র‍্যাগডের নামে যা করছে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা। ১০% বেনিফেসিয়ারি @Shy-fox এর জন্য।

in hive-129948 •  3 years ago 


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ বৃহস্পতিবার ,২৫ ই নভেম্বর ২০২১।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে



dawn-g9a2098ec5_1920.jpg

Source

আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমি ভালো আছি। আজ আমি নতুন আরেকটি বিষয়ে আলোচনা করার জন্য এসেছি। সমসাময়িক একটি বিষয় হচ্ছে র‍্যাগডে। এটা নিয়ে আলোচনা করা দরকার বলে আমার মনে হয়েছে। বিশেষ করে এই যে বিভিন্ন স্কুল কলেজের এসএসসি -২১ এবং এইসএসসি -২১ ব‍্যাচের ছাএরা কিছুদিন ধরে তাদের র‍্যাগডে পালন করছে। যেগুলো আমরা স‍্যোসাল মিডিয়ায় দেখতে পাচ্ছি। এই র‍্যাগডে যেন সম্পূর্ণ নোংরামি আর অশ্লীলতায় পূর্ণ। তো চলুন আমার মূল ব্লগটি শুরু করা যাক। এই পোস্টের ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।



friend-g3084e635d_1920.jpg

source



Zskj9C56UonWToSX8tGXNY8jeXKSedJ2aRhGRj6HDecqreqo2XAMzrcrFMezsQ2JYvnkCG8natanTeTWALXvA2X1jsqXD4Nf1w7BTTxEyx7JRMmmeNnz.png

স্কুল বা কলেজ জীবনের শেষদিন সবার জীবনেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কষ্টের একটি দিন। এই দিনই নিজের সকল বন্ধুবান্ধব এবং স‍্যারদের সাথে শেষ সাক্ষাৎ হয় বলা যায়। ইচ্ছা করলেও হয়তো সবাই আর একসাথে একএিত হতে পারবে না। এজন্য প্রায় সবাই চায় দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে। দিনটা সবার সাথে ভালোভাবে উৎযাপন করতে। আমি মনে করি পৃথিবীতে বাবা মা সন্তানের সম্পর্কের পরেই রয়েছে শিক্ষক শিক্ষার্থীর সম্পর্ক। এতদিন এই দিনাটাকে কেন্দ্র করে স্কুল কলেজ গুলো বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করত। যেখানে প্রথমে পবিএ ধর্মগ্রন্থ গুলো থেকে পাঠ এবং তারপর শিক্ষকদের বক্তব্য এবং এর পর ছাএদের বক্তব্য। এই সবের মধ্যে দিয়েই দিনটা পালন করত সকল স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসএসসির বিদায়ের সময় আমাদের এইভাবেই বিদায় দেওয়া হয়। স্কুল থেকে দেওয়া হয় কিছু স্কুল সামগ্রী। সেদিন আমার খুবই খারাপ লেগেছিল। প্রকাশ‍্যে না তবে মনে মনে বেশ কেঁদেছিলাম। কোথায় সেই সোনালী দিনগুলো।



graduate-silhouettes-g00e4563c9_1280.png

source



Zskj9C56UonWToSX8tGXNY8jeXKSedJ2aRhGRj6HDecqreqo2XAMzrcrFMezsQ2JYvnkCG8natanTeTWALXvA2X1jsqXD4Nf1w7BTTxEyx7JRMmmeNnz.png

এবার আসি আসল কথায়। র‍্যাগডে এই শব্দটার সাথে আমি সর্বপ্রথম পরিচিত হয় ২০১৯ সালে। তখন আমি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাএ। কলেজ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা অনেক আগে থেকেই র‍্যাগডে পালন করে। তবে এতদিন বেশ মার্জিত ভাবেই করত। কিন্তু বিগত কিছু বছরে দেখা যাচ্ছে কলেজ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা র‍্যাগডের নামে নোংরামি এবং অশ্লীলতা করছে। আমরা যারা মোটামুটি স‍্যোসাল মিডিয়ার সাথে পরিচিত তাদের নজরে বিষয়গুলি অবশ‍্যই পড়েছে। এবং বাংলাদেশের প্রতিটা নিউজ চ‍্যানেল এটা নিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে। যা সত্যি খুবই লজ্জাজনক। আমি মনে করি এটা কোনো শিক্ষিত জাতির কাজ হতে পারে না। এবারে যেন এই নোংরামি টা সীমা ছাড়িয়ে গেছে।

Zskj9C56UonWToSX8tGXNY8jeXKSedJ2aRhGRj6HDecqreqo2XAMzrcrFMezsQ2JYvnkCG8natanTeTWALXvA2X1jsqXD4Nf1w7BTTxEyx7JRMmmeNnz.png

এদের দেখে এবার আবার দেখছি এসএসসি ব‍্যাচ ও র‍্যাগডে পালন করছ। আমি দেখে রীতিমতো শিহরিত। এবং তারা র‍্যাগডের নামে যেসব কাজ করছে একজন রুচিশীল মানুষ সেটা দেখতে পারবে না। এখন আমার কথা হচ্ছে তারা এই অপসংস্কৃতির সাথে পরিচিত হলো কীভাবে। চলুন একটি খেয়াল করি র‍্যাগডের নামে কী করছে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা।

১। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে উচ্চস্বরে অশ্লীল গান বাজানো।

২। ছেলে মেয়ে একসঙ্গে নাচানাচি করা।

৩। ছেলে মেয়ে একে অন‍্যের সাদা গেঞ্জিতে কুরুচিপূর্ণ এবং অশ্লীল বাক‍্য লেখা।

৪। যৌন হয়রানি।

৫। বিভিন্ন বর্ণের রঙ মাখামাখি।

৬। ডিজে পার্টির আয়োজন।

৭। এমনকি মাদক সেবনও করছে।



এগুলোর জন্য দায়ী কারা



Zskj9C56UonWToSX8tGXNY8jeXKSedJ2aRhGRj6HDecqreqo2XAMzrcrFMezsQ2JYvnkCG8natanTeTWALXvA2X1jsqXD4Nf1w7BTTxEyx7JRMmmeNnz.png

এই কাজগুলোর জন্য আমি শুধু শিক্ষার্থীদের দোষ দেব না। এদের এই বিষয়গুলোতে উস্কানি দেওয়ার মতো অনেক শিক্ষক আছে। এবং এমনও আছে কিছু শিক্ষক আছে যারা র‍্যাগডের নামে ডিজে পার্টিতে গিয়ে নাচানাচি করে। এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে এগুলোর অনুমতি দেয় প্রতিষ্টান কতৃপক্ষ। আমি মনে করি এদের দোষ আরও বেশি। এখানে অবশ‍্য আমি পিতামাতার কোনো দোষ দেব না। কারণ এগুলো যেহুতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হচ্ছে তাই পিতা মাতারা কোনো দ্বিধা ছাড়াই তাদের সন্তানদের এখানে যেতে দিচ্ছে। এবং এই নোংরামি অশ্লীলতার পিছনে টিকটক লাইকী বেশ ভালোভাবে জড়িয়ে আছে। এবং আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের রুচির এতো পরিবর্তন আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। এটা কিন্তু একদিনে হয়নি। দিনে দিনে বিভিন্নভাবে এদের মাঝে এইসব অশ্লীলতা অপসংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আপনারা কী বলেন। আপনাদের কাঙ্ক্ষিত মন্তব‍্যের আশায় থাকলাম।





সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ আমি ফুটবল পছন্দ করি।



7b4bio5hobgt1ToxyJNZ2CBe2hrJJxxFumrTYgdiB16dsHGkxy5u76CUy1NXorPzXaMcRyXict6abfZKwupPgossU5rvzNFrfZu3mixHrTzqWdZpkJ9YsuTNWgaCHKTM7Z8rmrTgLzaeAtSZQApiPzpBJDDQ.png



FUkUE5bzkAZT3HzV5tJDiU2ik81PCd4JCyhWnRcDN8XJsVFY3UNB8DCRWUhECrBewyvr56XLHQLFtR3iJUgyYXhoNnQzaPV4fGATT2PmXhFCBxcFCr2kEHS2obaiYPVBvHXcZ5NDLfrZh4qAU4CWzpqmK5XnDexEGztE.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সত্যিই আগেকার বিদায়ের সময় সকল ছাত্র কান্নায় ভেঙে পড়তো। বিদায় মানে একটা অনেক কষ্টকর মুহূর্ত কিন্তু এখনকার সময় স্টুডেন্টরা বেশিরভাগ আপনি ঠিক কথা বলেছেন অশ্লীল লেখালেখি এবং যৌন হয়রানি একসাথে নাচানাচি করা এবং টিকটক করা বিশেষ করে একটা অশ্লীলতার ভিতরে ঢুকে পড়েছে ছেলেমেয়েরা এবং এটি আমাদের কলেজেও হয়েছে আমি বাস্তব কথা বলছি আস্তে আস্তে প্রতিটা কলেজে যে রকম হচ্ছে। বিশেষ করে মাদরাসায় এরকম হয়না দোয়ার মাহফিল হয়।

ধন্যবাদ ভাই আপনার এতো সুন্দর একটি মন্তব‍্যের জন্য।।

প্রথমেই বলবো, লেখার টপিকটাই অসাধারণ। আর লেখা নিয়ে তো কথাই নাই
সত্যি বলতে র‍্যাগডের এসব কাহিনী নিজের চোখেই দেখেছি কিছুদিন আগে।ছেলে মেয়ে সব একসাথে হয়ে নাচানাচি করছে,রঙ লাগিয়ে দিচ্ছে, এটা সেটা খাচ্ছে মানে আরো নানারকম অশ্লীল কাজকর্ম চলছিল আরকি।লাইকি টিকটকের মতো আরো নানারকম কাজ করে যা আসলেই মাত্রা ছাড়িয়ে যায়😔।
এগুলো মোটেই ইতিবাচক পরিবর্তন নয়।

আপনি সঠিক বলেছেন ভাই। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব‍্যের জন্য।।

আধুনিকতার ছোঁয়া সমাজের সর্বত্র লেগে গেছে। তার সাথে ঢুকে গেছে পশ্চিমা কালচারের কিছু অপসংস্কৃতি। সবকিছুরই ভালো এবং খারাপ দুটো দিক থাকে। কিন্তু বর্তমানের সমস্যা হচ্ছে আমরা খারাপের দিকেই বেশি ঝুঁকে পরি। এসব কাজগুলো আমরা যদি শালীনতার মাধ্যমে পালন করে সঠিক ভাবে উদযাপন করতাম তাহলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ভাল কিছুই শিখতে পারতো আশা করি।

আপনি যথার্থ বলেছেন আপু। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব‍্যের জন্য।।

অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি পোস্ট করেছেন। আপনার লেখাগুলি প্রত্যেকের পড়া উচিত। রেগ ডে এর নামে নোংরামী কখনো আমাদের কাম্য নয়। প্রত্যেক অভিভাবক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন হওয়া উচিত। ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান কিছু কথা আমাদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য

ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।।

আগে আমরা বিদায় অনুষ্ঠান করতাম বিদায় অনুষ্ঠান হত আবেগময়ী। কত স্মৃতি রয়েছে স্কুল।বন্দুদের, স্যারদের ছেড়ে চলে যেতে হবে তাই খুবই কান্না পেত। আর এখন সবাই র‍্যাগডের নামে লাফালাফি হুড়োহুড়ি রং দিয়ে খেলা। যেন এক উৎসবে মেতে ওঠে এটা কখনোই বিদায় হতে পারেনা।

ধন্যবাদ
আপনার সুন্দর মন্তব‍্যের জন্য।।

শিক্ষার্থীদের রেগডে সুষ্ঠুভাবে পালন করা উচিত। আমাদের সময় এ আমরা এত বাজে ভাবে রেগডে পালন করিনি। রেগ ডে কে কেন্দ্র করে বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অশ্লীলতা বাড়ছে। এই ট্রেন্ড খুব শীঘ্রই দূর করতে হবে। খুব গোচালোভাবে রেগ ডের খুঁটিনাটি সব কিছু তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব‍্যের জন্য।।