আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
বাগেরহাট যেখানে আমাদের বাসটা পার্কিং করা হয় সেটা ছিল একটা অনেক বড় মাঠ। যাইহোক স্যার আমাদের কে ১৫ মিনিট সময় দেয় এবং বলে এরমধ্যে সবাই ফ্রেশ হয়ে নাও। ৬:৩০ এর সময় আমরা আমাদের প্রথম সফরের স্থান খান জাহান আলীর মাজারে যাব। আমরা গিয়েছিলাম শুধু সেটা দর্শনে। আমাদের বাস যেখানে পার্কিং করা হয় সেখান থেকে ১০ মিনিটের হাঁটা দূরত্বে ছিল খান জাহান আলীর মাজার।
খান জাহান আলী ১৩৬৯ খ্রিষ্টাব্দে দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কুরআন, হাদিস, সুন্নাহ, ফিকহ শাস্ত্রের উপর গভীর জ্ঞানর্জন করেন। ১৩৮৯ সালে উনি সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ১৪১৮ খ্রিষ্টাব্দে খান জাহান আলী যশোরে আসেন এবং ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু করেন। বাংলাদেশের আউলিয়াদের মধ্যে তিনি অনত্যম। বিখ্যাত ষাট গম্বুজ মসজিদ কিন্তু খান জাহান আলীর নির্মিত। এছাড়াও বাগেরহাটের আশেপাশের অঞ্চল জুড়ে তার অনেক নির্মিত স্থাপত্য রয়েছে । ১৪৫৯ সালের ২৫ অক্টোবর উনি মৃত্যুবরণ করেন।
খান জাহান আলীর মাজার টা দেখার সেরকম কিছু ছিল না। তবে মাজারের সামনে ছিল বিশাল একটা দীঘি। দীঘিটা অনেক বড়। এবং ঐ দিঘীতে দুইটা কুমির ছিল। তবে আমাদের কপালে ছিল না এইজন্য আমরা সেটা দেখতে পারিনি। বেশ কয়েক জায়গা সতর্কবার্তা ছিল কেউ যেন দীঘির পানিতে না নামে এখানে কুমির আছে। যাইহোক বেশ অনেকক্ষণ আমরা খান জাহান আলীর মাজারে ঘোরাঘুরি করি। দেখি তার অনেক খাদেম মাজারে পাশে বসে রয়েছে । যেহেতু শুক্রবারের সকাল সেজন্য সেখানে লোকজনের ভীড় ছিল বেশি। খান জাহান আলী ছাড়াও ওখানে আরও অনেক গুলো কবর ছিল যেগুলো উনার মুরিদদের।
খান জাহান আলীর মাজারের সামনের দিকে একটা ফাঁকা মাঠ আছে। সেখানে আমাদের শিক্ষা সফরে আসা সবাই একএিত হয়। আমরা সবাই একটা গ্রুপ ফটো উঠি যেখানে সবার সামনে ছিল আমাদের স্যার এবং পেছনে আমরা শিক্ষার্থীরা। আমাদের আসল জায়গা ভ্রমণ এখনও বাকি। এইজন্য আমরা ওখানে বেশিক্ষণ থাকিনি। খান জাহান আলীর মাজার থেকে বেরিয়ে আসার রাস্তার দুপাশে অনেক ছোট ছোট দোকান। দোকানগুলোতে। বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী বিক্রি করছে। তবে সাবধান পর্যটক দেখলে এরা একেবারে সুযোগ বুঝে লুফে নেয় হা হা। এর স্বীকার আমার কয়েকজন বন্ধু হয়েছিল। ওদের থেকে খুবই সামান্য পণ্যের দাম রাখা হয়েছিল অনেক অনেক বেশি। পরবর্তীতে স্যার আমাদের সাবধান করে দেয়।
এসব জায়গাই ঘুরতে গেলে কেনাকাটা একটা সাবধানে করবেন। এরপর আমরা বাসে এসে নিজের সিটে বসে পড়লাম। ঘড়িতে সময় তখন ৭ টা ১৫ মিনিট। আমাদের পরবর্তীত গন্তব্য ছিল বিখ্যাত ষাট গম্বুজ মসজিদ। বাসের মধ্যে গিয়ে সিটে বসার পর স্যার আমাদের পরবর্তী যাএা পরিকল্পনা বলে। খান জাহান আলীর মাজার থেকে যাএা শুরু হয় আমাদের। বাস চলতে থাকে। সকালের সুন্দর রোদ আবওহাওয়া বেশ ভালো লাগছিল। সারারাত ঘুমায়নি। এইজন্য অবশ্য চোখে কিছুটা ঘুম ছিল। কিন্তু ঘুমানোর কোন ইচ্ছা ছিল না। নতুন জায়গা চারিদিক খুবই সুন্দর লাগছিল। অবশেষে ৩০ মিনিটের পথ অতিক্রম করে আমরা চলে আসি ষাট গম্বুজ মসজিদের সামনে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদের কথা অনেক শুনেছি, তবে যাওয়ার সুযোগ হয়নি কখনো। আপনি ঘোরাঘুরি করেন, আশা করি অনেক ফটোগ্রাফি দেখতে পাবা। তবে আপনার এই কথাটা ঠিক, নতুন জায়গায় গেলে ওখানকার যে ব্যবসায়ীরা রয়েছে তারা কিন্তু একেবারে চেপে ধরে এবং বোকা বানানোর চেষ্টা করে। এদিক থেকে একটু সচেতন থাকবেন। যাইহোক, ভালো করে ভ্রমণ করেন, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit