকে। যথারীতি ইকরা এবং নাভিদ আমাকে বাসে তুলে দিতে আসলো। আমি ডুয়েট ক্যাম্পাসের সামনে থেকে বাসে উঠলাম।। গাজীপুর পরিবহন এইটা সরাসরি গুলিস্তান আসে। ওদের বিদায় দিয়ে আসতে একটু খারাপ লাগছিল। কিন্তু কিছু করার নেই।
আমার লক্ষ্য ছিল রাত সাড়ে সাত টার মধ্যে ঢাকা চলে আসা। সেই অনুমানেই বাসে উঠি। তবে পথে এসেই বুঝতে পারি সেটা সম্ভব হবে না। গাজীপুর থেকেই যেন সেটার পূর্বাভাস পেয়েছিলাম আমি। রাস্তায় বেশ ভালোই জ্যাম ছিল। যতই ঢাকার দিকে এগিয়ে আসছিলাম ততই যেন যানজট বাড়ছিল। গাজীপুর থেকে টঙ্গী, আবদুল্লাহপুর হয়ে যখন উওরাতে আসি তখন থেকেই যেন জ্যামের শুরু। উওরা তে বেশ অনেকক্ষণ জ্যামে বসে থাকার পর বাস আবার চলতে শুরু করল। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি। ঐদিন পুরো ঢাকা শহর জুড়েই যানজট ছিল। বাস ৫ মিনিট চললে আবার ১০ মিনিট জ্যামে দাঁড়িয়ে থাকা শুরু করল। এভাবে অনেক টা এগিয়ে যখন মগবাজার ফ্লাইওভারে আসলাম তখন যেন যানজট টা একেবারে উচ্চ পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে।
জ্যামে অনেকক্ষণ বসে থাকার পর বাস কন্টাকটার বলল এই রাস্তায় গুলিস্তান যাওয়া সম্ভব না। এভাবে যেতে গেলে রাত ১২ টা বাজবে। ফলে অন্য রুট হয়ে গিয়ে তারা গুলিস্তানের কাছে নামিয়ে দেবে। এবং সেটাই করল। যেখানে নামিয়ে দিল সেখান থেকে পাঁচমিনিট হেঁটে গেলেই গুলিস্তান বাসস্ট্যান্ড। ঘড়িতে সময় তখন ৮ টা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তবে বিপদ টা যে তখনই আর তীব্র অনুভব করলাম। দেখলাম কোন বাস নেই। বাসের জন্য সবাই লাইন ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। টিকিট কেটে আমিও গিয়ে লাইনে দাঁড়ালাম। আমার আগে প্রায় ১০০ এর বেশি লোক ছিল। কোন উপায় নেই অপেক্ষা করতে থাকলাম। তবে শেষের দিকে গিয়ে প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুতই যেন বাস চলে আসে। ৯ টার সময় বাসে উঠলাম। এবং রুমে আসতে আসতে বাজলো রাত দশটা।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit