আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ইউটিউব থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে
সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
------- | ------ |
---|---|
পরিচালক | তানিম রহমান আংশু |
প্লাটফর্ম | হইচই |
এপিসোড | ৮ |
ভাষা | বাংলা |
অভিনয়ে | জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তানিম রহমান আংশু, শাহারিয়ার শাকিল, সনি সাকিব, আর.খান, ইয়াস রোহান, তমা মির্জা, শাহনাজ সুমি আরও অনেকে। |
ফিরে আসার গল্প
প্রথমেই দেখা যায় গ্রামের একটা লোকেশনে জনপ্রিয় নায়ক আরমান শ্যুটিং করছে। এবং সাধারন জনগণ দেখে হাত তালি দিচ্ছে। তখন দেখা যায় গাড়ি থেকে নায়িকা শবনম বের হয়ে আসছে। এবং পরিচালক বান্নাহ বলছে তুমি কেন বের হলে। গ্রামের মানুষ নায়িকা দেখলে উৎসুক হয়ে চলে আসবে। তখন শবনম বলে আরমান যেখানে আছে সেখানে লোকজন আমাকে দেখবেই না। এটা ছিল ২০ বছর আগের ঘটনা। এবার চলে আসে বাস্তবে। দেখা থানার সামনে অসংখ্য সাধারণ মানুষ মিছিল করছে আরমান সত্যার বিচার চাই। কারণ কিছুদিন আগে এই নিয়ে একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। থানার পুলিশও ওটাই দেখছিল। তখন একজন কনস্টেবল এসে বলে স্যার মামুন স্যার আসছে ফাইল নিয়ে যেতে বলছে। তখন ঐ পুলিশ ফাইল নিয়ে যায়। এবং থানায় সবাই টিভিতে ঐ নিউজ দেখছিল। তখন মামুন সাহেব বলে একটা চায়ের কেটলি এনে দেয় ওটা দিয়ে চা বানিয়ে খাও আর টিভি দেখ। তখন উনারা বলে স্যার নায়ক আরমান এর খুনের বিচারের দাবিতে সবাই আবার রাস্তায় নেমেছে।
তখন মামুন বলে হঠাৎ এতদিন পর। ঐ অফিসার বলে স্যার হঠাৎ না ফেসবুকে একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে একজন মহিলা যিনি আগে সিনেমায় কাজ করতেন। এবং তিনি এর খুনি কে সেটা জানতেন। সেজন্য তাকে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। পরের দৃশ্য দেখা যায় মামুন এর ভাগিনা ঢাকা থেকে তার বাসায় বেড়াতে এসেছে। তখন মামুন সাহেব বলে একেবারে বাবার সাহস পেয়েছিস। কোনো একটা কারণে মামুনের বোন তার সঙ্গে কথা বলে না। যাইহোক পরের দিন তার ভাগিনা চলে যায় এবং বলে মামা পারলে ঢাকা এসো আমার একা একা ভালো লাগে না অন্যদিকে মা সবসময় ডিপ্রেস থাকে। এরপর দেখা যায় আরমান এর মা শাহিনা ফেসবুক লাইভে এসে বলছেন তিনি তার ছেলে খুনের আবার তদন্ত চান। এরপর পুলিশও নড়েচড়ে বসে। কিন্তু এই তদন্ত কার উপর দেওয়া হবে সেটা উনারা ভেবে পাচ্ছিলেন না। হঠাৎ মামুন এর কাছে ফোন আসে এবং বলে আরমান এর কেসটা রিওপেন হচ্ছে। কেসটা তোমাকে দিতে চাচ্ছি তুমি কী রাজি। আরমান বলে হ্যা স্যার। এখানেই শেষ হয় এপিসোড টা।
বন্ধু নাকি শএু
এই এপিসোডের শুরুতেই দেখা যায় সিনেমার শ্যুটিং চলছে। যেখানে আরমান আহত হয় একটা শট দিতে গিয়ে। একপর্যায়ে নায়িকা শবনম তার হাতে ব্যান্ডেজ বেঁধে দেয়। এবং একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হতে থাকে। অন্যদিকে দেখা যায় আরমান এর বন্ধু বান্নাহ কার সঙ্গে যেন কথা বলছে। তখন আরমান ওখানে চলে আসে এবং বান্নাহ বেশ ঘাবড়ে যায়। এরপর বতর্মানের দৃশ্য দেখানো হয়। দেখা যায় মামুন সাহেব তার স্যারের থেকে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছে। কিন্তু তার পূর্বের কিছু ঘটনার জন্য কেউ তার সঙ্গে কাজ করতে চাইছে না। শেষমেশ দুজনকে তার সাথে কাজ করতে দেওয়া হয়। যাদের একজন ছেলে এবং অন্যজন মেয়ে। ছেলেটা বেশি ভয়ে ছিল। এবং বলছিল যদি জানতাম এর আন্ডারে কাজ করতে হবে তা জানলে অন্য কোনো ডিপার্টমেন্টে চলে যেতাম। পরের দৃশ্যে দেখা যায় মামুন সাহেব ঐ দুজনকে বলছে ২০ বছর আগের তদন্তের সব রিপোর্ট আমার চাই। এবং সেই কেসে যাদের আসামি করা হয়েছিল তারা কোথায় আছে সব খবর যোগার করতে বলে।
পরের দৃশ্যে দেখা যায় আরমান খুনের প্রথম তদন্তের সব ফাইল, ভয়েস রেকর্ড শুনছে আরমান। ২০ বছর আগে আরমান খুনের প্রধান আসামি করা হয় তার বন্ধু বান্নাহ কে। প্রথমেই বান্নাহকে ফোন করা হয়। এবং বান্নাহ আসতে না চাইলে ভয় দেখিয়ে থানায় নিয়ে আসা হয়। এবং বান্নাহকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করে মামুন। এরপর দেখা যায় ঐ ছেলেকে পাঠিয়েছে আরমান এর স্ত্রীকে খুজতে। আরমান এর স্ত্রী ছিল অন্যতম আসামি। সেটা বুঝতে পেরে আরমান এর স্ত্রী আবার হোটেলের মধ্যে ঢুকে যায়। এরপরের দৃশ্যে দেখা যায় মামুন আরমান এর আরেক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যায় যিনি সাংবাদিক। তিনি আরমান এর সম্পর্কে যতটা জানতেন সবকিছু খুলে বলেন। ঐ সাংবাদিকের মেয়ের বন্ধু একজন ব্লগার। যার পেইজ থেকে আরমান এর খুনের সম্পর্কে ঐ মহিলার বলা কথাগুলো ভাইরাল হয় এবং কেসটা রিওপেন হয়। কিন্তু ঐ ছেলেকে পুলিশ ধরে রেখেছিল। পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। এবং ছেলেটা থানা থেকে বের হয়ে কাকে যেন ফোন কে বলে আমার কাজ শেষ বাকি পেমেন্ট টা করি দিয়েন। এখানেই শেষ হয় এপিসোড টা।।
ব্যক্তিগত মতামত
বুকের মধ্যে আগুন জ্বলে এটা অনেক বিতর্কিত একটা ওয়েব সিরিজ। এই ওয়েব সিরিজটা কোনো তারিখ ছাড়াই হইচই তে রিলিজ হয়েছে। প্রথমত অনেকেই অভিযোগ করেছে এটা বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়ক প্রয়াত সালমান শাহ এর জীবনী নিয়ে নির্মিত। কিন্তু পরিচালক এবং সিরিজের প্রধান অভিনেতা অপূর্ব এটাকে শুধু ফিকশন বলেছেন এবং বলেছেন কোনো মিল নেই। যাইহোক ওয়েব সিরিজটা যারা দেখেছে তাদের বুঝতে বাকি থাকবে না এটা সালমান শাহ এর জীবনী নিয়ে তৈরি। যদিও এখানে শুধু তার মৃত্যু রহস্যটার সমাধান করার অংশটা নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিরিজটা। তবে চরিএগুলোর নাম পরিবর্তন করে দেওয়া। পুরো সিরিজে অপূর্ব চমৎকার অভিনয় করেছে। তার চরিএটা বেশ আজব ছিল। একেবারে চুপচাপ রাগী একজন মেধাবী পুলিশ অফিসার।
ব্যক্তিগত রেটিং : ৮/১০
অফিশিয়াল ট্রেলার
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit