ভিনিসিয়াসেই কুপোকাত বার্সেলোনা।

in hive-129948 •  11 months ago 


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ সবার, ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


Screenshot_20240115_150615.jpg

Real Madrid এর official YouTube channel থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।


গতকাল রাতে ছিল স্প‍্যানিস সুপার কাপ এর ফাইনাল। তবে সবচাইতে বড় ব‍্যাপার এই ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বি বার্সেলোনা এবং রিয়াল মাদ্রিদ। বলে রাখি এরা মুখোমুখি হলে সেই ম‍্যাচকে বলে এল ক্ল‍্যাসিকো। গতকালের ম‍্যাচটা নিয়ে আমি বেশ উৎসুক ছিলাম। আমি রিয়াল মাদ্রিদ সাপোর্টার আর রিয়াল মাদ্রিদ রয়েছে দূর্দান্ত ফর্মে। কার্লোর সুন্দর গোছানো ফর্মেশনে এই সিজেনে রিয়াল মাদ্রিদ যেন একেবারে অপ্রতিরোধ‍্য। ম‍্যাচ টা ছিল বাংলাদেশ সময় ১ টাই। রিয়াল বস কার্লো আনচেলওি এই দিন ৪-২-২-২ ফর্মেশনে মাঠে নামায় তার দলকে। এইদিন গোলকিপার হিসেবে কেপার পরিবর্তে দলে আসে লুনিন। এর কারণ গত ম‍্যাচে খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স করেনি কেপা। অন‍্যদিকে বার্সেলোনা ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে খেলতে নামে। বার্সার প্রথম চয়েজ গোলকিপার না থাকায় এইদিন গোলবার সামলানোর দায়িত্ব পায় পিনা।


Screenshot_20240115_150350.jpg

Screenshot_20240115_150340.jpg

Screenshot_20240115_150343.jpg

Screenshot_20240115_150336.jpg


যথারীতি বেশ উওেজনার মধ্যে শুরু হয় ম‍্যাচটা। ম‍্যাচের আগে বার্সা কোচ জাভি বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিল তাদের ডিফেন্ডার আরাওহো অনায়াসে আটকে ফেলবে ভিনিসিয়াস কে। ম‍্যাচ শুরু হয়। ম‍্যাচের শুরুতেই বার্সা ডিফেন্স লাইনকে ব্রেক করে বল নিয়ে চলে যায় ভিনিসিয়াস জুনিয়র। কিন্তু গোলের দেখা পাইনি। এইদিন ভিনি বার বার নিজের অবস্থান পরিবর্তন করছিল। এইজন্য বার্সা ডিফেন্ডারদের জন্য কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল তাকে মার্ক করা। ম‍্যাচের ৭ মিনিটে জুড বেলিংহাম এর অসাধারণ একটা থ্রু আসে এবং ভিনি সেটা পেয়েও যায়। বাকি কাজটা ভিনিসিয়াস খুব ভালোভাবে করে। বার্সা গোলকিপার কে ড্রিবল করে সুন্দর একটা গোল করে নিজের দলকে এগিয়ে যায় ভিনিসিয়াস জুনিয়র। এরপর যেপ রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণ আরও বাড়তে থাকে। ম‍্যাচের তখন ১০ মিনিট। এক লং বল পেয়ে সবাইকে বিট করে বেরিয়ে যায় রদ্রিগো। ডি বক্সের ভেতরে গিয়ে সুন্দর একটা মাইনাস করে রদ্রিগো এবং ভিনির অসাধারণ একটা ফিনিস। ম‍্যাচে ভিনিসিয়াসের দ্বিতীয় গোল এবং রিয়াল মাদ্রিদ তখন ২-০ গোলে এগিয়ে।


Screenshot_20240115_150358.jpg

Screenshot_20240115_150402.jpg

Screenshot_20240115_150413.jpg

Screenshot_20240115_150418.jpg

Screenshot_20240115_150423.jpg


ম‍্যাচের শুরুতেই এইরকম দুইটা ধাক্কা খাওয়ার পর দেখেশুনে বল পায়ে রেখে খেলতে থাকে বার্সেলোনা। ফলাফল ম‍্যাচের ৩৩ মিনিটে একটা কর্ণার কিক থেকে পাওয়া বলে ডি বক্সের বাইরে থেকে দূর্দান্ত একটা শর্টে গোল করে লেভানদস্কি। এবং বার্সেলোনাকে নিয়ে এসে দেয় প্রথম গোল। ম‍্যাচের ফলাফল তখন রিয়াল মাদ্রিদ ২-১ বার্সেলোনা। এরপর ম‍্যাচের ৩৯ তম মিনিটে ভিনিসিয়াস কে ডি বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসে বার্সা ডিফেন্ডার আরাওহো। এবং রিয়াল মাদ্রিদ একটা পেনাল্টি পাই। একেবারে সুন্দর একটা স্পট কিকে গোল করে ম‍্যাচের ৩৯ তম মিনিটেই নিজের হ‍্যাট্রিক পূরণ করে ফেলে ভিনিয়িয়াস জুনিয়র। এল ক্ল‍্যাসিকো তে এটা তার প্রথম হ‍্যাট্রিক। এবং ম‍্যাচে তখন ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথমার্ধে আর কোন গোল আসেনি। আমার মনে হচ্ছিল দ্বিতীয় হাফে হয়তো খেলার স্ট‍্যাটাজি কিছুটা পরিবর্তন করে মাঠে নামবে বার্সেলোনা।


Screenshot_20240115_150438.jpg

Screenshot_20240115_150443.jpg

Screenshot_20240115_150551.jpg

Screenshot_20240115_150433.jpg


দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে বল নিজেদের দখলে রেখে খেলছিল বার্সেলোনা। বেশ কিছু আক্রমণ করলেও রিয়াল ডিফেন্স লাইন এবং গোলকিপার লুনিন এর কাছে বার বার প্রতিহত হচ্ছিল তারা। ম‍্যাচের ৬১ মিনিটে টানা তিনটা পরিবর্তন নিয়ে আসে বার্সা কোচ জাভি। কিন্তু এতেও কোন লাভ হয় না। অন‍্যদিকে মাঝে মাঝে কাউন্টার অ‍্যাটাকে ঠিক ঐভাবে বল নিয়ে বেরিয়ে যায় ভিনিসিয়াস কিন্তু গোল আসছিল না। এরপর ম‍্যাচের ৬৪ মিনিটে ভিনিসিয়াসের অ‍্যাসিস্টে গোল করে রদ্রিগো। রদ্রিগোর গোলের মাধ্যমে একেবারে ৪-১ গোলে এগিয়ে যায় মাদ্রিদ। তখনই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল এই ম‍্যাচে বার্সেলোনা আর ফিরে আসতে পারবে না। ম‍্যাচের ৭১ মিনিটে ভিনিসিয়াসকে ফাউল করে লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়ে আরাওহো। পরে ম‍্যাচের বাকি সময়ে আর কোন গোল আসেনি। ফলে স্প‍্যানিস সুপার কাপের ফাইনালে ৪-১ গোলের বিশাল জয় পাই রিয়াল মাদ্রিদ। এবং এই বছরে এবং এই সিজেনে রিয়াল মাদ্রিদের প্রথম শিরোপা এটা। ম‍্যাচে হ‍্যাট্রিক ও এক অ‍্যাসিস্ট করে সর্বোচ্চ রেটিং ৯.৭ নিয়ে মাচসেরা হয় ভিনিসিয়াস জুনিয়র।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আসলেই ভিনিসিয়াস দিন দিন ভয়ংকর একজন ফুটবল প্লেয়ার হয়ে উঠছেন। ফাইনাল ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ভিনিসিয়াস যে খেলা খেলেছেন সেটা সত্যিই মনে রাখার মতো খেলা। ফাইনাল ম্যাচটি প্রাণ ভরে উপভোগ করেছিলাম।

Posted using SteemPro Mobile