আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
সবার ঐররকম কথা শুনে পিয়াস অনেক রেগে যায় এবং বলে চুপ করো সবাই। পিয়াস বলে আপনারা যা ভাবছেন তা ঠিক না। আমি সব খুলে বলব। পিয়াস আমান চৌধুরী কে বলে আব্বা আপনি ডাক্তার রহমান কে ফোন দিন। উনি থাকলে ভালো হবে। উনি যেহেতু এই নার্স ঠিক করে দিয়েছেনে উনি সব জানেন। আমান চৌধুরীর ফোন পাওয়া মাএই চলে আসে ডাক্তার রহমান। তখন সবার সামনে পিয়াস বলে উঠে
আপনারা সবাই আজ যা দেখেছেন তা ঠিকই দেখেছেন। তবে আপনাদের ধারণা ভুল ছিল। উনি মানে নার্স সাবিনা রাতে অনেক আগে থেকেই আমার ঘরে আসে যখন আমি ঘুমিয়ে যায়। আমার বুকের উপর মাথা রেখে কান্না করতে থাকে। কিছুদিন পর বিষয়টা আমি বুঝতে পারি। কিন্তু কখনো উনাকে বুঝতে দেয়নি। প্রতিদিন আমি ঘুমিয়ে থাকি যেন উনি বুঝতে না পারে। উনার সব কথা আমি শুনি।
পিয়াসের মা পিয়াসের কথা শুনে বলে কী বলতে চাচ্ছিস তুই। পরিষ্কার করে বল।
হ্যা বলব অবশ্যই বলব। আমি অসুস্থ হওয়ার পর তুমি বা অদিতি কতটুকু খোঁজ নিয়েছ আমার। প্রতিনিয়ত আমার দেখাশোনা করেছেন উনি। নিজের সন্তানের মতো করে আমাকে সুস্থ করার চেষ্টা করেছেন। কেউ টাকার জন্য এমন সেবা কখনোই করবে না।
আমান চৌধুরী বলে টাকার জন্য না। তাহলে উনি কেন তোকে সেবা করছেন। কারণ কী??
পিয়াস বলে অনেক কারণ আছে। সবচেয়ে বড় কারণ আমি উনার ছেলে। আর আপানারা আমার বুকে উনার মাথা রাখা দেখে কত কিছু ভেবে নিয়েছেন। ওটা খারাপ কিছু ছিল না। ওটা ছিল সন্তানের বুকে মায়ের মাথা।
পিয়াসের মা বলে কী বলছিস তুই। উনি তোর মা তাহলে আমি কী। একটু পরিষ্কার করে খুলে বল??
না আমি আর কিছু বলব না। ডাক্তার রহমান যা বলার বলবে। আমার ধারণা উনি সব কিছুই জানে।
কী ব্যাপার ডাক্তার রহমান আপনি জানেন। কিছু তো বলেন নাই।
হ্যা আমি সবই জানি। ঐ ভদ্র মহিলা মানে সাবিনা বেগমের নিষেধ ছিল সেজন্যই কিছু বলি নাই আমি। আপনারা যাকে নার্স ভাবছেন উনি নার্স না।
নার্স না তবে কে উনি, বলে উঠে অদিতি।।
আপনার ছেলে যার হৃৎপিণ্ড নিয়ে বেঁচে আছে। যার হৃৎপিণ্ড পিয়াসের দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে তার বাবা মা কে কখনো দেখেছেন আপানারা। ঐ ভদ্রমহিলা নার্স সাবিনা বেগম হলেন অরুপের মা। যার হৃৎপিণ্ড আপনার ছেলের দেহে প্রতিস্থাপিত হয়েছে।
কী বলছেন এসব। কিন্তু উনি এভাবে আমার বাড়িতে কেন তাহলে,বলে উঠে আমান চৌধুরী।
পিয়াস অসুস্থ শোনার পর উনিই আমাকে বলেন আমি যেন এই বাড়িতে নার্স হিসেবে উনাকে রেখে যায়।
কিন্তু কেন!বলে উঠে পিয়াসের মা।
ডাক্তার রহমান বলে এর কারণ সাবিনা বেগম মনে করেন উনার ছেলে এখনো বেঁচে আছে। উনার ছেলের হৃৎপিণ্ড আপনার ছেলের দেহে। দেহটা আপনার ছেলের হলেও প্রাণটা অরুপের এটা উনি বিশ্বাস করেন। উনি যেন সবসময় উনার ছেলের কাছে থাকতে পারেন সেজন্য আমাকে অনুরোধ করেন আমি যেন নার্স হিসেবে উনাকে এই বাড়িতে রেখে যায়। এবং আপনাদের কিছু না বলি।
এই কথা শুনে অদিতি বলে উঠে তাহলে উনি পিয়াসের বুকের উপর মাথা দিয়ে থাকে কেন??
এই কথার জবাব আমি দিচ্ছি? বলে উঠে পিয়াস। উনি যখন আমার বুকের উপর মাথা রাখে তখন উনি আমার হৃৎপিণ্ডের প্রতিটা হৃৎস্পন্দন শুনেন। উনার মনে হয় প্রতিটা হৃৎস্পন্দনে যেন অরুপ উনার সন্তান উনার সঙ্গে কথা বলছেন। আর উনি নিজের সন্তানের কথা শোনার জন্য আমার বুকে মাথা রাখে প্রতি রাতে। আসলে দেহ টা আমার হলেও আমার ভেতরের অনূভুতি গুলো উনার ছেলে অরুপের।
একপাশে কান্না করছে সাবিনা বেগম।
এটা দেখে আমান চৌধুরী বলে উঠে আপনি কাঁদবেন না। পিয়াস এখন থেকে আপনার ছেলে।
একটা মানুষের দেহের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ তার হৃৎপিণ্ড। হৃৎপিণ্ডে প্রতিস্থাপনের পর পিয়াস যতটা না পিয়াস তার চেয়ে বেশি অরুপ!!!
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit