আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
Sony Liv চ্যানেল থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া।
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লীগের নতুন পদ্ধতিতে টেবিলের ৯ থেকে ২৪ এ থাকা দলগুলো কে খেলতে হবে প্লে অফ। এবং যারা জিতবে তারাই রাউন্ড অফ সিক্সটিনে যাবে। প্লে অফ এর ড্র তে রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ হিসেবে নাম উঠে ম্যানচেস্টার সিটির। গত চার সিজেন ধরে এরা একে অন্যের মুখোমুখি হচ্ছে। এই ম্যাচটা হাইভোল্টেজ ম্যাচে রুপান্তরিত হয়েছে। প্লে অফ এর প্রথম ম্যাচ ছিল গতরাতে। দলের প্রায় সব ডিফেন্ডার ইঞ্জুরিতে। মহা ঝামেলায় পড়ে যায় কার্লো আনচেলওি। যেখানে দুইজন মিডফিল্ডার ফেদে ভালভার্দে এবং চুয়োমিনি খেলেছে ডিফেন্ডার হিসেবে। একেবারে প্রফেশনাল ডিফেন্ডার বলতে শুধু ছিল রাহুল অ্যাসেনসিও। তবে সে একেবারেই তরুন। ম্যাচ ছিল বাংলাদেশ সময় রাত ২ টাই। এবং ম্যাচটা ছিল ম্যানচেস্টার সিটির ঘরের মাঠে ইত্তিহাদে।
গতকাল ম্যানসিটি ফ্যান রা রীতিমতো ভিনিকে স্টেডিয়ামে একটা ব্যানার দিয়ে অপমান করে। যেখানে লেখা ছিল ব্যালন ডিঅর নিয়ে কান্নাকাটি বন্ধ করো। ভিনি তার উওর দিয়েছে ম্যাচসেরার পুরষ্কার জিতে। রিয়াল মাদ্রিদ ৪-৩-৩ ফর্মেশনে মাঠে নামে। অন্যদিকে সিটির ফর্মেশনে ছিল ৪-২-৩-১। খেলা শুরু হয়। ম্যাচের শুরু থেকে ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদ কে চাপে রাখে ম্যানচেস্টার সিটি। বিশেষ করে প্রথমদিকে বল দখলে অনেক টা এগিয়ে ছিল ম্যান সিটি। ম্যাচের ১২ মিনিটের দিকে দারুণ একটা সুযোগ পাই রিয়াল মাদ্রিদ। তবে সুযোগ টা নষ্ট করে মেন্ডি। সহজ সুযোগ পেয়েও গোল দিতে পারে না। এরপর ভিনিসিয়াস নিজেও একটা সুযোগ মিস করি। যেটা গোল হওয়া উচিত ছিল। ম্যাচের ১৯ মিনিটে সিটির হয়ে গোল করে আর্লিং হ্যালান্ড। এই গোলে ম্যাচে ১-০ তে এগিয়ে যায় ম্যান সিটি।
প্রথমার্ধের শেষের দিকে একটা দারুণ সুযোগ মিস করে এমবাপ্পে। ফলে প্রথমার্ধে কোন গোলের দেখা পাইনি রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়াল মাদ্রিদ যথেষ্ট অ্যাটাক করলেও ছিল গোলশূণ্য। যাইহোক দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে দুই দলই তাদের আক্রমণ চালাতে থাকে। ম্যাচের ৬০ মিনিটে দানি সিবালোস দারুণ এক অ্যাসিস্ট করে। সেই অ্যাসিস্ট থেকে ভলিতে সুন্দর একটা গোল করে এমবাপ্পে। ম্যাচে ফিরে আসে সমতা। ম্যাচের তখন ৮০ মিনিট। ডিবক্সের মধ্যে ফিল ফোডেন কে ফাউল করলে পেনাল্টি পাই সিটি। পেনাল্টি থেকে গোল করে আর্লিং হ্যালান্ড। সিটি আবার ম্যাচে লিড পাই। খেলা যেন তখনই শুরু। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে ভিনিসিয়াস এর শর্ট ফিরিয়ে দেয় প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক এডারসন। কিন্তু ফিরতি শর্টে বল চলে যায় ব্রাহিম দিয়াজের কাছে। সুন্দর ফিনিশিং এ গোল করে দিয়াজ। ম্যাচে চলে আসে সমতা।
এই গোলের পরে পুরো ইওিহাদ স্টেডিয়াম যেন চুপ হয়ে যায় । অতিরিক্ত সময়ের খেলা চলছে তখন। সিটি ডিফেন্ডার দের থেকে দারুণ কৌশলে বল নিয়ে দূরন্ত গতিতে সিটির আক্রমণভাগে ছুটে যায় ভিনিসিয়াস। সিটি গোলকিপার এডারসন এগিয়ে আসলে ভিনিসিয়াস তার মাথার উপর দিয়ে বল তুলে দেয়। বল চলে যায় গোলবারের সামনে। সেখান থেকে একেবারে সহজ একটা ফিনিশিং করে জুড বেলিংহাম। ম্যাচের ৯২ মিনিটে প্রথমবার লিড পাই রিয়াল মাদ্রিদ। পুরো সিটি ফ্যান চুপ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর খেলা শেষ হলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। সিটির ঘরের মাঠে এইরকম ইঞ্জুরি জর্জরিত দল নিয়ে জো নিয়ে আসাটা অনেক বড় ব্যাপার। ম্যাচে সর্বোচ্চ দুই অ্যাসিস্ট করে ম্যাচ সেরা হয় ভিনিসিয়াস। দ্বিতীয় লেগের খেলা এই মাসের ২০ তারিখে। তবে স্বস্তির ব্যাপার ঐটা হবে রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit